হুমায়ুন আজাদ:কুম্ভিলক ও দণ্ডিত অপুরুষ
হুমায়ুন আজাদ বলেন:
"আরব নারীদের নানা ইতিহাস লিখা হয়েছে ;সবগুলোতেই স্বীকার করা হয় যে ইসলামপূর্ব আরবে অনেক বেশী ছিল নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার তারা অবরোধ থাকত না অংশ নিত সমস্ত সামাজিক ক্রিয়াকাণ্ড ; এমনি তাদের প্রাধান্য ছিল সমাজে ''......প্রচারের ফলে মুসমানদের মধ্যে জম্মেছে এমন এক বদ্ধমূল ধারণা যে ইসলামপূর্ব আরব নারীদের অবস্থা ছিল শোচনীয় ;ইসলাম তাদের উদ্ধার করে। প্রতিটি ব্যবস্থা পূর্ববর্তী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় ;তবে ঐতিহাসিকভাবে সাধারনত সত্য হয় না "(1)
"আরব নারীদের নানা ইতিহাস লিখা হয়েছে ;সবগুলোতেই স্বীকার করা হয় যে ইসলামপূর্ব আরবে অনেক বেশী ছিল নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার তারা অবরোধ থাকত না অংশ নিত সমস্ত সামাজিক ক্রিয়াকাণ্ড ; এমনি তাদের প্রাধান্য ছিল সমাজে ''......প্রচারের ফলে মুসমানদের মধ্যে জম্মেছে এমন এক বদ্ধমূল ধারণা যে ইসলামপূর্ব আরব নারীদের অবস্থা ছিল শোচনীয় ;ইসলাম তাদের উদ্ধার করে। প্রতিটি ব্যবস্থা পূর্ববর্তী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় ;তবে ঐতিহাসিকভাবে সাধারনত সত্য হয় না "(1)
তার এই অসার কথা নিয়েই আজকের লেখা, তার বক্তব্য যে মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না তা আমি ইসলামিক বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রমাণ করে দিতে পারে, যে ইসলাম নারীকে দিয়েছে সবোর্চ্চ অধিকার এবং কুরআন নাযিলের আগে আরবদের কাছে নারীরা ছিল হাতের খেলার পুতুল আর ভোগের বস্তু ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু আজকে আমি ইসলামি সোর্স থেকে তা প্রমাণ করব না, কারণ কারণ আমাদের বঙ্গীয় নাস্তিকদের আবার ঘন্টায় ৩২ কিলোমিটার বেগে হাতের চুলকানি শুরু হবে কমেন্ট করা জন্য
আসুন দেখি নিই কুরআন নাযিলের আগে নারীদের অবস্থা কি রকম ছিল আরবে?
আসুন দেখি নিই কুরআন নাযিলের আগে নারীদের অবস্থা কি রকম ছিল আরবে?
উইকিপিডিয়ায়য় বলা হয়েছে :
"আরবসমাজ ছিল বর্বর,এতটাই বর্বর ছিল যে তারা নারীদের মানুষ বলেই মনে করতো না। অভিজাত শ্রেণীর নারীরা ছাড়া অন্য নারীদের কোনো মর্যাদা দেওয়া হত না। নারীরা ধর্মীয় কাজে অংশ নিতে পারত না। তাদের ছাগল কিংবা ভেড়ার মতো মনে করা হতো।সমাজে তারা মতামত প্রকাশ করতে পারত না।বিয়ে কিংবা তালাকের ব্যাপারেও তাদের মতামত নেওয়া হতো না।এমন কি কোনো নারীর স্বামী যদি মারা যেত তাহলে সৎ ছেলে উত্তরাধিকার হিসেবে তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণণ করত। মূলতত নারী ছিল পুরুষের দাসী কিন্তু ইসলাম আসাত পর এ অবস্থার পরিবর্তিত হয়"(2)
"আরবসমাজ ছিল বর্বর,এতটাই বর্বর ছিল যে তারা নারীদের মানুষ বলেই মনে করতো না। অভিজাত শ্রেণীর নারীরা ছাড়া অন্য নারীদের কোনো মর্যাদা দেওয়া হত না। নারীরা ধর্মীয় কাজে অংশ নিতে পারত না। তাদের ছাগল কিংবা ভেড়ার মতো মনে করা হতো।সমাজে তারা মতামত প্রকাশ করতে পারত না।বিয়ে কিংবা তালাকের ব্যাপারেও তাদের মতামত নেওয়া হতো না।এমন কি কোনো নারীর স্বামী যদি মারা যেত তাহলে সৎ ছেলে উত্তরাধিকার হিসেবে তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণণ করত। মূলতত নারী ছিল পুরুষের দাসী কিন্তু ইসলাম আসাত পর এ অবস্থার পরিবর্তিত হয়"(2)
