মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

কোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে?


কোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে পর্ব-১

কি যেন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা কি আলোচনা নাকি সমালোচনা ঠিক বুঝি উঠতে পারছিলাম না। আমরা উপস্থিত আছি বাদল, অভি, সাজিদ ও আমি।
বাদল ছেলেটা দেখি একটু ভদ্র টাইপের। ইন্টারি সেকেন্ডারি পড়ে। একটা সময় মাঝে মাঝে দেখতাম মাসজিদে নামায পড়তে আসত। এখন অবশ্য আসে না। কারণ জানা ছিল না। পরে জানতে পারলাম সে নাকি এখন পুরোপুরিভাবে সংশয়বাদী হয়ে গেছে।এখন তার কাছে নামায নাকি জিমনাস্টিক ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। তার কাছে এখন কুরান বড়জর ৬ষ্ঠ শব্দাতীর ইতিহাস ছাড়া আর কিছুই না। মাঝে মাঝে শুনি ও নাকি বলে বেড়ায় কুরানকে নাকি বিভিন্ন সময় সংযোজন বা বিয়োজন বা বিকৃত করেছে মুসলিমরা। তাই সেই এখন ইসলাম ত্যাগ করতে প্রায় রাজি হয়ে আছে।যেমন চিন্তা তেমন কাজ। সেই বিশ্বাসকেই আবার ডিফেন্স দিচ্ছে প্রতিবারের মত। এটা নিয়ে বাদল আলোচনা নাকি বলব সমালোচন   করছে। আমার মনে হয় সমালোচন  শব্দটা এখানে ম্যাচিউর। কারণ নাস্তিকরা ইসলাম নিয়ে আলোচনা থেকে সমালোচনাই বেশি করে থাকে।
-বাদল বলল ' কুরান নাকি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়   নি '
- 'কিভাবে বুঝলি যে কুরান নাকি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়নি 'আমি বললাম।ও বললেই হলো নাকি এটা কি গাছ থেকে আপেল পড়া মত সহজ কথা।
-'কুরান নাকি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয় নি এর বড় প্রমান হচ্ছে কোরানের কোনো প্রাচীন পান্ডুলিপি নাই'
- আমি বললাম ' যা বললে সবটুকুই ভুল বললে '!
-'আশ্চর্যকথা বাদল দার কথা যে ভুল তা আবার আপনি কিভাবে বুঝলেন । পারলে প্রমান করেন বাদল দার কথা ভুল? অভি বলল।'

অভি ছেলেটাকে একেবারে বলতে পারেন বাদলের অন্ধ শিষ্য। শিষ্যত্ব এতটা মেনে যে বাদল যা বলে তাই সত্য।বুঝতেই পারছেন বাদল কিভাবে মস্তিষ্ক ধুলাই করেছে। ও হলো বাদলের অবিশ্বাসীর রাজ্যের Chief Commander. বাদলের রাজ্যের জুড়ে পড়া ফুলগুলো সবার কাছে বেছে বেড়ায়। কথা বলার স্টাইল দেখেই বুঝতে আর বাকি না যে ছেলেটা কতটা ফাজিল হয়ে গেছে।

-'কি, কি হলো পারলেন না তো!'

আমি অবশ্য এখন আমার পাশে বসা একজন মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। সাজিদ।হ্যা সাজিদ ও এখন কিছুই বলছে না। ও, এত আবার কম কথা বলে। আমার গাঁ জ্বলে যাচ্ছে। অভির কানের নিচে দু'চারটি চর মারতে পারলেন মনে শান্তি পেতাম। হঠাৎ দিকে সাজিদের মুখ থেকে -
-' আরে এত উত্তেজিত হওয়া কি হলো। কে বলেছে যে কুরান প্রাচীন পান্ডুলিপি নেই। তুর কি জানস Birmingham University - তে কুরানের প্রাচীন পান্ডুলিপি পাওয়া গেছে।'

সাজিদ এবার কথা বলছে দেখ একটু শান্তি পেলাম। এবার দেখি আমাদের গুরু শিষ্যের দম কতটুকু
- 'সাজিদ আবার বলা শুরু করল Birmingham University -তে যে কুরান পাওয়া গেছে তা Oxford University -তে কার্বন ডেটিং করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটা লেখা হয়েছে 568 থেকে 645 সালের মধ্যে। (1)এর জন্য David Thomas,যিনি Professor of Christianity and Islam. Birmingham University. তিনি বলেন"এই পরীক্ষাগুলো আমাদের একটি পরিসীমা  প্রদান করে, দেখানো হয় যে 95% ও বেশি সম্ভবনা রয়েছে চার্চমেন্ট 568 থেকে 645 এর মধ্যে, তারা আমাদের  ইসলামের প্রকৃত উৎসের মধ্যে নিয়ে যেতে পারে" (2)

-'তুই কি বলতে পারবে মুহাম্মাদ(সা)-এর জম্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করেছে কবে  সাজিদ বলল'
-'Yes,I will can. 'মহাম্মাদের জম্ম হয়েছিল ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে।'
- তুই কি খেয়াল করেসিস যে উপরের তথ্য অনুযায়ী প্রায় সেই কুরান লেখা হয়ে মুহাম্মাদ(সা)এর সময়।
-'আচ্ছা মেনে নিলাম।কিন্তু এ ও তো হতে পারে যে সেই কুরানের সাথে বর্তমান কুরানের অমিল বা ক্রমবিন্যাস ভিন্ন? বাদল বলল'
- 'না তোর ধারণা ঠিক না। বিংশ শতাব্দীতে সে কুরান পাওয়া গেছে তার সাথে বর্তমান প্রমিত কুরআন  অমিল বা ক্রমবিন্যাস ভিন্ন নয়।বরং তা বর্তমান প্রমিত কুরানের অনুরূপ (3)এর জন্য ফরাসী কুরআন অনুবাদক D.Masson বলেছেন "আমরা বলতে পারে যে আমাদের কাছে বর্তমানে যে কুরান আছে তার মধ্যে বিশ্বস্ততার নীতি রয়েছে(4)
আমি শুধু সাজিদের দিকে তাকিয়ে আছে যে ও কিভাবে এত কিছু মনে রাখে।
-'সাজিদ আবার বলা শুরু করল এই আবিষ্কার পশ্চিমাদের কুরান সম্পর্কে ধারণাকে ছুঁ মেরে উড়িয়ে দিয়েছি। অধ্যাপক Joseph E B Lumbard যিনি Birmingham Univesity -তেকোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে পর্ব-১

কি যেন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা কি আলোচনা নাকি সমালোচনা ঠিক বুঝি উঠতে পারছিলাম না। আমরা উপস্থিত আছি বাদল, অভি, সাজিদ ও আমি।
বাদল ছেলেটা দেখি একটু ভদ্র টাইপের। ইন্টারি সেকেন্ডারি পড়ে। একটা সময় মাঝে মাঝে দেখতাম মাসজিদে নামায পড়তে আসত। এখন অবশ্য আসে না। কারণ জানা ছিল না। পরে জানতে পারলাম সে নাকি এখন পুরোপুরিভাবে সংশয়বাদী হয়ে গেছে।এখন তার কাছে নামায নাকি জিমনাস্টিক ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। তার কাছে এখন কুরান বড়জর ৬ষ্ঠ শব্দাতীর ইতিহাস ছাড়া আর কিছুই না। মাঝে মাঝে শুনি ও নাকি বলে বেড়ায় কুরানকে নাকি বিভিন্ন সময় সংযোজন বা বিয়োজন বা বিকৃত করেছে মুসলিমরা। তাই সেই এখন ইসলাম ত্যাগ করতে প্রায় রাজি হয়ে আছে।যেমন চিন্তা তেমন কাজ। সেই বিশ্বাসকেই আবার ডিফেন্স দিচ্ছে প্রতিবারের মত। এটা নিয়ে বাদল আলোচনা নাকি বলব সমালোচন   করছে। আমার মনে হয় সমালোচন  শব্দটা এখানে ম্যাচিউর। কারণ নাস্তিকরা ইসলাম নিয়ে আলোচনা থেকে সমালোচনাই বেশি করে থাকে।
-বাদল বলল ' কুরান নাকি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়   নি '
- 'কিভাবে বুঝলি যে কুরান নাকি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়নি 'আমি বললাম।ও বললেই হলো নাকি এটা কি গাছ থেকে আপেল পড়া মত সহজ কথা।
-'কুরান নাকি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয় নি এর বড় প্রমান হচ্ছে কোরানের কোনো প্রাচীন পান্ডুলিপি নাই'
- আমি বললাম ' যা বললে সবটুকুই ভুল বললে '!
-'আশ্চর্যকথা বাদল দার কথা যে ভুল তা আবার আপনি কিভাবে বুঝলেন । পারলে প্রমান করেন বাদল দার কথা ভুল? অভি বলল।'

অভি ছেলেটাকে একেবারে বলতে পারেন বাদলের অন্ধ শিষ্য। শিষ্যত্ব এতটা মেনে যে বাদল যা বলে তাই সত্য।বুঝতেই পারছেন বাদল কিভাবে মস্তিষ্ক ধুলাই করেছে। ও হলো বাদলের অবিশ্বাসীর রাজ্যের Chief Commander. বাদলের রাজ্যের জুড়ে পড়া ফুলগুলো সবার কাছে বেছে বেড়ায়। কথা বলার স্টাইল দেখেই বুঝতে আর বাকি না যে ছেলেটা কতটা ফাজিল হয়ে গেছে।

-'কি, কি হলো পারলেন না তো!'

আমি অবশ্য এখন আমার পাশে বসা একজন মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। সাজিদ।হ্যা সাজিদ ও এখন কিছুই বলছে না। ও, এত আবার কম কথা বলে। আমার গাঁ জ্বলে যাচ্ছে। অভির কানের নিচে দু'চারটি চর মারতে পারলেন মনে শান্তি পেতাম। হঠাৎ দিকে সাজিদের মুখ থেকে -
-' আরে এত উত্তেজিত হওয়া কি হলো। কে বলেছে যে কুরান প্রাচীন পান্ডুলিপি নেই। তুর কি জানস Birmingham University - তে কুরানের প্রাচীন পান্ডুলিপি পাওয়া গেছে।'

সাজিদ এবার কথা বলছে দেখ একটু শান্তি পেলাম। এবার দেখি আমাদের গুরু শিষ্যের দম কতটুকু
- 'সাজিদ আবার বলা শুরু করল Birmingham University -তে যে কুরান পাওয়া গেছে তা Oxford University -তে কার্বন ডেটিং করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটা লেখা হয়েছে 568 থেকে 645 সালের মধ্যে। (1)এর জন্য David Thomas,যিনি Professor of Christianity and Islam. Birmingham University. তিনি বলেন"এই পরীক্ষাগুলো আমাদের একটি পরিসীমা  প্রদান করে, দেখানো হয় যে 95% ও বেশি সম্ভবনা রয়েছে চার্চমেন্ট 568 থেকে 645 এর মধ্যে, তারা আমাদের  ইসলামের প্রকৃত উৎসের মধ্যে নিয়ে যেতে পারে" (2)

-'তুই কি বলতে পারবে মুহাম্মাদ(সা)-এর জম্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করেছে কবে  সাজিদ বলল'
-'Yes,I will can. 'মহাম্মাদের জম্ম হয়েছিল ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে।'
- তুই কি খেয়াল করেসিস যে উপরের তথ্য অনুযায়ী প্রায় সেই কুরান লেখা হয়ে মুহাম্মাদ(সা)এর সময়।
-'আচ্ছা মেনে নিলাম।কিন্তু এ ও তো হতে পারে যে সেই কুরানের সাথে বর্তমান কুরানের অমিল বা ক্রমবিন্যাস ভিন্ন? বাদল বলল'
- 'না তোর ধারণা ঠিক না। বিংশ শতাব্দীতে সে কুরান পাওয়া গেছে তার সাথে বর্তমান প্রমিত কুরআন  অমিল বা ক্রমবিন্যাস ভিন্ন নয়।বরং তা বর্তমান প্রমিত কুরানের অনুরূপ (3)এর জন্য ফরাসী কুরআন অনুবাদক D.Masson বলেছেন "আমরা বলতে পারে যে আমাদের কাছে বর্তমানে যে কুরান আছে তার মধ্যে বিশ্বস্ততার নীতি রয়েছে(4)
আমি শুধু সাজিদের দিকে তাকিয়ে আছে যে ও কিভাবে এত কিছু মনে রাখে।
-'সাজিদ আবার বলা শুরু করল এই আবিষ্কার পশ্চিমাদের কুরান সম্পর্কে ধারণাকে ছুঁ মেরে উড়িয়ে দিয়েছি। অধ্যাপক Joseph E B Lumbard যিনি Birmingham Univesity

২০১৫ সালে বাহিংহাম কোরানের প্রাচীন  পত্র সংগ্রহে নেতৃত্ব দেন তিনি বলেন:
"সাম্প্রতিক সময়ের এই আবিষ্কার ;মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই আবিষ্কার থেকে এটাই অনুমিত হয়ে উঠে ধ্রুপদী ইসলামের উৎস থেকে কুরআনের পাঠ্যের যে ইতিহাস বর্ণিত হয়;তা সঠিক।পশ্চিমা তাত্ত্বিকদের সিংহভাগ কুরআনের ইতিহাসে নিয়ে যে সন্দেহ পোষণ করেছে তা অসমর্থনযোগ্য(5)

সাজিদের কথা শুনতে শুনতে হঠাৎ অনুভব করলাম মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। চোখে পড়ছে নদীতে ভেসে থাকা নৌকাগুলো। নৌকা থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে এসে পড়ছে।সে এক অন্য অনুভূতি। বলে বুঝানো যাবে না ;অসাধারণ;অপূর্ব। পাশে চেয়ে দেখি গাছের পাতার উপর শিশির পড়ে আছে।হঠাৎ -
-আরে বুঝিছে যত্তসব ;তোদের কুরান তো নাকি সাতটি  ভাষায় নাযিল হয়েছে। মুহাম্মাদ এখানে একটা ভুল করেছে!বাদল বলল।

উৎসুক মনে জিজ্ঞাসা করল অভি কিভাবে ভুল করেছে মুহাম্মাদ?অভি মুখের  মৃদুমন্দ হাসি;ভাব দেখে মনে হয় বাদল বুঝি এবার সাজিদকে হার মানিয়ে দিবে সে জন্যই হাসি'

-বাদল বলল' মুহাম্মাদ এখানে  সাত ভাষায় নাযিল করার কথা বলে ভুল করেছে কারন এই সাত ভাষায় কুরান পাঠ করলে সাত রকমের হয় এবং একটার সাথে আরেকটার অমিল দেখা যায় অর্থাৎ কুরানে কন্ডাডিকশন আছে! বলে হু হু করে হাসতে লাগলো। হাসির ফলে মুখে রীতি মত বড় সর একটা গর্ত লক্ষ করা যাচ্ছে। যদি মাছি মশা ঢুকে যায় বোধ হয় দিশা পাবে না।আমি সাজিদের কাছ থেকে জবাবের আশায় চেয়ে আছে তার দিকে।

-সাজিদ বলল' তোর ধারণা একেবারেই ভুল! প্রথমত কুরআন সাতটি ভাষায় নাযিল হয় নি ;বরং সাতটি উপভাষায়। তোরা কি ভাষা আর উপভাষার মধ্যে পার্থক্য ও বুঝিস না। আর কন্ডাডিকশন;এখানে কুরানে কোনো কন্ডাডিকশন নেই কারণ এই সাতটি উপভাষাকেই অনুমোদন করা হয়েছে। ধর, তো কাছে একটা বই আছে আর তুই এটাকে সাতটি উপভাষায় সাতজন কে অনুবাদ করতে বা পড়লে দিলে।একজন বরিশালে,আরেকজন চিটাগাং.....
 আর তারা সবাই তা নিজেদের মতো করে পড়ল বা অনুবাদ করল এখন আমরা সবাই জানি যে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষার সাথে চিটাগাংরের আঞ্চলিক ভাষার কিছু অর্থ ও শব্দগত পার্থক্য আছে। এখন আমি যদি বলে প্রথম জনের পড়া বা অনুবাদের সাথে দ্বিতীয় জনের পড়া বা অনুবাদের ক্ষেত্রে যেহেতু পার্থক্য আছে তাই বইয়ের মধ্যে কন্ডাডিকশন আছে। এখন কেউ যদি দাবি করে যে বইয়ের মধ্যে কন্ডাডিকশন তাহলে কি তার দাবি ঠিক হবে?

-অভি বলল 'না,ঠিক হবে না।'
-'কেন?'
-'কারণ আমি তো নিজেই তার অনুমোদন দিয়েছে।পড়তে বা অনুবাদ করতে।'
-'ঠিক তাই, কুরান ও সেই শেম কাজটা করেছে, কুরানকে ও  সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় পড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেহেতু দেওয়া হয়েছে,তাই এর মধ্যে যদিও কিছু অর্থগত বা শব্দগত পার্থক্য থেকেও থাকে তাহলে ও আমরা তাকে কন্ডাডিকশন বলতে পারে না।'

চেয়ে দেখি মূহুর্তের মধ্যে অভি আর বাদলের মুখটা সেকা সেকা পাওরুটির মতো মনে হচ্ছে।

-'অভি বলল,আচ্ছা না হয় বুঝলাম যে কুরানে এখানে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এটাও তো হতে পারে যে বর্তমানে আমরা যে কুরানকে দেখছি তা খলিফা উসমানের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। কারণ আমরা জানি যে উসমানই প্রথম কুরান সংকলন করে এবং বাকি কপি গুলো পুড়িয়ে ফেলেন। তাই এখানে সন্দেহ থাকে যে কুরান কে হয় তো পরিবর্তন করা হয়েছে!।'

 নাস্তিকদের একটা স্বভাব হচ্ছে তারা সত্যকে গ্রহন করতে রাজি না। এরা ভালো উদ্দেশ কে দেখি খারাপভাবে। যেমন চিন্তা তেমন কাজ বৈ আর কি?

-সাজিদ বলল' তুকে প্রথমে একটা কথা বলে নেই আমাদের কাছে কোনো পরিবর্তিত কুরান নেই। এটা সেই কুরান যা আগে যাছিল এখন তাই, কোনো পরিবর্তন না।
উসমানই (রা) প্রথম কুরান সংকলন করেছিল আসলে বিষয়টা সেরকম না। উসমান(রা) ও আগে আবু বাকর(রা) করেছিল এবং তার মৃত্যুর পরে তা থাকে উমর(রা) কাছে
এবং তার মৃত্যু পর তা থাকে রাসুল(সা) এর স্ত্রী উমর(রা) র কন্যা হাফসা(রা)-র কাছে পরে যখন উসমান (রা) খলিফা হোন তখন কুরান পাঠের ভিন্নতা দেখা দিলে তিনি চূড়ান্তভাবে সংকলন করেন (6)আর তার মধ্যে কোনো প্রকার বিকৃতি বা পরিবর্তন করা হয়নি।

- 'কিভাবে সাজিদ, তুই বুঝি গেলে যে এখানে কুরানে কোনো প্রকার বিকৃতি বা পরিবর্তন করা হয় নি 'বাদল
বলল।

- হ্যা কুরানে কোনো প্রকার বিকৃতি বা পরিবর্তন করা হয়নি।
first of all -উসমান (রা) -এর কুরান সংকলনের সময় মুহাম্মাদ(সা) -এর স্ত্রী খাদিজা (রা), যায়নাব বিনতে খুযায়মাহ(রা) এবং যায়নাব বিনতে জাহশ বিন রিবাব(রা) ছাড়া সবাই জীবিত ছিলেন(7)  যদি উসমান (রা) কতৃক সংকলিত কোরানে সংযোজন বা বিয়োজন করা হতো তাহলে তারা অবশ্যি উসমান(রা)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করত।মুহাম্মাদ(সা) -এর স্ত্রীদের মধ্যে তিনজন কোরানের হাফিয ছিলেন। কিন্তু ইতিহাসে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে,তারা উসমান(রা) কতৃক সংকলিত কোরানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।এতে বুঝা যায় যে তার সংকলিত কোরানে কোনো রকম সংযোজন বা বিয়োজন করা হয় নি।

Secondly উসমান (রা) কতৃক সংকলিত কোরানের আগেই আবু বাকর(রা) কুরান সংকলন করেছিলেন(8)
উসমান (রা) কতৃক সংকলিত কোরানের সময় ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলী(রা) সহ আরো অনেক সাহাবী জীবিত ছিলেন(8.1)চিন্তা কর জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী আলী(রা) উসমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন না অথচ উসমান (রা) কুরানে বিকৃতি ঘটাছে?কেন?কারণ উসমান (রা) কতৃক সংকলিত কোরান বিশুদ্ধ ছিল।এই ব্যাপারে সাহাবীদের মধ্যে ঐক্যমত ছিল। এখানে কোনো সংযোজন বা বিয়োজন করা হয় নি। এ জন্য Ahmad Von Deffner তা বই An Introduction to Science of the Qur'an বইয়ে বলেছেন
"উসমান কতৃক যে অনুলিপি সংকলিত হয় তার ব্যাপারে সাহাবীদের ঐক্যমত ছিল(9)

Thirdly উসমান (রা) কতৃক সংকলিত কোরানে সংযোজন বা বিয়োজন বা বিকৃতি করার কোনো সুযোগই ছিল না। কারণ কোরানের হাফিয রসূল(সা)-এর স্ত্রী আয়িশাহ(রা) তখন জীবিত ছিল(10) তার কাছে কুরানের কপি ছিল (11)এবং তার দ্বারা উসমান (রা) কতৃক সংকলিত কোরান যাচাই বাছাই করা হতো(12) আর এর জন্য Introduction to the Qur'an
 বইয়ের লেখক Richard Bell বলেছেন "আয়াতের পরিবর্তন, কাটছাঁট, বা বাতিল করা হয়েছে -এ অভিযোগ উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে কখনো উঠে নি(13)
-সাজিদ বলল 'আচ্ছা বাদল দা যদি উসমান (রা) কুরানে পরিবর্তন করতেন তাহলে ইসলামের  বিশ্বাস অনুযায়ী তার কি শাস্তি হতো? এটা কি তার জন্য অনিষ্টকর হতো না?'

-'যদি পরিবর্তন করত তাহলে তো উসমান কাফির হয়ে যেত। আর এটা তো অবশ্যি তার জন্য অনিষ্টকর হতো 'বাদল বলল।

সাজিদ এবার অভির দিকে  মুখ করে তাকাল, অভি অবশ্য সাজিদ ঠোঁটের কিনারাই যে হাসি লেগে থাকে তা উপহার পেল।
-সাজিদ বলল 'আচ্ছা অভি ইসলামে কি কাফিরদের  জানাযা পড়া জায়েয '
-'আমার জানা মতে ইসলামে কাফিরদের জানাযা পড়া হয় না'
- You are Right এখানে মজার বিষয় হচ্ছে উসমান (রা) জানাযা পড়া হয়েছে। যদি উসমান (রা) কুরান কোনো ধরনের পরিবর্তন আনতেন তাহলে তা সহজে ধরা পড়ত, কারণ প্রতিদিন অন্তত পাঁঁচবার সালাতে কুরান পাঠ্য করা হয়। এবং তখন সকল সাহাবী তাকে কাফির বলে জানত এবং তার জানাযা পড়া হতো না। কিন্তু ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারে যে উসমান(রা)-র জানাজার সালাত পড়া হয়েছে। এতে প্রমানিত হয় যে উসমান (রা) কুরানের কোনো পরিবর্তন করে নি।যার কারণ কেউ তাকে কাফির বলে জানত না এবং ফলস্বরূপ তারা তার জানাযার সালাত পড়েছে।

আমি অবশ্য তখন সাজিদের দিকে তাকিয়ে আছে, আমি তো কখন উসমান(রা)-র জানাযা তো ধরে থাক তার মৃত্যু নিয়েও এভাবে চিন্তা করে নি। সাজিদ দেখি মাটি থেকে হেরা বার করতে পারে। সাবাশ সাজিদ। এগিয়ে যা। ভাবছিলাম এবং মনে মনে বকবক করছিলাম। এর মধ্যেই আবার....সাজিদ-

-'অভি, বাদল দা যা বলল তার সাথে কি তুই একমত?
-Waht's say he?
-আমি বললাম 'বাদল দা বলেছে যদি উসমান (রা) কুরানে কোনো প্রকার বিকৃতি করত তাহলে তা উসমান(রা) জন্য অনিষ্টকর হতো '
-'Yes, I agree with him
-তার মানে তুই এখানে একমত যে যদি উসমান (রা) কুরানে কোনো প্রকার বিকৃতি করত তাহলে তা উসমান(রা) জন্য অনিষ্টকর হতো। এখন দেখ মুহাম্মদ (সা) বলেছেন 'উসমান যে কার্যকলাপই করুক না কেন তা তার কোনো অনিষ্ট করতে পারবে না (14)
অর্থাৎ মুহাম্মাদ(সা)-এর ভাষ্য অনুযায় উসমান এমন কাজ কখনো করবে না যা তার অনিষ্ট করতে পারবে। Am I right?
- 'Yes,Then I was say.
-সাজিদ বলল 'তার মানে মুহাম্মাদ(সা)-এর ভবিষ্যৎবাণী অনুযায় উসমান (সা) কখন কুরান বিকৃতি করতে পারে না। কারণ তা তার সাথে অনিষ্টকর কিছু করবে। তিনি কাফের হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন উসমান যে কাজই করুক না কেন তা তার অনিষ্ট করতে পারবে না। যদি তিনি বিকৃতি করতেন তাহলে কি হত?
-আমি বললাম 'তাহলে আবার কিই বা হতো, মুহাম্মাদ (সা)-এর ভবিষৎবাণী মিথ্যা হয়ে যেত '

-কিন্তু মুহাম্মাদ(সা)-এর ভবিষ্যৎবাণী কখনো মিথ্যা হতে পারে না। কারণ তা তিনি আল্লাহ'র পক্ষে থেকে বলেন। আর ইতিহাসে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে মুহাম্মাদ(সা) কোনো ভবিষৎবাণী মিথ্যা হয়েছে। তাই এই কথা প্রমানিত হয় যে উসমান(রা)-র দ্বারা কখন কুরান বিকৃতি It Is Not Accessible for Othman(R.)

- আমি বললাম'আসলে আজ পর্যন্ত কুরান কোনো প্রকার বিকৃতি,পরিবর্তন, সংযোজন বা বিয়োজন করা হয় নি। আর এটা কখন সম্ভব নয় It's Totally Impossible Forever And Ever. দেখ অভি, The New Encyclopedia Britannica -র ভাষ্য মতে 'সকল পান্ডুলিপি প্রমাণ করে যে রাসূল(সা)-এর সময় থেকে এখন পর্যন্ত কুরআন সকল প্রকার বিকৃতি,সংযোজন,বিয়োজন বা পরিবর্তন থেকে সংরক্ষিত আছে (15)আর উসমান (রা) সংকলিত কুরানের সাথে বর্তমান কুরানের কোনো অমিল নেই। এ জন্য একই প্রশ্ন  যখন Dr.Maurice Bucaille -কে করা হয়েছিল তিনি বলেছিলেন

" I said to him:go to our national library and you'll be able to find old text of the Qur'an of the 8th century of Christian era. and you will be a possition to compare the text of that the time and the text which is widespread now."(16)
সাজিদ আমার দেখি চেয়ে মুসকি একটা হাসি দিল।হাসিটা এরকমই ছিল যে সাজিদের চকচকে দুধের মতো দু'একটি দাঁত দেখা গেয়েছিল। সেদিনই বোধ প্রথম দর্শন আমার আর সাজিদের দাঁতের সাথে। উপস্থিত সবাই হাসির রহস্যটা না জানলে ও আমি কিন্তু ঠিকই জানতাম।আমি একদিন এর অন্তরগত রহস্যটা জানতে চেয়েছিলাম তার কাছে, মহামান্য বললেন, আমিও নাকি শিখে গিয়েছে। তখন আমার লজ্জা আর আর হাসি এক হয়ে গিয়েছিল। লজ্জা আর হাসি এক হলে মানুষকে কেমন দেখায় আমি তা জানি না।তবে বোধ আমার মত অন্য কাউ এত গম্ভীর দেখায় না।

বাদল দা আর অভি আমাদের না কয়েই হঠাৎ চলে যাচ্ছিল। সাজিদ হাত বারিয়ে ডাক দিবে তখন আমি না করলাম। এ দিক দিলে প্রায় সন্ধ্য হয়ে আসছে। চারদিকে হালকা অন্ধকার, পাখিগুলো এক ধরনের শব্দ করছে। সূর্যটা প্রায় ডুবে ডুবে যাবে ভাব। আমরা হাঁটা ধরলাম মাসজিদের দিকে। আর আমার মনে একটি যেন বারবার স্মরণ হচ্ছেছিল। আয়াতটি ছিল "নিশ্চয় আমিই কুরআন নাযিল করেছি আর অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক  "।

Reference.......
 (1)https://www.birmingham.ac.uk/news/latest/2015/07/quran-manuscript-22-07-15.aspx

 (2)www.bbc.com/news/business-33436021?SThisFB&fbclid=lwAR1EiTniMTSgadUtGbX0K3KbPuTllcH442eM2PW_01lZrZaH4EXsA6qDec8

(3)Behnam sadeghi & Mohsen Goudarzi "sana'a and the origins of the Qur'an,Der Islam,87(2012),26

 (4)Le coran,trad.de.D.Masson, Edition Gallimard,1967,P.xl

 (5)Lumbard,Joseph "New light on the History of the Quranic Text" m.huffpost.com/us/entry/us-7864930?ncid=engmodushpmg00000003&fbclid=lwAR3mENFWjit9BuoltKmGA2lT1STQiqXr4S-AqXSGpsh4qbKRTeGUESZ9FxRQ

(6)সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেন্সন) ৪/৪৯৮৭

(7)আর রাহীকুল মাকতুম(তা.পা) পৃ:538-546. (8)সহীহ বুখারী ৪/৪৯৮৬

(8.1) সর্বশেষ সাহাবী আবু তুফাইল মৃত্যুবরণ করে ১০০ হিজরের পরে।

 (9) Ahmad Von Deffner,An Introduction to Science of the Qur'an

 (10) আর রাহীকুল মাকতুম(তা.পা) পৃ:538-546.

 (11)সহীহ বুখারী ৪/৪৯৯৩

(1২)তারিখুল মাদিনাহ,ইমাম শাব্বাহ পৃ:৯৯৭

(13)Richard Bell,An Introduction to the Qur'an, Bell,W.M,Watt,1995 P-51

. (14)সহীহ আত তিরমিযী(আলবানী) ৬/৩৭০১

(15)বিস্তারিত দেখুন:The New Encyclopedia Britannica (knowledge in depth) 15th edition Vol -2, PP-879-977(Biblical Literature), Vol-4,PP-459-545: Christianity,Vol-10 PP-145-155:Jesus Christ, Encyclopedia of Religion and Ethics, Edition by James Hestings,New York, Vol-2 PP-532-615:Vol-3 PP-579-600:Vol-7 PP-439-550:Israel, Jesus Christ, Historia Religionum edited by C.Jouso Bleeker and Gro Widengren Vol -1 PP-237-317.

 (16)You tube:Dr.Maurice Bucaille, the Pharaoh Qur'an and Science। এখান থেকে উসমান(রা) সংকলিত কোরানের ভিডিও দেখতে পারেন www.youtube.com/ আমেরিকার লাইব্রেরিতে প্রাচীন কুরান দেখতে www.youtube.com

গাযওয়াতুল হিন্দ

গাযওয়াতুল হিন্দ







বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

হাদীছ নং ১:حَدَّثَنَاأَبُوالنَّضْرِ،حَدَّثَنَابَقِيَّةُ،حَدَّثَنَاعَبْدُاللهِبْنُسَالِمٍ،وَأَبُوبَكْرِبْنُالْوَلِيدِالزُّبَيْدِيُّ،عَنْمُحَمَّدِبْنِالْوَلِيدِالزُّبَيْدِيِّ،عَنْلُقْمَانَبْنِعَامِرٍالْوُصَابِيِّ،عَنْعَبْدِالْأَعْلَىبْنِعَدِيٍّالْبَهْرَانِيِّ،عَنْثَوْبَانَمَوْلَىرَسُولِاللهِصَلَّىاللهُعَلَيْهِوَسَلَّمَ،عَنِالنَّبِيِّصَلَّىاللهُعَلَيْهِوَسَلَّمَقَالَ:عِصَابَتَانِمِنْأُمَّتِيأَحْرَزَهُمُاللهُمِنَالنَّارِ:عِصَابَةٌتَغْزُوالْهِنْدَ،وَعِصَابَةٌتَكُونُمَعَعِيسَىابْنِمَرْيَمَরসূল(স) বলেন, আমার উম্মাতের দুইটি দলকে আল্লাহ তা’আলা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন। একটি দল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে এবং আরেকটি দল যারা ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ) এর সাথে থাকবে। (নাসাঈ, হা/৩১৭৫;মুসনাদে আহমাদ, ৫/২৭৮, হা/২২৩৯৬)তাহক্বীক্ব:ইমাম নাছিরুদ্দীন আলবানী বলেন, হাদীছটি ছহীহ। (নাছিরুদ্দীন আলবানী, তাহক্বীক্ব নাসাঈ, হা/৩১৭৫)ইয়াসির হাসান বলেন, হাদীছটি হাসান। (ইয়াসির হাসান, তাহক্বীক্ব নাসাঈ, হা/৩১৭৫)শু’আইব আরনাউত্ব বলেন, হাদীছটি হাসান। (শু’আইব আরনাউত্ব, তাহক্বীক্ব মুসনাদে আহমাদ, ৫/২৭৮, হা/২২৩৯৬)হামযাহ আহমাদ যাঈন বলেন, এর সানাদ দুর্বল আবু বাকর ইবনুল ওয়ালীদ যুবাইদী এর কারণে। (হামযাহ আহমাদ যাঈন, তাহক্বীক্ব মুসনাদে আহমাদ, ৫/২৭৮, হা/২২২৯৫)হাফিয যুবাইর আলী যাঈ বলেন, হাদীছটি হাসান। (যুবাইর আলী যাঈ, তাহক্বীক্ব নাসাঈ, হা/৩১৭৭)এই হাদীছের রাবী আবু বাকর ইবনুল ওয়ালীদ যুবাইদী কে অনেকে মাজহূল বলেছেন। কিন্তু তার ব্যাপারে ইমাম সুফিয়ান ছাওরী বলেন, তিনি ছিক্বাহ। (ইয়াক্বূব ইবনে সুফিয়ান আল-ফারিসী, কিতাবুল মা’রিফাতি ওয়াত-তারীখ, ৩/১০০)ইমাম ইবনে হিব্বান তাকে ছিক্বাহ বলেছেন। (ইবনে হিব্বান, আছ-ছিক্বাত, ৬/৪৭৮, রাবী নং ৮৬৭৮)ইমাম আবু বাকর মুহাম্মাদ ইবনে মূসা আল-হাযিমী ইমাম যুহরীর ছাত্রদেরকে ‘ত্বাবাক্বাতুছ ছানিয়াহ’ তে উল্লেখ করেছেন এবং তাদের সম্পর্কে বলেছেন যে, তারা মুসলিমের শর্তের উপর রয়েছেন। (মুহাম্মাদ ইবনে ত্বাহির আল-মাক্বদিসী ও আবু বাকর মুহাম্মাদ ইবনে মূসা আল-হাযিমী, শুরূত্বুল আইম্মাতিস সিত্তাহ ও শুরূত্বুল আইম্মাতিল খামসাহ, পৃঃ ৫৭)উক্ত রাবী ইমাম যুহরী এর ছাত্র। (মিযযী, তাহযীবুল কামাল, রাবী নং ৭২৬১)সুতরাং, আবু বাকর ইবনুল ওয়ালীদ যুবাইদী মাজহূল নন বরং হাসানুল হাদীছ। আলহামদুলিল্লাহএছাড়াও আবদুল্লাহ ইবনে সালিম তার মুতাবাআ’তকরেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, ৫/২৭৮, হা/২২৩৯৬)আর আবদুল্লাহ ইবনে সালিম ছিক্বাহ ছিলেন। (মিযযী, তাহযীবুল কামাল, রাবী নং ৩২৮৫)সুতরাং, এই হাদীছটির সানাদ হাসান। আলহামদুলিল্লাহকিন্তু এই হাদীছটি ছাড়া “গাযওয়াতুল হিন্দ” এর ব্যাপারে আর কোন ছহীহ হাদীছ নেই।হাদীছ নং ২:حَدَّثَنِيمُحَمَّدُبْنُإِسْمَعِيلَبْنِإِبْرَاهِيمَ،قَالَ:حَدَّثَنَايَزِيدُ،قَالَ:أَنْبَأَنَاهُشَيْمٌ،قَالَ:حَدَّثَنَاسَيَّارٌأَبُوالْحَكَمِ،عَنْجَبْرِبْنِعَبِيدَةَ،عَنْأَبِيهُرَيْرَةَ،قَالَ:وَعَدَنَارَسُولُاللَّهِصَلَّىاللهُعَلَيْهِوَسَلَّمَغَزْوَةَالْهِنْدِ،فَإِنْأَدْرَكْتُهَاأُنْفِقْفِيهَانَفْسِيوَمَالِي،وَإِنْقُتِلْتُكُنْتُأَفْضَلَالشُّهَدَاءِ،وَإِنْرَجَعْتُفَأَنَاأَبُوهُرَيْرَةَالْمُحَرَّرُআবু হুরাইরাহ(রা) বলেন, আমাদেরকে রসূল(স) হিন্দুস্থানের জিহাদের ওয়াদা দিয়েছেন। আবু হুরাইরাহ(রা) বলেন, আমি যদি এতে যেতে পারি, তাহলে আমার জীবন ও আমার সম্পদ তাতে উৎসর্গ করবো। আর যদি আমি এতে নিহত হই, তবে আমি হবো মর্যাদাবান শহীদ। আর যদি আমি ফিরে আসি, তবে আমি হবো জাহান্নাম থেকে মুক্ত আবু হুরাইরাহ(রা)। (নাসাঈ, হা/৩১৭৩, ৩১৭৪; মুসনাদে আহমাদ, ২/২২৯, হা/৭১২৮; মুস্তাদরাক হাকিম, ৩/৫১৪, হা/৬১৭৭; সাঈদ ইবনে মানছূর, আস-সুনান, হা/২৩৭৪; নুআইম ইবনে হাম্মাদ, আল-ফিতান, হা/১২৩৭)তাহক্বীক্ব:আহমাদ শাকির বলেন, এর সানাদ ছহীহ। (আহমাদ শাকির, তাহক্বীক্ব মুসনাদে আহমাদ, ২/২২৯, হা/৭১২৮)ইমাম নাছিরুদ্দীন আলবানী বলেন, এর সানাদ দুর্বল। (নাছিরুদ্দীন আলবানী, তাহক্বীক্ব নাসাঈ, হা/৩১৭৩)ইয়াসির হাসান বলেন, এর সানাদ দুর্বল। (ইয়াসির হাসান, তাহক্বীক্ব নাসাঈ, হা/৩১৭৩)শু’আইব আরনাউত্ব বলেন, এর সানাদ দুর্বল জাবরইবনে আ’বিদাহ এর কারণে। (শু’আইব আরনাউত্ব, তাহক্বীক্ব মুসনাদে আহমাদ, ২/২২৯, হা/৭১২৮)হাফিয যুবাইর আলী যাঈ বলেন, এর সানাদ দুর্বলকেননা জাবর ইবনে আ’বিদাহ কে ইবনে হিব্বান ব্যতীত কেউ ছিক্বাহ বলেন নি। (যুবাইর আলী যাঈ, তাহক্বীক্ব নাসাঈ, হা/৩১৭৫)ইমাম ইবনে হিব্বান জাবর ইবনে আ’বিদাহ কে ছিক্বাহ বলেছেন। (ইবনে হিব্বান, আছ-ছিক্বাত,৪/১১৭, রাবী নং ২০৭৬)এছাড়া অন্য কোন মুহাদ্দিছ তাকে ছিক্বাহ বলেন নি। আর এটা সবারই জানা আছে যে, ইমাম ইবনে হিব্বান, ইমাম তিরমিযী, ইমাম হাকিম “মুতাসাহিল বা শিথিল” ছিলেন। তাদের একক ভাবে কাউকে ছিক্বাহ বলা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু যদি তাদের মধ্যে (ইমাম ইবনে হিব্বান, ইমাম তিরমিযী, ইমাম হাকিম) অন্তত ২জন কাউকে ছিক্বাহ বলেন এবং উক্ত রাবী সম্পর্কে যদি কোন জারাহ না থাকে, তবে ঐ রাবী অবশ্যই মাজহূল না হয়ে হাসানুল হাদীছ হবেন। আলহামদুলিল্লাহতাই জাবর ইবনে আ’বিদাহ মাজহূল।এই হাদীছটির অপর একটি সানাদ রয়েছে। (ইবনে আবী আছিম, কিতাবুল জিহাদ, হা/২৯১)কিন্তু এর সানাদে হাশিম ইবনে সাঈদ আছেন যিনি দুর্বল। (মিযযী, তাহযীবুল কামাল, রাবী নং ৬৫৩৮)এই হাদীছটির অপর আরেকটি সানাদ রয়েছে। (মুসনাদে আহমাদ, ২/৩৬৯, হা/৮৮২৩)কিন্তু এর সানাদে বারা’ ইবনে আবদুল্লাহ আছেন যিনি দুর্বল। (মিযযী, তাহযীবুল কামাল, রাবী নং ৬৫১)এছাড়াও হাসান বাছরী এই হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু হুরাইরাহ(রা) থেকে। আর তিনি আবু হুরাইরাহ(রা) থেকে শুনেন নি। (ইবনে আবু হাতিম, কিতাবুল মারাসীল, রাবী নং ৫৪)এছাড়াও হাসান বাছরী মুদাল্লিস ছিলেন। (ইবনেহাজার আসক্বালানী, ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৪০)আর একজন মুদাল্লিসের হাদীছ তখনই গ্রহণ করা যাবে যখন উক্ত রাবী ‘হাদ্দাছানা’ বা ‘সামি’তু’ বা ‘আখবারানা’ বা ‘ছানা’ বলবে অথবা উক্ত রাবীর বর্ণিত হাদীছের শাওয়াহিদ ছহীহ হাদীছ থাকবে। কিন্তু উক্ত হাদীছের কোন শাওয়াহিদ ছহীহ হাদীছ নেই। যেগুলো রয়েছে তা সবই দুর্বল।হাদীছ নং ৩:حَدَّثَنَابَقِيَّةُبْنُالْوَلِيدِ،عَنْصَفْوَانَ،عَنْبَعْضِالْمَشْيَخَةِ،عَنْأَبِيهُرَيْرَةَ،رَضِيَاللَّهُعَنْهُقَالَ:قَالَرَسُولُاللَّهِصَلَّىاللهُعَلَيْهِوَسَلَّمَ،وَذَكَرَالْهِنْدَ،فَقَالَ:لَيَغْزُوَنَّالْهِنْدَلَكُمْجَيْشٌ،يَفْتَحُاللَّهُعَلَيْهِمْحَتَّىيَأْتُوابِمُلُوكِهِمْمُغَلَّلِينَبِالسَّلَاسِلِ،يَغْفِرُاللَّهُذُنُوبَهُمْ،فَيَنْصَرِفُونَحِينَيَنْصَرِفُونَفَيَجِدُونَابْنَمَرْيَمَبِالشَّامِقَالَأَبُوهُرَيْرَةَ:إِنْأَنَاأَدْرَكْتُتِلْكَالْغَزْوَةَبِعْتُكُلَّطَارِفٍلِيوَتَالِدٍوَغَزَوْتُهَا،فَإِذَافَتْحَاللَّهُعَلَيْنَاوَانْصَرَفْنَافَأَنَاأَبُوهُرَيْرَةَالْمُحَرِّرُ،يَقْدَمُالشَّامَفَيَجِدُفِيهَاعِيسَىابْنَمَرْيَمَ،فَلَأَحْرِصَنَّأَنْأَدْنُوَمِنْهُفَأُخْبِرُهُأَنِّيقَدْصَحِبْتُكَيَارَسُولَاللَّهِ،قَالَ:فَتَبَسَّمَرَسُولُاللَّهِصَلَّىاللهُعَلَيْهِوَسَلَّمَوَضَحِكَ،ثُمَّقَالَ:هَيْهَاتَهَيْهَاتَআবু হুরাইরাহ(রা) বলেন, রসূল(স) হিন্দুস্থানের প্রসঙ্গে বলেন, অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্থানে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তা’আলা সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন। তারা হিন্দুস্থানের রাজাদেরকে শিকল পড়িয়ে টেনে আনবে। আল্লাহ তা’আলা (যারা যুদ্ধ করবে) তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন এবং যারা ফিরে আসবে, তারা ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ) কে সিরিয়ায় পাবে।আবু হুরাইরাহ(রা) বলেন, আমি যদি সেই গাযওয়াপেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রয় করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণকরতাম। যখন আল্লাহ তা’আলা আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরাইরাহ(রা) হতাম, যে কিনা সিরিয়ায় ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ) কে পাওয়ার গর্ব নিয়ে ফিরতো।আবু হুরাইরাহ(রা) বলেন, হে রসূল(স)! আমার অনেক ইচ্ছা হয় সেই সময়টা পেতে, যখন আমি ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম ও আমি তাকে বলতে পারতাম যে, আমি রসূল(স) এর একজন ছাহাবী। তখন রসূল(স) মুচকি হাসলেন এবং বললেন, খুব কঠিন, খুব কঠিন। (নুআইম ইবনে হাম্মাদ, আল-ফিতান, হা/১২৩৬; মুসনাদে ইসহাক্ব ইবনে রাহওয়াইহ, হা/৫৩৭)তাহক্বীক্ব:এই হাদীছের রাবী বাক্বিয়্যাহ ইবনুল ওয়ালীদ মুদাল্লিস ছিলেন। (ইবনে হাজার আসক্বালানী, ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ১১৭)যদিও ইসমাঈল ইবনে আইয়্যাশ তার মুতাবাআ’ত করেছেন। (মুসনাদে ইসহাক্ব ইবনে রাহওয়াইহ, হা/৫৩৭)কিন্তু তিনিও মুদাল্লিস ছিলেন। (ইবনে হাজারআসক্বালানী, ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, রাবী নং ৬৮)আর একজন মুদাল্লিসের হাদীছ তখনই গ্রহণ করা যাবে যখন উক্ত রাবী ‘হাদ্দাছানা’ বা ‘সামি’তু’ বা ‘আখবারানা’ বা ‘ছানা’ বলবে অথবা উক্ত রাবীর বর্ণিত হাদীছের শাওয়াহিদ ছহীহ হাদীছ থাকবে। কিন্তু উক্ত হাদীছের কোন শাওয়াহিদ ছহীহ হাদীছ নেই। যেগুলো রয়েছে তা সবই দুর্বল।এছাড়াও এই হাদীছের অপর রাবী ছফওয়ান ইবনে আমর “কিছু শাইখ বর্ণনা করেছেন আবু হুরাইরাহ(রা) থেকে” এভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। এখানে তার “কিছু শাইখ” মাজহূল। এটিও হাদীছটি দুর্বল হওয়ার অন্যতম কারণ।হাদীছ নং ৪:حَدَّثَنَاالْحَكَمُبْنُنَافِعٍ،عَمَّنْحَدَّثَهُعَنْكَعْبٍ،قَالَ:يَبْعَثُمَلِكٌفِيبَيْتِالْمَقْدِسِجَيْشًاإِلَىالْهِنْدِفَيَفْتَحُهَا،فَيَطَئُواأَرْضَالْهِنْدِ،وَيَأْخُذُواكُنُوزَهَا،فَيُصَيِّرُهُذَلِكَالْمَلِكُحِلْيَةًلَبَيْتِالْمَقْدِسِ،وَيُقْدِمُعَلَيْهِذَلِكَالْجَيْشُبِمُلُوكِالْهِنْدِمُغَلَّلِينَ،وَيُفْتَحُلَهُمَابَيْنَالْمَشْرِقِوَالْمَغْرِبِ،وَيَكُونُمَقَامُهُمْفِيالْهِنْدِإِلَىخُرُوجِالدَّجَّالِকা’ব(রা) বলেন, বাইতুল মুক্বাদ্দাসের (জেরুসালেমের) একজন রাজা তার একটি সৈন্যবাহিনী হিন্দুস্থানের দিকে পাঠাবেন। সৈন্যরা হিন্দুস্থানের ভূমি ধ্বংস করে দিবেএবং হিন্দুস্থানের ধন-ভাণ্ডার দখল করে নিবে। তারপর রাজা এসব ধন-সম্পদ দিয়ে বাইতুল মুক্বাদ্দাস (জেরুসালেম) সজ্জিত করবে। এই দলটি বাইতুল মুক্বাদ্দাসের (জেরুসালেমের) রাজার দরবারে হিন্দুস্থানেররাজাদেরকে উপস্থিত করবে। ঐ রাজার নির্দেশে তার সৈন্যবাহিনী পূর্ব থেকে পশিম পর্যন্ত সকল এলাকা বিজয় করবে এবং হিন্দুস্থানে ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান করবে, যতক্ষণ না দাজ্জালের আগমন ঘটে। (নুআইম ইবনে হাম্মাদ, আল-ফিতান, হা/১২৩৫)তাহক্বীক্ব:এই হাদীছের রাবী হাকাম ইবনে নাফি “আমাকে হাদীছ বলেছেন তিনি, যিনি কা’ব(রা) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন” এভাবে হাদীছটি বর্ণনাকরেছেন। অর্থাৎ, যিনি কা’ব(রা) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন, তিনি মাজহূল।সুতরাং, মাজহূল রাবীর বর্ণনা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।হাদীছ নং ৫:حَدَّثَنَاالْوَلِيدُ،ثَنَاصَفْوَانُبْنُعَمْرٍو،عَمَّنْحَدَّثَهُ،عَنِالنَّبِيِّصَلَّىاللهُعَلَيْهِوَسَلَّمَقَالَ:يَغْزُوقَوْمٌمِنْأُمَّتِيالْهِنْدَ،يَفْتَحُاللَّهُعَلَيْهِمْحَتَّىيَأْتُوابِمُلُوكِالْهِنْدِمَغْلُولِينَفِيالسَّلَاسِلِ،فَيَغْفِرُاللَّهُلَهُمْذُنُوبَهُمْ،فَيَنْصَرِفُونَإِلَىالشَّامِ،فَيَجِدُونَعِيسَىابْنَمَرْيَمَعَلَيْهِالسَّلَامُبِالشَّامِরসূল(স) বলেন, আমার উম্মাতের কিছু লোক হিন্দুস্থানে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে সফলতা দান করবেন। এমনকি তারা হিন্দুস্থানের রাজাদেরকে শিকলবদ্ধ করবে। আল্লাহ তা’আলা ঐ সকল লোকদেরকে (যারা যুদ্ধ করবে) ক্ষমা করে দিবেন। যখন তারা সিরিয়ার দিকে অগ্রসর হবে, তখন তারা ঈসা ইবনে মারইয়াম(আ) কে সেখানে পাবে। (নুআইম ইবনে হাম্মাদ, আল-ফিতান, হা/১২৩৯)তাহক্বীক্ব:এই হাদীছের রাবী ছফওয়ান ইবনে আমর “আমাকে হাদীছ বলেছেন তিনি, যিনি রসূল(স) থেকে হাদীছবর্ণনা করেছেন” এভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ, যিনি রসূল(স) থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন, তিনি মাজহূল।সুতরাং, মাজহূল রাবীর বর্ণনা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।এখানে অনেকে বলতে পারেন যে, তিনি হয়তো কোন ছাহাবী থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র একজন ছাহাবী আবদুল্লাহ ইবনেবুসর(রা) ছাড়া অন্য কোন ছাহাবী থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন নি। (যাহাবী, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ৬/৩৮০, রাবী নং ১৬০)এমনকি ইমাম ইবনে হিব্বান তাকে তাবি-তাবিঈ বলেছেন। (ইবনে হিব্বান, মাশাহীরু উলামায়িল আমছার, রাবী নং ১৪১৩)অর্থাৎ, তিনি হয়তো কোন ছাহাবী কে দেখেন নি। আল্লাহু আ’লামতিনি বেশীরভাগ হাদীছ তাবিঈদের থেকে বর্ণনা করেছেন। তাই শুধুমাত্র ধারণা করে বলা উচিত নয় যে, তিনি হয়তো কোন ছাহাবী থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। আল্লাহু আ’লামসুতরাং, “গাযওয়াতুল হিন্দ” এর ব্যাপারে আলোচ্য প্রথম হাদীছটি ছাড়া অন্য হাদীছসমূহ দুর্বল। আলহামদুলিল্লাহমূলত ৪৪ হিজরি সনে মু’য়াবিয়াহ(রা) এর আমলে মুসলমানগণ হিন্দুস্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। সুলত্বান মাহমুদ হিন্দুস্থানে চতুর্দিক থেকে আক্রমণ করেন। তিনি হিন্দুস্থানে প্রবেশ করে শত্রু নিধন করেন, তাদের অনেককে বন্দী করেন এবং বিপুল পরিমাণ গণীমাতের মাল হস্তগত করেন। তিনি সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করেন এবং সেখানকার প্রধান মূর্তি বিধ্বস্ত করেন। তিনি বিপুল পরিমাণ তরবারী ও মাল প্রভৃতি হস্তগত করে আল্লাহর সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করেন। (ইবনে কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ৯/২১৮, ২১৯)কিন্তু ভবিষ্যতে হিন্দুস্থানে জিহাদ হবে কিনা সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। এই বিষয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়।তাই আমাদের সকলের উচিত তাক্বলীদ মুক্ত হয়ে ক্বুর’আন ও ছহীহ হাদীছ দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করা এবং মেনে চলা। আল্লাহ আমাদের সকলকে হিদায়াতদান করুক। আমীন

রবিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৯

How big our universe


How big our universe?



আকাশগঙ্গার ব্যাস আনুমানিকভাবে ১০০,০০০ আলোকবর্ষ বা ৯×১০১৭ কিলোমিটার। ধারণা করা হয় এই ছায়াপথে কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ বিলিয়ন পর্যন্ত নক্ষত্র রয়েছে।(১)
 (১)bn.m.wikipedia.org/wiki/আকাশগঙ্গা
(১)www.universetoday.com/22285/facts-about-the-milky-way

(১)web.archive.org/web/20070512093341/http://seds.org/MESSIER/more/mw.html

♥and at least 100 billion planets.(২)

(২)web.archive.org/web/20140723213047/http://hubblesite.org/newscenter/archive/releases/2012/07/full

(২)hubblesite.org/news_release/news/2012-07

আরো এমন ১০০ বেশি ছায়াপথ সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে(৩)
(৩)bn.m.wikipedia.org/wiki/ছায়াপথসমূহের_তালিকা


জ্যোতির্বিদরা মনে করছেন দৃশ্যমান মহাবিশ্বে প্রায় ১০০ বিলিয়ন (১০+১১) গ্যালাক্সি আছে। এই গ্যালাক্সিরা খুব ছোট হতে পারে, যেমন মাত্র ১০ মিলিয়ন (বা ১ কোটি) তারা সম্বলিত বামন গ্যালাক্সি অথবা খুব বড় হতে পারে, দৈত্যাকার গ্যালাক্সিগুলিতে ১০০০ বিলিয়ন তারা থাকতে পারে (আমাদের গ্যালাক্সি ছায়াপথের ১০ গুণ বেশী)। দৃশ্যমান মহাবিশ্বে আনুমানিক ৩ x ১০+২৩টি তারা থাকতে পারে। (৪)
(৪)van Dokkum, Pieter G; Conroy, Charlie (২০১০)। "A substantial population of low-mass stars in luminous elliptical galaxies"। Nature। 468: 3।

সৌরজগতের মধ্যে আছে: আটটি গ্রহ, তাদের ১৭৩টি জানা প্রাকৃতিক উপগ্রহ, কিছু বামন গ্রহ ও তাদের চারটি কিছু প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং কোটি কোটি ক্ষুদ্র বস্তু।(০)


(০).www.ifa.hawaii.edu/~sheppard/satellites
(০). bn.m.wikipedia.org/wiki/সৌরজগৎ

উর্ট মেঘ অঞ্চলের শেষ সীমাকেই সৌরজগৎ এর শেষ সীমা বলে ধরা হয়৷নেডারল্যাণ্ডের জ্যোর্তিবিজ্ঞানী জা হেন্দ্রিক উর্ট এবং ইষ্টোনিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্নেষ্ট ওপিকের নামে নামকরণ করা এই অঞ্চল সূর্য থেকে ২০০০-৫০০০ জ্যোর্তিবিজ্ঞান একক (A.U.) থেকে 50,000 জ্যোর্তিবিজ্ঞান একক (A.U.) পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে প্লুটো (বামন গ্রহ)এর দূরত্ব মাত্র ৩০-৪৯ জ্যোর্তিবিজ্ঞান একক (A.U.)৷(৫) (৫)solarsystem.nasa.gov

(৫)solarsystem.nasa.gov/planets/profile/?Object=KBOs&Display=OverviewLong

(৫)bn.m.wikipedia.org/wiki/উর্ট_মেঘ

সারা পৃথিবীর মোট বালুকণার সংখ্যার চেয়েও বেশি তারা[৭][৮][৯] সহ অন্তত দুই লক্ষ কোটি ছায়াপথ পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বে অবস্থিত[১০][১১]।

৭/ astronomy.swin.edu.au/~gmackie/billions.html

$/ Mackie, Glen (১ ফেব্রুয়ারি ২০০২)। "To see the Universe in a Grain of Taranaki Sand"। Centre for Astrophysics and Supercomputing। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৭।

৮/ edition.cnn.com/2003/TECH/space/07/22/stars.survey

&/ "CNN.com - Star survey reaches 70 sextillion - Jul. 23, 2003"। www.cnn.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৭।

৯/ www.npr.org/sections/krulwich/2012/09/17/161096233/which-is-greater-the-number-of-sand-grains-on-earth-or-stars-in-the-sky

১০/arxiv.org/abs/1607.03909v2

iopscience.iop.org/article/10.3847/0004-637X/830/2/83/meta

১১/ www.nytimes.com/2016/10/18/science/two-trillion-galaxies-at-the-very-least.html



আমাদের পর্যবেক্ষণ যোগ্য মহাবিশ্বের ব্যাস প্রায় ৯৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ (১০০)

(১০০) books.google.com.bd/books?id=fFSMatekilIC&pg=PA27&redir_esc=y#v=onepage&q&f=false

Itzhak Bars; John Terning (নভেম্বর ২০০৯)। Extra Dimensions in Space and Time। Springer। পৃষ্ঠা 27–। আইএসবিএন 978-0-387-77637-8। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১১।



বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮


আমি নেংটি ইঁদুরের বংশধর হতে চাই না!
আমি আগে জানতাম বিবর্তনবাদীরা বলে বিরাত আমাদের পূর্বপুরুষ হচ্ছে প্রাইমেট প্রজাতির অর্ন্তগত এপ জাতীয় প্রাণী [ (যেমনঃবানর,শিম্পাঞ্জি(1)]মানুষ বিবর্তনের পথ ধরে এসেছে এইসব প্রাণী থেকে, এখন দেখি আমাদের দেশের সুনামধন্য পদার্থবিবিদ ও  শিক্ষাবিদ ড.মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল বলছেন আমাদের পূর্বপুরুষ নাকি ছোট ইঁদুরের মতো প্রাণী! (2) এ কেমন ফতোওয়া আমাদের দেশের পদার্থবিদের হঠাৎ জীববিজ্ঞানী হয়ে?খুবই আফসোস যে আমরা যখন দেখি আপনাদের মতো শিক্ষাবিদ বিষাক্ত বিষ পান করাচ্ছেন আমাদের মতো কিশোর -কিশোরীদের।
-তুমি কি জান যে মানুষ আর বানরের মধ্যে জিনিটিক্স বিষয়ে অনেক মিল আছে! এটা কি প্রমাণ করে না যে আমাদের পূর্বপুরুষ বানর?
- খুবই ভালো কথা বলেছেন, তাহলে তো আপনাদের পূর্বপুরুষ কলাগাছের কলা?
-কি সব আবোল তাবোল বগছ?
-আমরা কোনো কথা বললে তো তা আপনাদের কাছে আবোল তাবোল, অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক, মিথ্যা,ফালতু আর অসার তাই না? আর আপনারা কিছু বললে তা হয়ে যায় কোনো আফ্রিকার জঙ্গলে তপস্যা করা কোনো মনি ঋষির সাধু কথা,বৈজ্ঞানিক, যৌক্তিক!
-ইয়ে মানে.........
- যদি আমরা ধরে নেই যে জিনিটিক্স বিষয়ে মিল থাকার ফলে এটা প্রমাণ করে যে আমাদের পূর্বপুরুষ বানর!তাহলে আপনাদের পূর্বপুরুষ তো কলাগাছের কলা ও! কারণ মানুষের সাথে কলাগাছের কলার জিনিটিক্স বিষয়ের মধ্যে মিল আছে ৬০%(3)
-তাহলে তো বিবর্তনবাদীদের আজ থেকে পূর্বপুরুষ কলাগাছের কলা ও!
- খুবই আশ্চর্যকথা তাই না, কলা তাদের পূর্বপুরুষ! হ্যা হ্যা হ্যা......

Reference...........
[1] কিছুই করার নেই একেক জন একেক কথা বলে তো!
[2]বিগ ব্যাং থেকে হোমো স্যাপিয়েনস পৃ:৪০;লেখক ড.মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল
[3]https://www.getscience.com/content/how-genetically-related-are-we-bananas

সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮

মুহাম্মাদ(সা)-এর মদীনায় হিজরতঃএকটি অতিরঞ্জিত কাহিনী






মুহাম্মাদ(সা)-এর মদীনায় হিজরতঃএকটি অতিরঞ্জিত কাহিনী

হিজরতের কাহিনীতে বহু কিছু অতিরঞ্জিত বর্ণনা যুক্ত হয়েছে। যার কোন ভিত্তি নেই। যেমন, (ক) রাসূল (ছাঃ) ছওর গুহায় প্রবেশের পর আবুবকর (রাঃ) গুহাটি পরিষ্কার করলেন এবং নিজের পায়জামা ছিঁড়ে এর মধ্যেকার গর্তগুলি পূরণ করে দেন। কিন্তু দু’টি গর্ত পূরণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে তিনি ঐ দু’টি গর্তের মুখে পা দিয়ে রাখেন। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) তাঁর উরুতে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সাপ কিংবা বিচ্ছু আবুবকর (রাঃ)-এর পায়ে দংশন করে। এতে তিনি যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন। কিন্তু রাসূল (ছাঃ) জেগে উঠবেন সেই ভয়ে নড়াচড়া করেননি। একপর্যায়ে বিষের তীব্র যন্ত্রণায় তার চোখের পানি রাসূল (ছাঃ)-এর মুখে ঝরে পড়লে তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। তখন রাসূল (ছাঃ) নিজের মুখের লালা ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে বিষের যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার বিষের ব্যথা ফিরে আসে এবং এটাই ছিল তাঁর মৃত্যুর কারণ’।[1] আবুবকর ঐ সময় কাঁদছিলেন এবং বলছিলেন, আল্লাহর কসম! আমি নিজের জন্য কাঁদছিনা, বরং আমি ভয় পাচ্ছি হে রাসূল! আপনার কি হবে? এছাড়া (খ) ছওর গুহার মুখে মাকড়সার জাল বোনা, (গ) একটি বৃক্ষের জন্ম হওয়া ও রাসূল (ছাঃ)-কে ঢেকে দেওয়া (ঘ) সেখানে এসে দু’টি কবুতরের বাসা বাঁধা ও তাতে ডিম পাড়া ইত্যাদি সবই বানোয়াট ও কল্পকাহিনী মাত্র।[2] বরং এটাই সঠিক যে, আল্লাহ ফেরেশতা পাঠিয়ে তাঁদেরকে গায়েবী মদদ করেছিলেন এবং কুরায়েশদের প্রেরিত অনুসন্ধানী দলের দৃষ্টিকে আল্লাহ অন্যদিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। যা আবুবকর (রাঃ)-এর বক্তব্য থেকেই বুঝা যায়। পরবর্তীতে বদরের যুদ্ধে ফেরেশতা পাঠিয়ে আল্লাহ একইভাবে গায়েবী মদদ করেন (আনফাল ৮/৯)। বস্ত্ততঃ এই সাহায্য নবী ও তাঁর সনিষ্ঠ অনুসারী মুমিনগণ সর্বদা পেয়ে থাকেন।[3]
Reference.........
[1]. রাযীন, মিশকাত হা/৬০২৫; আর-রাহীক্ব ১৬৪-৬৫ পৃঃ। বর্ণনাটি ‘মওযূ’ বা জাল (ঐ, তা‘লীক্ব ১০৪-০৭)।
[2]. সিলসিলা যঈফাহ হা/১১২৮-২৯; মা শা-‘আ ৮০ পৃঃ।
[3]. আম্বিয়া ২১/৮৮; রূম ৩০/৪৭।
(১) জানা আবশ্যক যে, গুহা মুখে মাকড়সা সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা ‘মুনকার’ বা যঈফ। যেমন রাসূল (ছাঃ) আবুবকরকে বলছেন, جَزَى اللهُ عَزَّ وجَلَّ العنكبوتَ عنا خيرًا، فإنها نَسَجَتْ عليَّ وعليكَ يا أبا بكرٍ في الغار، حتَّى لَمْ يَرَنا المشركونَ ولم يَصِلُوا إلينا ‘আল্লাহ আমাদের পক্ষ হ’তে মাকড়সাকে উত্তম পুরস্কার দিন। কেননা সে আমার ও তোমার উপরে হে আবুবকর! গুহাতে জাল বুনেছে। ফলে মুশরিকরা আমাদের দেখতে পায়নি এবং আমাদের কাছে পৌঁছতে পারেনি’ (মুসনাদে দায়লামী; সিলসিলা যঈফাহ হা/১১৮৯, ৩/৩৩৭ পৃঃ)। শায়খ আলবানী উপরোক্ত বর্ণনা উল্লেখ করার পর বলেন, গুহার মাকড়সা ও দুই কবুতরের ডিম পাড়া সম্পর্কে যেসব লেখনী ও বক্তব্যসমূহ প্রচলিত রয়েছে, সেগুলির কিছুই সঠিক নয়’ (যঈফাহ ৩/৩৩৯; মা শা-‘আ ৮৩ পৃঃ)।
(২) প্রসিদ্ধ আছে যে, রাসূল (ছাঃ)-কে না পেয়ে কুরায়েশ নেতারা আলী (রাঃ)-এর উপর নির্যাতন করে (আর-রাহীক্ব ১৬৫ পৃঃ, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ১/৯৬)। বর্ণনাটি সূত্র বিহীন। আরও প্রসিদ্ধ আছে যে, আবু জাহল আবুবকরকে না পেয়ে তার কন্যা আসমা (রাঃ)-এর মুখে থাপ্পড় মারেন (আর-রাহীক্ব ১৬৫ পৃঃ)। কিন্তু এর সনদ মুনক্বাতি‘ বা যঈফ ঐ, তা‘লীক্ব ১০৮-০৯; তাহকীক ইবনু হিশাম ক্রমিক ৫১৩।

বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

The miracle of the human body




বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী DNA'র একটি ক্ষুদ্র একককে জিন বলে এমন সবগুলো জিনের সমষ্টি হলো জিনোম।মানুষের (হ্যাপ্লয়েড) জিনোম প্রায় ২.৮-৩.৫ বিলিয়ন (২৮০-৩৫০ কোটি) ক্ষারযুগল নিয়ে গঠিত! ক্ষারগুলোকে A,T,C,এবং G দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
A-Adenine
T-Thymine
C-Cytocine
G-Guanine
আমরা যখন মানব জিনোমের দেখি তাকাই এতে বিদ্যমান তথ্য ও তার জটিলতা দেখি, কোষপ্রতি ৬ বিলিয়ন ক্ষারযুগল (1)অন্যভাবে বললে ৬০০কোটি বর্ণ দ্বারা গঠিত এক বাক্য!  কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো কারণ নাস্তিকদের কাছে তো এই গুলো" ছু মন্তর ছু" ছাড়া আর কিছুই না।
DNA তে যে ইনফরমেশন আছে তা যদি লেখা হয় তাহলে ৯০০ ভলিয়মের এনসাইক্লোপিডিয়া দরকার হবে। যেখানে প্রতিটি ভলিয়মের পৃষ্ঠ হবে ৫০০ করে! একটু ভাবুন, চিন্তা করুন, নিজের কমন সেন্সের ব্যবহার করুন আর প্রশংসা করুন সৃষ্টিকর্তার? আলহামদুলিল্লাহ্‌.....
'আচ্ছ বলছি। DNA -র পূর্ণরূপ হলো' ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড' যা A,T,C,G নাইট্রোজেন বেইজ দ্বারা গঠিত। এ বেইজগুলো ডি-অক্সিজেনেট রাইবোজ -এর সাথে যুক্ত থাকে যাদের নিউক্লিওসাইড বলে।প্রতিটি নিউক্লিওসাইডের রাইবোজ সুগারে ফসফেট যুক্ত হলে গঠিত হয় নিউক্লিওটাইড। এই নিউক্লিওটাইড -ই হলো DNA-এর গাঠনিক একক।এ রকম একেকটি নিউক্লিওটাইড পাশাপাশি বসে যে পলি - নিউক্লিওটাইড চেইন গঠন করে তাকেই DNA বলে
--এক একটি DNA মলিকুলে কতগুলো বেইজ পেয়ার থাকে?
-- প্রায় তিন বিলিয়ন (৩০০ কোটি) বেইজ পেয়ার থাকে!
-- প্রত্যেকটা নিউক্লিওটাইড -এ কতগুলো এটম থাকে?
-- It's easy  answer ৩৪ টি এটম থাকে!
--এবার বলেন দি একটি DNA-তে কতগুলো নিউক্লিওটাইড থাকে?
----একটি DNA-তে ৬ বিলিয়ন (৬০০ কোটি)নিউক্লিওটাইড থাকে!
এবার শোনেন আসল বয়ান ২০০ কোটি এটমকে কেমিক্যালি কম্বাইড হতে হয়, একটা সিংগেল DNA গঠনের জন্য। এক একটা সিংগেল DNA মলিকুল বানাতে কত সময়ের দরকার হবে জানিস?
' না রে তুই বল'।
' আপনি যদি একটি এটমকে এক সেকেন্ডে প্রসেস করতে পারেন, তাহলে দৈনিক ৮ ঘন্টা ব্যয় করে,এ কাজ শেষ করতে সময় লাগবে -২০ হাজার বছরের বেশি!
'এত্ত জটিল!'
' মানবদেহে একটি কোষের DNA-তে প্রায় ২ লক্ষ জিন থাকে '
'দুই লক্ষ!'
'হ্যাঁ,দুই লাখ। এই জিনগুলো মিলে প্রায় দুই লাখ প্রোটিনের কোড বহন করে। এসব কোড কোষের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। একটি মাঝারি ধরনের প্রোটিন প্রায় ৩০০ শ এমাইনো এসিড বহণ করে থাকে। এটাকে যে DNA জীন নিয়ন্ত্রণ করে তার চেইন ১০০০ হাজার নিউক্লিওটাইড থাকে। আচ্ছ অনেক হয়েছে বলেন তো একটি DNA চেইনে কত প্রকার নিউক্লিওটাইড আছে?
'চার প্রকার?'
'সাব্বাস বেটা এই না হলে নাওড়ার স্কুলের পেছনের বেঞ্চির বসা ছাত্র'!
' আরে বেটা নাওড়া হচ্ছে Cambridge University '
'বাদ দে তোর ফাও পেচ্ছাল '
'হ্যাঁ,চার প্রকার। তাহলে আমরা বলতে পারে ১০০০ লিংক যুক্ত যে নিউক্লিওটাইড আছে, তা বিন্যস্ত হতে পারে ৪ উপরে ১০০০ টি শূণ্য উপায়ে?
' ভাই রে এটা তো ক্যালকুলেটরে ধরবে না'
'ঠিক বলেছেন। সত্যি ধরবে না। এর উত্তর হবে ১০এর উপর ৬০০শূণ্য, এই সং্খ্যা আমাদের হিসাবের বাইরে। আর নাস্তিকদের জন্য দুঃখময় খবর এ যে এই হিসাব টা করেছে বিশিষ্ট বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানী Frank Salisbury
'যদি একের পর ৬০০ শূণ্য হয়, তাহলে কাকতালীয়ভাবে বা দৈবভাবে নিউক্লিওটাইড গঠন হওয়ার সম্ভাব্যতা কত?
----শূণ্য ০০০০০০
--- আমাদের দেহের DNA কতটুকু লম্বা তা কি জানিস?
---- এই টা মনে নেই! 2×10-এর উপরে ১০ কিলোমিটার!
এই দূরত্ব এতই বিশাল যে পঞ্চাশ বারের বেশি পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত আসা -যাওয়া করা যাবে।
-----ও হউ মনে পড়েছে,আপনি কি জানেন এক গ্রাম DNA  -তে কী পরিমাণ তথ্য আছে?
---দুঃখিত.....!পারব না.. ;
----- 'মাত্র এক গ্রাম DNA - তে যে তথ্য আছে, তা যদি সিডিতে নেওয়া হয় তাহলে মোট এক ট্রিলিয়ন (১০০০ বিলিয়ন )সিডি লাগবে। কেঊ যদি এ ইনফরমেশন টাইপ করতে চায় তাহলে কেমন সময় লাগবে  জানিস?
--- I don't know
--- You always say I don't know because, you are the students of Cambridge University!
'যদি প্রতি মিনিটে ৩০০ বর্ণ টাইপ করা হয়, তাহলে দৈনিক আট ঘন্টা ব্যয় করার পর মোট সময় লাগবে -৫৭ বছর! আর এই জন্য  I always say"Origin of life is nothing but a miracle?
"যদি DNA - এর ১ বিলিয়ন ৭১৯ মিলিয়ন ৩৪৮ হাজার ৬৩২ তম বেস পেয়ারে ও কোনও লেটার মিসকোডেড হতো তাহলে মানব দেহের কোষের জন্য ক্ষতিকর হত "
আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমাদের দেহে  সে রকম কিছুই হয় নি।
আর এই জন্য বিখ্যাত বায়োকেমিস্ট Fracis Crick তার ' Life Itself'বইতে বললেছেনঃ
"যে ব্যক্তি এখন পর্যন্ত যত জ্ঞান আছে তা আয়ত্ত করেছে, সে কেবল এটাই বলতে পারবে যে  জীবনের উৎপত্তি মিরাকল ছাড়া আর কিছুই নয়"
বিজ্ঞানী Dr.Francis Collins, যিনি Human Genome project -এর হে'দ ডাইরেক্ট। তিনি DNA সম্পর্কে বলেছেনঃ
"Think of DNA as an instructional script, a software program, sitting in the nucleus cell"
এক কালের নাস্তিক গুরু বিজ্ঞানী Dr.Antony Flew বলেছনঃ
"Almost entirely because of the DNA investigation, What i think the DNA materials has done is that it shown,by the almost unbelievable,
Complexity of the arrangments which are needed to produce (life)that interlligence must have been  involved in getting these extraordinarily diverse elements ot work together "
বিখ্যাত বায়োলজিষ্ট Dr.Stephen C Meyer বলেনঃ
" the king of information that DNA contains, namely, functionally specified information And it requires a designer "
Reference..........
(1)https://www.nature.com./scitable/nate/article?action=showcon-tentInPopup&contentPK=310
(1)Donald Voet,Judith G.Voet,Charlotte W.Pratt,Fundamentals of Biochemistry;(John & Sons company, New York, 2nd ed.;2006)
(2)Edward Staunton, Wilbert,Howards,John,Text book of Biochemistry ;(Oxford & IBH company, New Delhi,India)
(3) Mohan Mia, Sarwar Akram,Nazmul Haque,Introduction of Genetics ;(Crescent Publishing House,January 2002)
(4)Harun Yahyah, If Darwin Had know about DNA(Global Publishing, Istanbul,Turkey, 2008)
(5)MN Chatterjea,Rana Shinde,Text book of Medical Biochemistry(Jaypee Brothers New Delhi,India)
(6) Francis Crick, Life Itself :It Origin and Nature ( Simon & Schuster,New York, 1982)
(7)Philip E. Johnson, Defeating Darwinism by Opening Minds(Interversity Press,Lllionis, 1997)
(8)Harun Yahya, The miracle of Creation DNA (Godword Books, New Dehli India 2002)
(9)https://www.theguardian.com/science/2009/jan/21/Charles-darwin-evolution-species-tree-life
(10)https://www.newscientist.com/article/mg-20126921.600why-darwin-was-wrong-about-the-tree-of-life
(11)If Darwin had know about DNA-Dr.Harun Yahya
(12) There is God:How the Worlds most notorious atheist changed his mind-Dr.Antony Flew
(13)Siganature in the Cell-Dr.Stephen C Meyer

(14)Language of God -Dr.Francis Collins





মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮

হুমায়ুন আজাদ:কুম্ভিলক ও দণ্ডিত অপুরুষ


         



                                      হুমায়ুন আজাদ:কুম্ভিলক ও দণ্ডিত অপুরুষ
  
হুমায়ুন আজাদ বলেন:
"আরব নারীদের নানা ইতিহাস লিখা হয়েছে ;সবগুলোতেই স্বীকার করা হয় যে ইসলামপূর্ব আরবে অনেক বেশী ছিল নারীদের স্বাধীনতা  ও অধিকার তারা অবরোধ থাকত না অংশ নিত সমস্ত সামাজিক ক্রিয়াকাণ্ড ; এমনি তাদের প্রাধান্য ছিল সমাজে ''......প্রচারের ফলে মুসমানদের মধ্যে জম্মেছে এমন এক বদ্ধমূল ধারণা যে ইসলামপূর্ব আরব নারীদের অবস্থা ছিল শোচনীয় ;ইসলাম তাদের উদ্ধার করে। প্রতিটি ব্যবস্থা পূর্ববর্তী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় ;তবে ঐতিহাসিকভাবে সাধারনত সত্য হয় না "(1)
তার এই অসার কথা নিয়েই আজকের লেখা, তার বক্তব্য যে মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না তা আমি  ইসলামিক বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রমাণ করে দিতে পারে, যে ইসলাম নারীকে দিয়েছে সবোর্চ্চ অধিকার এবং কুরআন নাযিলের আগে আরবদের কাছে নারীরা ছিল হাতের খেলার পুতুল আর ভোগের বস্তু ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু আজকে আমি ইসলামি সোর্স থেকে তা প্রমাণ করব না, কারণ কারণ আমাদের বঙ্গীয় নাস্তিকদের আবার ঘন্টায় ৩২ কিলোমিটার বেগে হাতের চুলকানি শুরু হবে কমেন্ট করা জন্য
আসুন দেখি নিই কুরআন নাযিলের আগে নারীদের অবস্থা কি রকম ছিল আরবে?
উইকিপিডিয়ায়য় বলা হয়েছে :
"আরবসমাজ ছিল বর্বর,এতটাই বর্বর ছিল যে তারা নারীদের মানুষ বলেই মনে করতো না। অভিজাত শ্রেণীর নারীরা ছাড়া অন্য নারীদের কোনো মর্যাদা দেওয়া হত না। নারীরা ধর্মীয় কাজে অংশ নিতে পারত না। তাদের ছাগল কিংবা ভেড়ার মতো মনে করা হতো।সমাজে তারা মতামত প্রকাশ করতে পারত না।বিয়ে কিংবা তালাকের ব্যাপারেও তাদের মতামত নেওয়া হতো না।এমন কি কোনো নারীর স্বামী যদি মারা যেত তাহলে সৎ ছেলে উত্তরাধিকার হিসেবে তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণণ করত। মূলতত নারী ছিল পুরুষের দাসী কিন্তু ইসলাম আসাত পর এ অবস্থার পরিবর্তিত হয়"(2)
ঐতিহাসিক Kren Armstrong বলেন:
"কোন রকম অনুশোচনা ছাড়াই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হত। আসলে ক্রীতদাসের মতো নারীদের কোনো রকম আইনগত বা মানবাধিকার ছিল না। কেবল তুচ্ছ সম্পদ হিসেবে তারা বিবেচিত হতো। তাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হত।তারা সামগ্রিক অবস্থার উন্নতির আশাই  করতে পারত না। পুরুষরা ইচ্ছামাফিক অসং্খ্যা বিয়ে করতে পারত (3)
ইতিহাসের অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক  Sir William Gibbon বলেন :
"আদিম সমাজ (আরবের) জঘন্য পরিস্থিতির মধ্যে আইন-কানুন,ভাষা ও জ্ঞানবিবর্জিত সমাজ নামের অযোগ্য এই নররূপী পশুদিগকে অন্যান্য ইতর জীব হতে পৃথক করা যায় না" (4)
ইতিহাসের অন্যতম সেরা অন্যতমম ব্যক্তি Sir William Muir বলেন:
"আরবদের মধ্যে ছিল কুংস্কার ও অজ্ঞতার পূর্ণ ভীতি"(5)
ইসলাম নারীকে কতটা মর্যাদা দিয়েছে তা একজন ইসলাম বিদ্বেষী নারীবাদী লেখক নারী রাখী বমর্ণ বলেন:
"ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যেখানে নারীদের চূড়ান্ত মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে"(6)
উপরের আলোচনা থেকে এই কথা প্রমানিত হয় যে বাংলার কুখ্যাত Plagiarist  (7)হুমায়ুন আজাদ ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য  মিথ্যেচার ছাড়া আর কিছু করে নি।
Reference.......... 
(1)হুমায়ুন আজাদ, নারী,পৃ:৮১;
(2)https://en.Wikipedia.org/wiki/Women_in_pre_Islamic_Arabia
(3)Kren Armstrong, MUHAMMAD A biography of the prophet p.68
(4)Badruddza, Muhammad (sm):His teachings and Contribution P.39
(5)Sir William Muir,Life of Mahomet; P.509 (London,1858)
(6) Women in politics and Development(রাজনীতি ও উন্নয়নে নারী) P.75
(৭) Plagiarist  বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে যে অন্য গবেষণা বা লেখা বা থিসিস নিজের নামে চালিয়ে দেয়।এই সম্পর্কে কোনো দিন আশা করে লিখব ইনশাআল্লাহ। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন জাকারিয়া মাসুদ ভাইয়ের বই"সংবিৎ"পৃ:১২০-১৩৪ এবং 'চতুরঙ্গম্যাগাজিন' থেকে প্রকাশিত প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড.মৃণাল নাথের "ভাষাবিজ্ঞানীর এ কোন শোচনীয় পরিণতি "নামক প্রবন্ধ।

কোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে?

কোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে পর্ব-১ কি যেন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা কি আলোচনা নাকি সমালোচনা ঠিক বুঝি উঠতে পারছিলাম না। আমরা উপ...