ঐতিহাসিক Kren Armstrong বলেন:
"কোন রকম অনুশোচনা ছাড়াই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হত। আসলে ক্রীতদাসের মতো নারীদের কোনো রকম আইনগত বা মানবাধিকার ছিল না। কেবল তুচ্ছ সম্পদ হিসেবে তারা বিবেচিত হতো। তাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হত।তারা সামগ্রিক অবস্থার উন্নতির আশাই করতে পারত না। পুরুষরা ইচ্ছামাফিক অসং্খ্যা বিয়ে করতে পারত (3)
"কোন রকম অনুশোচনা ছাড়াই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হত। আসলে ক্রীতদাসের মতো নারীদের কোনো রকম আইনগত বা মানবাধিকার ছিল না। কেবল তুচ্ছ সম্পদ হিসেবে তারা বিবেচিত হতো। তাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হত।তারা সামগ্রিক অবস্থার উন্নতির আশাই করতে পারত না। পুরুষরা ইচ্ছামাফিক অসং্খ্যা বিয়ে করতে পারত (3)
ইতিহাসের অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক Sir William Gibbon বলেন :
"আদিম সমাজ (আরবের) জঘন্য পরিস্থিতির মধ্যে আইন-কানুন,ভাষা ও জ্ঞানবিবর্জিত সমাজ নামের অযোগ্য এই নররূপী পশুদিগকে অন্যান্য ইতর জীব হতে পৃথক করা যায় না" (4)
"আদিম সমাজ (আরবের) জঘন্য পরিস্থিতির মধ্যে আইন-কানুন,ভাষা ও জ্ঞানবিবর্জিত সমাজ নামের অযোগ্য এই নররূপী পশুদিগকে অন্যান্য ইতর জীব হতে পৃথক করা যায় না" (4)
ইতিহাসের অন্যতম সেরা অন্যতমম ব্যক্তি Sir William Muir বলেন:
"আরবদের মধ্যে ছিল কুংস্কার ও অজ্ঞতার পূর্ণ ভীতি"(5)
"আরবদের মধ্যে ছিল কুংস্কার ও অজ্ঞতার পূর্ণ ভীতি"(5)
ইসলাম নারীকে কতটা মর্যাদা দিয়েছে তা একজন ইসলাম বিদ্বেষী নারীবাদী লেখক নারী রাখী বমর্ণ বলেন:
"ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যেখানে নারীদের চূড়ান্ত মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে"(6)
"ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যেখানে নারীদের চূড়ান্ত মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে"(6)
উপরের আলোচনা থেকে এই কথা প্রমানিত হয় যে বাংলার কুখ্যাত Plagiarist (7)হুমায়ুন আজাদ ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যেচার ছাড়া আর কিছু করে নি।
Reference..........
(1)হুমায়ুন আজাদ, নারী,পৃ:৮১;
(1)হুমায়ুন আজাদ, নারী,পৃ:৮১;
(2)https://en.Wikipedia.org/wiki/Women_in_pre_Islamic_Arabia
(3)Kren Armstrong, MUHAMMAD A biography of the prophet p.68
(4)Badruddza, Muhammad (sm):His teachings and Contribution P.39
(5)Sir William Muir,Life of Mahomet; P.509 (London,1858)
(6) Women in politics and Development(রাজনীতি ও উন্নয়নে নারী) P.75
(৭) Plagiarist বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে যে অন্য গবেষণা বা লেখা বা থিসিস নিজের নামে চালিয়ে দেয়।এই সম্পর্কে কোনো দিন আশা করে লিখব ইনশাআল্লাহ। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন জাকারিয়া মাসুদ ভাইয়ের বই"সংবিৎ"পৃ:১২০-১৩৪ এবং 'চতুরঙ্গম্যাগাজিন' থেকে প্রকাশিত প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড.মৃণাল নাথের "ভাষাবিজ্ঞানীর এ কোন শোচনীয় পরিণতি "নামক প্রবন্ধ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন