শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

      The history Of "Hello"

                                                        The history Of "Hello"
                               


                                         You always say 'Hello' When answering the phone.
                         
                                                                       BUT WHY ?
A nice information.

when you lift the phone you say 'Hello'..........? Do you know what is the real meaning  of 'Hello'.It is the name of  a girl......!
YES & Do you know who is that girl....?
I am extremely sorry and said, most of the man fail who use the word.
YES "Margaret Hello"she was the girlfriend of "Graham Bell"who invented telephone... Graham Bell's first word on his phone after his invention was "Hello".That prectice of starting  the call with still continues. one can forget the Graham Bell but not his girlfriend, that is love....!

from here it is clear that, the word "Hello"not relation with religion, morality or tradition.But some people in our Socity who use the word Hello between them in conversation.  Here perfect sentence is Arabic sentence, the Arabic sentence is "আস'সালামু আলাইকুম ওয়া'রাহমাতুল্লাহি ওয়া'বারাকাতুহ" it is translation of Arabic sentence .
This is the manner of "Islam",Islam means 'A complete code of life'
It also rule of Jesus Christ or christianity according to the New Testament in Gospel,Gospel of Luke Ch.24 V.36
So Hi,Hello,Wow, Good morning, Good afternoon,Good evening etc all of them are irreligious.
If we don't fellow the rule of religion, we can't success in present life or life after death.
So it is to be forsaken according to the Hinduism (Gatta Ch.18 V. 66-67)Islam(Sura Aal-e-Imran Ch.3 V.19.and V.85)and Christianity.

শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

একদিন রবিবার....ও...

                                                                    একদিন রবিবার....ও...
.



...........................,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,.................................
অফিস থেকে বাসায় ফিরে আরজু সায়রাকে পড়াতে বসছে।সায়রা আরজুর একমাত্র মেয়ে,ক্লাস টু’তে পড়ে।সায়রাকে আনিকা(আরজুর স্ত্রী)সবসময় পড়ায়।মাঝে মাঝে যখন সময় পায় আরজু তখন পড়ানোর চেষ্টা করে।পড়ানোর সময় প্রতিটা শব্দে শব্দে প্রশ্ন করে সায়রা।আরজুও গুরুত্বসহকারে গুছিয়ে গুছিয়ে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেয়।এজন্যতো আনিকা আরজুকে বলে,এই ক্লাস টু’র মেয়েকে এই বয়সে এতো ডিটেইলস বলার দরকার কি।আরজু বলে,এখন এসব না বুঝলে কখন বুঝবে।
আজ আরজু সপ্তাহের বারের নাম পড়াচ্ছে সায়রাকে।দিনের নাম শুরু Sunday থেকে।Sun Day  শুনার পর সায়রা জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা বাবা,আমিতো পড়েছি Sun মানে তো সূর্য আর Day মানে তো দিন।তাহলে Sunday মানে সূর্যদিন না হয়ে রবিবার হল কেন?”এইতো শুরু সায়রার প্রশ্ন করা।আরজু বললো, “সূর্যের অনেকগুলো প্রতিশব্দ আছে,তারমধ্যে একটি হলো রবি।এজন্য Sunday কে রবিবার বলা হয়।
সায়রা বুঝার ভান করে বললো, “আচ্ছা,তাহলে সূর্যের নামে দিনের নাম রাখা হলো কেনো?” আরজু ভাবলো সেই প্রেক্ষাপট তো অনেক লম্বা,এখন যদি সায়রাকে এসব বলে তাহলে সে বুঝবেনা হয়তো,আবার না বললে যদি এখন শুরু থেকে ভুল জিনিস শিখে তাহলে বড় হয়ে সঠিক জিনিস তো মানতে রাজি হবেনা।মনে মনে কিছুক্ষণ এইসব ভাবতে থাকলো।আরজুকে চুপ থাকতে দেখে সায়রা মনমরা হয়ে বললো, “ওহ বুঝছি আপনি জানেননা!”
আরজু হেসে বললো আচ্ছা বলছি শুনো, “ইউরোপ মহাদেশের নাম তো শুনছো(সায়রা হ্যা সূচক মাথা নাড়লো)।আগে ইউরোপ মহাদেশ দুইটা অংশ ছিলো।একটা দক্ষিণ ইউরোপ আর আরেকটা উত্তর ইউরোপ।দক্ষিণ ইউরোপের লোকেরা বিশ্বাস করতো একজন দেবতা আছেন যিনি শুধুমাত্র আকাশে গোলাকার আলোর বলয় আঁকেন।ল্যাটিন ভাষায় এই দেবতার নাম ‘সালিছ’।এ থেকেই আসছে সালিছ ডে বা সূর্যের দিন।”
সায়রা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চেয়ে বললো, “আর উত্তর ইউরোপের মানুষরা কি ভাবতো?” আরজু বললো, “উত্তর ইউরোপের লোকেরা এই একই দিনকে ‘স্যানেল ডেইজ’ বলে ডাকতো।তাছাড়া ইংরেজী Sunday মূলত উত্তর ইউরোপের লোকদের বলা স্যানেল ডেইজ থেকে এসেছে।”
রোববারের এই কাহিনী শুনে সায়রা অবাক হয়ে বললো, “তাহলে আমরা কেন ঐসব দেবতায় বিশ্বাসীদের দেয়া নাম অনুযায়ী Sunday বলি?” আরজু নিচুস্বরে বললো, “হ্যা,দুঃখজনক হলেও এটাই এখন সারা বিশ্বে প্রচলিত!” এবার সায়রা বললো, “শুনেছি বিদেশে(ইউরোপ-আমেরিকায়) সাপ্তাহিক ছুটি Sunday তে।রোববারে কেন তাদের সাপ্তাহিক ছুটি?”
আরজু বললো, “খ্রিষ্টান এবং ইহুদিরা এই দিনকে Lord’s day  বা ঈশ্বরের দিন বলে থাকে।সপ্তাহে এই দিন তারা গির্জায় যায়,প্রার্থনা করে।এই দিনটা মূলত তাদের উপাসনার জন্য বরাদ্দ।তাই Sunday বা রবিবারে পুরো ইহুদি ও খ্রিষ্ট জগত Holiday  বা ছুটির দিন হিসেবে পালন করে।”
এবার সায়রা বুঝলো রবিবার কেনো ছুটির দিন।এবার জানতে চাইলো, “তাহলে আমাদের ধর্ম রবিবার নিয়ে কি বলে?”সায়রার প্রশ্ন শুনে আরজু খুশি হলো।আরজু বললো, “আমাদের ধর্ম অনুযায়ী,আল্লাহ আকাশের তারা তৈরি করেছেন রবিবারে,জাহান্নাম তৈরি করেছেন রবিবারে,জাহান্নামের ৭ টা দরজা তৈরি করেছেন রবিবারে।আরবীতে রবিবারের নাম ‘ইয়াওমুল আহাদ’।”

একটু চিন্তিত ভঙ্গিতে সায়রা বললো, “তাহলে বাবা,পৌত্তলিকদের দেয়া এইসব নাম কি পরিবর্তন করা যায়না?”আরজু উত্তর দিতে যাবে তখন আনিকা এসে বিদ্রুপের সুরে বললো, “হ্যা,ভালোই তো মেয়েকে পড়াচ্ছো!আধাঘন্টা ধরে কেবল রোববার পড়াচ্ছো।আসো খাবার টেবিলে,রান্না করা শেষ।বাকিটা আমি পড়াবো”
কবি হুমায়ূন আহমেদ ও এক নাস্তিকের অযাচিত মাতবরি?
এটি একতি অখন্ড লেখা!
এক নাস্তিক তার ওয়েবসাইটে কথাগুলো লিখেছেন
নিচের কথা গুলো লক্ষ্য করুনঃ
হুমায়ূন আহমেদ ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ লিখেছিলেন প্রায় ২৪ বছর আগে। মুসলমানরা নিজেরাই সবকিছুতে আল্লা-ধর্ম টেনে আনে, তখন কেউ যদি একটু যুক্তি প্রয়োগ করে তখন তারা কীভাবে পিছলায়, তার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই অংশটুকু। ফেসবুকেও এমন মুসলমানের অভাব নাই। এছাড়া নাস্তিকরা যখন একটু মজা করে কোনো প্রসইওঙ্গে ধর্ম টেনে আনে, তখন এরাই আবার উলটা গান গায়–‘সব কিছুতে ধর্ম টেনে আনেন কেন?’–তখন যে কী মগা লাগে।
যা হোক, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’-এর সেই অংশটুকু দেখা যাক, যেখানে তিনি মুসলমান চরিত্রের একটা পিছলা দিক দেখিয়েছেন–
//ভূঁইয়া স্যার একবার ক্লাসে বলেছিলেন–মেডিকেল প্রফেশনে মাঝে মাঝে তোমরা ভয়াবহ সমস্যায় পড়বে। তখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে। দেখবে এতে নার্ভের জড়তা কেটে যাবে। সহজভাবে চিন্তা করতে পারবে।
শাহানা বলেছিল, নার্ভের জড়তা কে কাটিয়ে দেন? আল্লাহ?
স্যার বলেছিলেন, হয়ত তিনিই কাটান। কিংবা হয়ত তার কাছে প্রার্থনা করার কারণে নিজের মনের ভেতর থেকে এক ধরনের শক্তি আসে।
যে আল্লাহ ডাক্তারের নার্ভের জড়তা কাটান তিনি কেন সরাসরি রোগিকে সুস্থ করে দেন না?
সেটা উনি বলতে পারবেন। আমি পারব না। উনার কর্ম পদ্ধতি বোঝা মানুষের সাধ্যের বাইরে।
শাহানা কঠিন গলায় বলেছিল, স্যার, আমার ধারণা, আল্লাহ্ ধর্ম এইসব মানুষের সৃষ্টি। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেন নি। ম্যান ক্রিয়েটেড গড।
হতে পারে। এটা যেহেতু ধর্মতত্ত্বের ক্লাস না সেহেতু আমরা আমাদের টপিকে ফিরে যাই–শরীরতত্ত্ব।/
এখানে মূলত প্রশ্ন টা হলো যে
যে আল্লাহ ডাক্তারের নার্ভের জড়তা কাটান তিনি কেন সরাসরি রোগিকে সুস্থ করে দেন না?
আচ্ছা আমি আপনাদের একটা প্রশ্ন করে আর আপনারা ভেবে দেখবেন
যে শিক্ষক শিক্ষার্থীকে কিভাবে পরীক্ষায় পাশ করতে তা শিক্ষা দেয়, তিনি কেন সরাসরি শিক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেন না?






https://chutrapata.wordpress.com/2018/04/29/%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%a3-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%98%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8/

লুৎফর রহমান ফরাইজীর অজ্ঞতা সূচক বক্তব্য !

                                                লুৎফর রহমান ফরাইজীর অজ্ঞতা সূচক বক্তব্য !



নিচের কথাগুলো লক্ষ্য করুনঃ
ইমাম আবু হানীফা রহঃ সহ ফুক্বাহায়ে আহনাফ যেহেতু কুরআন ও হাদীসকে সামনে রেখে গবেষণা করে কুরআন ও হাদীসের ভিতরেরই মাসায়েলকেই একত্রিত করেছেন। তো সব মাসআলাতো ঠিক হবেই। কারণ ফিক্বহ ভুল হওয়া মানেতো কুরআন ও হাদীসই ভুল হয়ে যাওয়া
তাই বিদআত বুঝার সহজ পদ্ধতি হল, ফিক্বহের কিতাবে করার বিধান থাকলে বুঝতে হবে তা সুন্নাহ সম্মত। আর না করার কথা থাকলে বা উল্লেখ না থাকলে বিদআতের তালিকায় অন্তর্ভূক্তির সম্ভাবনায় পরে যাবে।(1)
আমার মনে হয় তার কাছে কুরআন ও হাদীস ভুল হতে পারে কিন্তু ইমাম আবু হানিফা বা ফিক্বহ ভুল হতে পারে না? তার বক্তব্য যে একেবারে অজ্ঞতাসূচক তা যে কেউ বুঝতে পারবে।
আর দ্বিতীয় বক্তব্য যদি মনে করি নেয় যে সঠিক তাহলে মোবাইল, কম্পিউটার, মাইক, সাউন্ড বক্স,ইত্যাদি সবই বিদায়াত।কারণ এগুলো সম্পর্কে তো ইমাম আবু হানিফা বা ফিক্বহ'র কিতাব গুলোতে বলা নাই।তাই এগুলো বিদায়াত।কিন্তু মজার ব্যাপর এই যে তিনি কিন্তু মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করেই উপরে উল্লিখিত বক্তব্য গুলো লিখেছেন।তাই তার কথা অনুযায়ী তিনি বিদায়াত করছেন। এবং তিনি নিজেই রায় দিচ্ছেন তিনি একজন বিদয়াতি।এই হচ্ছে আমাদের দেশের তাক্বলীদপন্থী আলেমের অবস্থা।
Reference..............
(1)ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com
@কপিরাইট: http://ahlehaqmedia.com/6039/

Application Download Link:  https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tos.masayel

বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হানাফী মাযহাব বনাম সহীহ হাদীস !

                                             হানাফী মাযহাব বনাম সহীহ হাদীস !



হানাফী মাযহাবের সাথে সহীহ হাদীসের কতটুকু পার্থক্য আছে তা নিচের লেখাটা পড়লে বুঝতে পারবেন আশা করে।
 ছহীহ হাদীসঃ
" জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)সূত্রে বর্ণিত।রাসূলূল্লাহ(সা)বলেছেনঃ পশুকে জবাই করাই তার পেটের বাচ্চার জন্য যথেষ্ঠ"(1)
ইমাম আবূ হানিফা বলেনঃ
"কেউ ঊট বা গরু জবাই করার পর যদি, পেটের ভেতর মৃত বাচ্চা পায়  তবে তা খাওয়া যাবে না। চাই সে পসম উঠুক বা না উঠুক(2)ইমাম আবূ হানিফা বলেছেনঃকাজেই বাচ্চাটিকে আবার জবাই করতে হবে"(3)
ছহীহ হাদীসঃ
"জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন,রাসূলূল্লাহ(সা)খাইবারের দিন গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।এবং ঘোড়ার গোশত খেতে অনুমতি দিয়েছেন"(4)
ইমাম আবূ হানিফা বলেনঃ
"ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরুহ"(5)
ছহীহ হাদীসঃ
"আয়িশাহ(রাযি)হতে বর্ণিত যে,আল্লাহ'র রাসূল(সা)বলেছেনঃসওমের কাযা যিম্বায় রেখে যদি কেউ মারা যায় তাহলে তার অভিবাক তার পক্ষ  হতে সাওম আদায় করবে"(6)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"যদি কোন ব্যক্তি  মারা যায় তাহলে তার অভিবাক তার পক্ষ  হতে সাওম আদায় করবে না (7)
ছহীহ হাদীসঃ
"রাসূলূল্লাহ(সা) বলেনঃতোমাদের কেউ যেন তার  হেবাকৃত জিনিস(দান ফেরত না নেয়।তবে পিতা পুত্রকে হেবাকৃত জিনিস নিতে পারে"(8)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"কেউ যদি অজনবি কে হেবা করে তবে সে ফেরত নিতে পারে"(9)
ছহীহ হাদীসঃ
" যায়দ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাযি.) হতে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ তার বাঁধনের রশি অথবা বললেন, থলে-ঝুলি ভাল করে চিনে রাখ। অতঃপর এক বছর পর্যন্ত তার ঘোষণা দিতে থাক। তারপর (মালিক পাওয়া না গেলে) তুমি তা ব্যবহার কর। অতঃপর যদি এর প্রাপক আসে তবে তাকে তা দিয়ে দেবে। সে বলল, ‘হারানো উটের ব্যাপারে কী করতে হবে?’ এ কথা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন রাগ করলেন যে, তাঁর গাল দু’টো লাল হয়ে গেল। অথবা বর্ণণাকারী বলেন, তাঁর মুখমন্ডল লাল হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ ‘উট নিয়ে তোমার কী হয়েছে? তার তো আছে পানির মশক ও শক্ত পা। পানির নিকট যেতে পারে এবং গাছ খেতে পারে। কাজেই তাকে ছেড়ে দাও এমন সময়ের মধ্যে তার মালিক তাকে পেয়ে যাবে।’ সে বলল, ‘হারানো ছাগল পাওয়া গেলে?’ তিনি বললেন, ‘সেটি তোমার হবে, নাহলে তোমার ভাইয়ের, না হলে বাঘের।’ (২৩৭২, ২৪২৭, ২৪২৮, ২৪২৯, ২৪৩৬, ২৪৩৮, ৫২৯২, ৬১১২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯১)(10)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"ইমাম কুদুরী বলেন হারানো বকরী, গরু,ঊট কুড়িয়ে নেওয়া বৈধ আছে"(11)
ছহীহ হাদীসঃ
"মুগীরাহ ইবনে শু'বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূল (সা)উযু করলেন। তিনি কপালের চুলের উপর, পাগড়ীর ও মোজার উপর মাসাহ করলেন(12)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"পাগড়ী,টুপি,বোরকা,মোজার উপরে মাসাহ করা বৈধ না"(13)
ছহীহ হাদীসঃ
"আবদুল্লাহ্ ইবনু মুগাফ্ফাল (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত আদায় করা যায়। তৃতীয়বার এ কথা বলার পর তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে(14)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"মাগরীবের পূর্বে সালাত/নামাজ নয়(15)
ছহীহ হাদীসঃ
"আনাস(রা)হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলূল্লাহ (সা)একদা আব্দুল্লাহ ইবনে কামতুমকে সলাত আদায়ের জন্য স্থলাভিষিক্ত করে দিলেন,অথচ তিনি জম্মান্ধ অন্ধ(16)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"অন্ধ ব্যক্তিকে ইমামতি জন্য দেওয়া যাবে না"(17)
২নং অজ্ঞতাঃ
ইমাম আবু হানিফা বলেনঃযখন "ছহীহ হাদীস"পাবে, জেনো সেটাই আমার মাযহাব"
এই তিনিই বলেছেন(18) 
Reference............
(1)সুনান আবু দাঊদ হা/২৮২৮,সুনান তিরমিযী হা/১৪৭৬,ইমাম তিরমিযী ও আলবানী।
(2)আল হিদায়া (ই.ফা..)৪/১২৯পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া৯/৪৩১পৃঃ
(3)আল হিদায়া ৩/১৩০পৃঃ;
(4)ছহীহ বুখারী ৫/৪২১৯,৫৫২০-৫৫২৪,মুসলিম ৩৪/৬ হাঃ১৯৪১,মুসনাদে আহমদ হা/১৪৮৯৬,বুখারী (আ.প্র.)হা/৩৮৯৮,বুখারী (ই.ফা.)হা/৩৯০১;
(5)আল হিদায়া (ই.ফা..)৪/১৩২পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ৯/৪৪৭পৃঃ
(6))ছহীহ বুখারী হা/১৯৫২,মুসলিম ১৩/২৭ হাঃ১১৪৭,,বুখারী (আ.প্র.)হা/১৮১২বুখারী (ই.ফা.)হা/১৮২৫;
(7)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/১৫৪পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া২/৪৪৭পৃঃ
(8)সুনান নাসায়ী হা/৩৬৮৯,সুনান ইবনে মাজাহ হা/২৩৭৮,মুসনাদে আহমদ হা/৬৫৯২,৬৬৬৬,৬৯০৪,সুনান দারাকুতনী ৩/৪৩,মিশকাত হা/৩০২০;
(9)আল হিদায়া (ই.ফা..)২/৭৭পৃঃ;
(10))ছহীহ বুখারী হা/৯১,২৩৭২,মুসলিম ৩১/১ হাঃ১৭২২,মুসনাদে আহমদ হা/১৭০৪৯,বুখারী (আ.প্র.)হা/২১৯৯বুখারী (ই.ফা.)হা/২২১৬;
(11)আল হিদায়া (ই.ফা..)২/২০৫পৃঃ;
(12)মুসলিম হা/২৭৪,মিশকাত হা/৩৯৯;
(13)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/১৪১পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া২/২১১পৃঃ
(14)ছহীহ বুখারী হা/৬২৭,৬২৪ মুসলিম  হাঃ১৯৭৭মিশকাত হা/৬৬২ পৃঃ৬৫, অনুবাদকৃত মিশকাত হা/৬১১,বুখারী (আ.প্র.)হা/ ৫৯১ বুখারী (ই.ফা.)হা/ ৫৯৯;
(15))আল হিদায়া (ই.ফা..)১/৬৪পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ১/২৮৩ পৃঃ
(16)সুনান আবু দাঊদ হা/৫৯৫,সুনানুস সুগরা লিল বায়হাক্বী হা/৫০৭;
(17)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/৯৬পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ১/৩৯৩ পৃঃ
(18))হাশিয়াহ ইবনে আবেদীন ১/৬৩পৃঃ;রাদ্দুল মুহতাব ১/৪৬২ পৃঃ,নাসিরুদ্দীন আলবানী,ছহীহ আত-তিরমিযী মুক্কাদামা ৪২পৃঃ;ইমাম আব্দুল ওয়াহহাব শা‘রাণী, মীযানুল কুবরা (দিল্লী : ১২৮৬ হিঃ), ১ম খন্ড, পৃঃ ৩০।

লুৎফর রহমান ফরায়জীর অজ্ঞতা !

                                                লুৎফর রহমান ফরায়জীর অজ্ঞতা !


তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলো লিখেছেনঃ

"চার মাযহাবের ইমামগণ হাদীস পাননি, তাই তারা হাদীস বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেছেন” আপনার উপরোক্ত কথাটি তথন সত্য বলে ধরে নেয়া যাবে, যখন আপনি এমন একটি হাদীস দেখাতে পারবেন, যেখানে ইমামগণ মাসআলা বলেছেন, অথচ তাদের স্বপক্ষে কোন হাদীস নেই। কিন্তু তাদের মতের উল্টো হাদীস আছে।
এমন একটি মাসআলা কি দেখাতে পারবেন?
বরং সর্বোচ্চ এতটুকু দেখাতে পারবেন যে, তারা যে হাদীসের উপর ভিত্তি করে মাসআলা বলেছেন, সেই হাদীসটি তাদের পরবর্তী কোন ব্যক্তির কারণে হয়তো মুতাকাল্লাম ফী হল, কিন্তু তাদের মতের স্বপক্ষে কুরআন বা হাদীসের কোন বক্তব্য নেই অথচ বিপরীত পক্ষে হাদীস বা কুরআন আছে এমন একটি মাসআলা দেখাতে পারবেন কি?
সহীহ হাদীস হলেই সেটি আমার মাযহাব?
উপরোক্ত বক্তব্যের ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি কথা। যথা-
উক্ত কথাটি ইমামগণ বলেছেন, মর্মে ইমামগণ পর্যন্ত কোন বিশুদ্ধ সনদ কি কোন লা-মাযহাবী দেখাতে পারবে?
আর বিশুদ্ধ সনদ ছাড়া কথা কি তারা গ্রহণ করে? তাহলে এ কথা নিয়ে কেন এত লাফালাফি?(19)

তার কথাটুকু কতটুকু যৌক্তিক তা নিচের লেখা পড়লে বুঝতে পারবেন "ইনশাআল্লাহ "লুৎফর রহমান ফরায়জীর অজ্ঞতা ! 
চার মাযহাবের ইমামগণ হাদীস পাননি, তাই তারা হাদীস বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেছেন” আপনার উপরোক্ত কথাটি তথন সত্য বলে ধরে নেয়া যাবে, যখন আপনি এমন একটি হাদীস দেখাতে পারবেন, যেখানে ইমামগণ মাসআলা বলেছেন, অথচ তাদের স্বপক্ষে কোন হাদীস নেই। কিন্তু তাদের মতের উল্টো হাদীস আছে।
এমন একটি মাসআলা কি দেখাতে পারবেন?
বরং সর্বোচ্চ এতটুকু দেখাতে পারবেন যে, তারা যে হাদীসের উপর ভিত্তি করে মাসআলা বলেছেন, সেই হাদীসটি তাদের পরবর্তী কোন ব্যক্তির কারণে হয়তো মুতাকাল্লাম ফী হল, কিন্তু তাদের মতের স্বপক্ষে কুরআন বা হাদীসের কোন বক্তব্য নেই অথচ বিপরীত পক্ষে হাদীস বা কুরআন আছে এমন একটি মাসআলা দেখাতে পারবেন কি?
সহীহ হাদীস হলেই সেটি আমার মাযহাব?
উপরোক্ত বক্তব্যের ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি কথা। যথা-
উক্ত কথাটি ইমামগণ বলেছেন, মর্মে ইমামগণ পর্যন্ত কোন বিশুদ্ধ সনদ কি কোন লা-মাযহাবী দেখাতে পারবে?
আর বিশুদ্ধ সনদ ছাড়া কথা কি তারা গ্রহণ করে? তাহলে এ কথা নিয়ে কেন এত লাফালাফি?(19)"
তার কথাটুকু কতটুকু যৌক্তিক তা নিচের লেখা পড়লে বুঝতে পারবেন "ইনশাআল্লাহ " 

ছহীহ হাদীসঃ
" জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)সূত্রে বর্ণিত।রাসূলূল্লাহ(সা)বলেছেনঃ পশুকে জবাই করাই তার পেটের বাচ্চার জন্য যথেষ্ঠ"(1)
ইমাম আবূ হানিফা বলেনঃ
"কেউ ঊট বা গরু জবাই করার পর যদি, পেটের ভেতর মৃত বাচ্চা পায়  তবে তা খাওয়া যাবে না। চাই সে পসম উঠুক বা না উঠুক(2)ইমাম আবূ হানিফা বলেছেনঃকাজেই বাচ্চাটিকে আবার জবাই করতে হবে"(3)
ছহীহ হাদীসঃ
"জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন,রাসূলূল্লাহ(সা)খাইবারের দিন গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।এবং ঘোড়ার গোশত খেতে অনুমতি দিয়েছেন"(4)
ইমাম আবূ হানিফা বলেনঃ
"ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরুহ"(5)
ছহীহ হাদীসঃ
"আয়িশাহ(রাযি)হতে বর্ণিত যে,আল্লাহ'র রাসূল(সা)বলেছেনঃসওমের কাযা যিম্বায় রেখে যদি কেউ মারা যায় তাহলে তার অভিবাক তার পক্ষ  হতে সাওম আদায় করবে"(6)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"যদি কোন ব্যক্তি  মারা যায় তাহলে তার অভিবাক তার পক্ষ  হতে সাওম আদায় করবে না (7)
ছহীহ হাদীসঃ
"রাসূলূল্লাহ(সা) বলেনঃতোমাদের কেউ যেন তার  হেবাকৃত জিনিস(দান ফেরত না নেয়।তবে পিতা পুত্রকে হেবাকৃত জিনিস নিতে পারে"(8)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"কেউ যদি অজনবি কে হেবা করে তবে সে ফেরত নিতে পারে"(9)
ছহীহ হাদীসঃ
" যায়দ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাযি.) হতে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ তার বাঁধনের রশি অথবা বললেন, থলে-ঝুলি ভাল করে চিনে রাখ। অতঃপর এক বছর পর্যন্ত তার ঘোষণা দিতে থাক। তারপর (মালিক পাওয়া না গেলে) তুমি তা ব্যবহার কর। অতঃপর যদি এর প্রাপক আসে তবে তাকে তা দিয়ে দেবে। সে বলল, ‘হারানো উটের ব্যাপারে কী করতে হবে?’ এ কথা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন রাগ করলেন যে, তাঁর গাল দু’টো লাল হয়ে গেল। অথবা বর্ণণাকারী বলেন, তাঁর মুখমন্ডল লাল হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ ‘উট নিয়ে তোমার কী হয়েছে? তার তো আছে পানির মশক ও শক্ত পা। পানির নিকট যেতে পারে এবং গাছ খেতে পারে। কাজেই তাকে ছেড়ে দাও এমন সময়ের মধ্যে তার মালিক তাকে পেয়ে যাবে।’ সে বলল, ‘হারানো ছাগল পাওয়া গেলে?’ তিনি বললেন, ‘সেটি তোমার হবে, নাহলে তোমার ভাইয়ের, না হলে বাঘের।’ (২৩৭২, ২৪২৭, ২৪২৮, ২৪২৯, ২৪৩৬, ২৪৩৮, ৫২৯২, ৬১১২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯১)(10)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"ইমাম কুদুরী বলেন হারানো বকরী, গরু,ঊট কুড়িয়ে নেওয়া বৈধ আছে"(11)
ছহীহ হাদীসঃ
"মুগীরাহ ইবনে শু'বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূল (সা)উযু করলেন। তিনি কপালের চুলের উপর, পাগড়ীর ও মোজার উপর মাসাহ করলেন(12)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"পাগড়ী,টুপি,বোরকা,মোজার উপরে মাসাহ করা বৈধ না"(13)
ছহীহ হাদীসঃ
"আবদুল্লাহ্ ইবনু মুগাফ্ফাল (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত আদায় করা যায়। তৃতীয়বার এ কথা বলার পর তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে(14)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"মাগরীবের পূর্বে সালাত/নামাজ নয়(15)
ছহীহ হাদীসঃ
"আনাস(রা)হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলূল্লাহ (সা)একদা আব্দুল্লাহ ইবনে কামতুমকে সলাত আদায়ের জন্য স্থলাভিষিক্ত করে দিলেন,অথচ তিনি জম্মান্ধ অন্ধ(16)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"অন্ধ ব্যক্তিকে ইমামতি জন্য দেওয়া যাবে না"(17)
২নং অজ্ঞতাঃ
ইমাম আবু হানিফা বলেনঃযখন "ছহীহ হাদীস"পাবে, জেনো সেটাই আমার মাযহাব"
এই তিনিই বলেছেন(18) তাই এখানে লুৎফর রহমান ফরাইজী তার অজ্ঞতা! পরিচয় দিয়েছেন।
Reference............
(1)সুনান আবু দাঊদ হা/২৮২৮,সুনান তিরমিযী হা/১৪৭৬,ইমাম তিরমিযী ও আলবানী।
(2)আল হিদায়া (ই.ফা..)৪/১২৯পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া৯/৪৩১পৃঃ
(3)আল হিদায়া ৩/১৩০পৃঃ;
(4)ছহীহ বুখারী ৫/৪২১৯,৫৫২০-৫৫২৪,মুসলিম ৩৪/৬ হাঃ১৯৪১,মুসনাদে আহমদ হা/১৪৮৯৬,বুখারী (আ.প্র.)হা/৩৮৯৮,বুখারী (ই.ফা.)হা/৩৯০১;
(5)আল হিদায়া (ই.ফা..)৪/১৩২পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ৯/৪৪৭পৃঃ
(6))ছহীহ বুখারী হা/১৯৫২,মুসলিম ১৩/২৭ হাঃ১১৪৭,,বুখারী (আ.প্র.)হা/১৮১২বুখারী (ই.ফা.)হা/১৮২৫;
(7)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/১৫৪পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া২/৪৪৭পৃঃ
(8)সুনান নাসায়ী হা/৩৬৮৯,সুনান ইবনে মাজাহ হা/২৩৭৮,মুসনাদে আহমদ হা/৬৫৯২,৬৬৬৬,৬৯০৪,সুনান দারাকুতনী ৩/৪৩,মিশকাত হা/৩০২০;
(9)আল হিদায়া (ই.ফা..)২/৭৭পৃঃ;
(10))ছহীহ বুখারী হা/৯১,২৩৭২,মুসলিম ৩১/১ হাঃ১৭২২,মুসনাদে আহমদ হা/১৭০৪৯,বুখারী (আ.প্র.)হা/২১৯৯বুখারী (ই.ফা.)হা/২২১৬;
(11)আল হিদায়া (ই.ফা..)২/২০৫পৃঃ;
(12)মুসলিম হা/২৭৪,মিশকাত হা/৩৯৯;
(13)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/১৪১পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া২/২১১পৃঃ
(14)ছহীহ বুখারী হা/৬২৭,৬২৪ মুসলিম  হাঃ১৯৭৭মিশকাত হা/৬৬২ পৃঃ৬৫, অনুবাদকৃত মিশকাত হা/৬১১,বুখারী (আ.প্র.)হা/ ৫৯১ বুখারী (ই.ফা.)হা/ ৫৯৯;
(15))আল হিদায়া (ই.ফা..)১/৬৪পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ১/২৮৩ পৃঃ
(16)সুনান আবু দাঊদ হা/৫৯৫,সুনানুস সুগরা লিল বায়হাক্বী হা/৫০৭;
(17)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/৯৬পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ১/৩৯৩ পৃঃ
(18))হাশিয়াহ ইবনে আবেদীন ১/৬৩পৃঃ;রাদ্দুল মুহতাব ১/৪৬২ পৃঃ,নাসিরুদ্দীন আলবানী,ছহীহ আত-তিরমিযী মুক্কাদামা ৪২পৃঃ;ইমাম আব্দুল ওয়াহহাব শা‘রাণী, মীযানুল কুবরা (দিল্লী : ১২৮৬ হিঃ), ১ম খন্ড, পৃঃ ৩০।
(19)ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com
@কপিরাইট: http://ahlehaqmedia.com/5481/
Application Download Link:  https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tos.masayel

তাক্বলীদ !

                           তাক্বলীদ! 




কোন ইমামের তাক্বলীদ করা যাবে কিনা এই সম্পর্কে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কিছু ইমামদের কথা পড়ুন।উপকৃত হবেন ইনআল্লাহ। হলে আমার লেখা সার্থক!
ইমাম আবূ হানীফা(রহঃ)-এর নিষেধাজ্ঞাঃ
1".যখন "ছহীহ হাদীস"পাবে, জেনো সেটাই আমার মাযহাব"(1)
2."আমরা কোথা থেকে গ্রহণ করেছে তা না জেনে আমাদের কথা গ্রহণ করা কারো জন্য বৈধ নয়"(2)
3."যে ব্যক্তি আমার দলীল জানি না আমার কথা দ্বারা ফৎওয়া প্রদান করা তার জন্য হারাম"(3)
4."নিশ্চয়ই আমরা মানুষ।আমরা আজকে যা বলি,আগামীকাল তার থেকে ফিরে আসে"(4)
5."তোমার জন্য আফসোস হে ইয়াকুব(আবু ইউসুফ) তুমি আমার থেকে যা শোন তা লিখে নিও না। কারণ আমি আজ যে মত প্রদান করি,কাল তা প্রত্যাখান করে এবং কাল যে মত প্রদান করি, পরশু তা প্রত্যাখান করি"(5)
6."আমি যদি আল্লাহ কিতাব (কুরআন) ও রাসূলূল্লাহ(সা)-এর কথার (হাদীছ)বিরোধী কোন কথা বলে থাকি,তাহলে
আমার কথা ছুঁড়ে ফেলে দিও"(6)
ইমাম মালিক(রহ)-এর নিষেধাজ্ঞাঃ
1."আমি একজন মানুষ মাত্র।আমি ভুল করি, আবার ঠিক ও করি।অতত্রব আমার সিদ্ধান্তগুলো তোমরা যাছাই কর।যেগুলো কুরআন ও সুন্নাহ'র অনুকূলে হবে সেগুলো গ্রহণ কর। আর যেগুলো কুরআন ও সুন্নাহ প্রতিকূলে হবে তা প্রত্যাখান কর"(7)
2."রাসূলূল্লাহ (সা)-এর পরে এমন কোনো ব্যক্তি নাই যার সকল কথাই গ্রহণীয় বা বর্জনীয়,একমাত্র রাসূলূল্লাহ(সা)ব্যতীত"(8)
           
ইমাম শাফেঈ(রহঃ)-এর নিষেধাজ্ঞাঃ
1."যদি তোমরা আমার বইয়ে রাসূল(সা)-এর সুন্নাহ বিরোধী কিছু পাও,তাহলে রাসূল (সা)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী বল এবং আমার কথাকে প্রত্যাখান কর"
......"তোমরা রাসূল(সা)-এর কথাই অনুসরণ কর এবং অন্য কারো কথার দিকে  দৃকপাত কর না"(9)
2."আমি যেসব কথা বলেছি, তা যদি রাসূলূল্লাহ(সা)-এর ছহীহ হাদীসের বিপরীত হয়,তবে রাসূল(সা) -এর হাদীসই অগ্রগণ্য।অতত্রব তোমরা আমার "তাক্বলীদ " কর না "(10)
3."রাসূলূল্লাহ (সা)-এর প্রত্যেকটি হাদীসই আমার কথা,যদিও আমার থেকে তোমারা তা না শুনে থাকে"(11)
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল(রহঃ)-এর নিষেধাজ্ঞাঃ
1."তুমি আমার তাক্বলীদ কর না এবং তাক্বলীদ কর না মালিক, শাফেঈ,আওযাঈ,ছাওরীর।রবং তারা যে উৎস থেকে গ্রহণ করছেন,সেখান থেকে তোমরাও গ্রহণ কর"(12)
2."যে ব্যক্তি রাসূল(সা)-এর হাদীছকে প্রত্যাখান করল,সে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেল"(13)
ইমাম রাযি(রহঃ)বলেনঃ
"শয়তানী ধোঁকা অনুসরণ করা ও তাক্বলীদ করার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই"(14)
শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়্যহ বলেনঃ
"আর ইমামগন অর্থাৎ ইমাম আবু হানীফা,ইমাম মালিক,ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদ বিন(রহঃ)সকলেই তাদের তাক্বলীদ করতে নিষেধ করেছেন"(15)
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম(রহঃ)বলেনঃ
"শারঈ বিষয় অজ্ঞ ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট কোনো মাযহাবের তাক্বলাদ করা সিদ্ধ নয়,যদিও তারা তা করে থাকে"(16)
কামাল বিন হুমান হানাফী(রহঃ)বলেনঃ
"ছহীহ মতে নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের অন্ধ অনুসরণ করা অপরিহার্য নয়।কেননা তার (মাযহাবের)অন্ধ অনুসরণ করা অপরিহার্য করা হয়নি"(17)
শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায বলেনঃ
"চার মাযহাবের কোন এক মাযহাবের 'তাক্বলীদ করা ওয়াজীব মর্মে 'প্রচলিত কথাটি নিঃসন্দেহে ভুল;বরং চার মাযহাবসহ অন্যদের তাক্বলীদ করা ওয়াজীব নয়।কেননা করআন ও সুন্নাহের ইত্তেবা করার মধ্যেই হক নিহিত আছে,কোন ব্যক্তি তাক্বলীদের মধ্যে নয়"(18)
Reference.............

(1)হাশিয়াহ ইবনে আবেদীন ১/৬৩পৃঃ;রাদ্দুল মুহতাব ১/৪৬২ পৃঃ,নাসিরুদ্দীন আলবানী,ছহীহ আত-তিরমিযী মুক্কাদামা ৪২পৃঃ;
(2)তদেব ৬/২৯৩পৃঃ;
(3)ড.অছিউল্লাহ বিন মহাম্মাদ আব্বাস, আত তাক্বলীদ ওয়া হুকমুহু ফী যুইল কিতাব ওয়াস-সুন্নাহ পৃঃ২০;
(4)তদের;
(5)তদেব;
(6)ছালেহ ফুলানী, ইক্বাযু হিমাম পৃঃ৫০;
(7)ইমাম ইবনে হাযম,আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম ৫/১৪৯পৃঃ;
(8)আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম ৫/১৪৫পৃঃ;
(9)ইমাম নববী,আল মাজমূ ১/৬৩পৃঃ;
(10)ইবনে আবে হাতীম ৯৩ পৃঃ,সনদ ছহীহ;
(11)তদেব;
(12)ই'লামুল মু'ওয়াক্কিন'ঈন ২/২০৩পৃঃ;
(13)নাসীরুদ্দীন আলবানী, মুক্কাদামাতু ছিমাতি ছালাতিন নাবী(ছাঃ)৪৫-৪৬পৃঃ;
(14)তাফসীরুল কাবীর ৫/৭পৃঃ,'আহলে হাদীস আন্দোলন উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ, ১৫৩-১৫৪পৃঃ;
(15)ইমাম ইবনে তায়মিয়্যহ, মাজমুউ ফাতাওয়া ২০/২০
২১০-২২৬ পৃঃ;
(16)ইবনুল কাইয়িম, ই'লামুল মুক্কাওয়া'ঈন ৬/২০৩-২০৫ পৃঃ;
(17)আল-মাছূমী,হাদিয়্যাতুস সুলতান ৫৬পৃঃ;
(18)শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায,মাজমূ'ফাতাওয়া ৩/৭২ পৃঃ

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আহলে হাদীছ!

                                  আহলে হাদীছ




ইমাম বুখারীর উস্তাদ আলী ইবনু মাদানী(১৬১-২৩৪হিঃ)ঘোষণা করেন

,'মুক্তিপ্রাপ্ত দল হলো আহলে হাদীছ"-এর দল।যারা রসূলের বিধাম সমূহ হেফাযত করেন ও তার ইলম কুরআন হাদীছ পক্ষে প্রতিরোধ করে।নইলে মূ'তাযিলা,রাফেযী(শী'আ),জাহমিয়া ও আহ্লুর রায়দের নিকট থেকে আমরা কিছুই আশা করেতে পারে না।(1)

ইমাম আবূ দাঊদ(২০৪-২৭৫হিঃ)বলেনঃ
"আহলেহাদীছগণ যদি না থাকত, তা'হলে ইসলাম দুনিয়া থেকে মিটে যেত(2)

মুহাদ্দিছ খতীব বাগদাদী(৩৯২-৪৬৩হিঃ)অন্যান্যদের সাথে আহলে হাদীছদের পার্থক্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ
"প্রত্যেক দলই প্রবৃত্তির অনুসরণ করে ও তার দিকে প্রত্যাবর্তন করে অথবা নিজস্ব মতামতকে উত্তম মনে করে এবং তার উপরেই অটল থাকে ;কেবল"আহলেহাদীছগণ"ব্যতীত।কারণ আল কুরআন তাদের হাতিয়ার, সুন্নাহ তাদের দলীল,রাসূল তাদের দলনেতা এবং তার দিকেই তাদের সম্বন্ধ।তারা মনোবৃত্তির উপর বিচরণ করে না এবং রায়ের দিকেও ভ্রক্ষেপ করে না(3)

আব্দুল কাহীর বাগদাদী(মৃঃ৪২৯হি)বলেনঃ

"রুম সীমান্ত, আলজেরিয়া, সিরিয়া, আযারবাইজান,মধ্য তুর্কিস্তান প্রভৃতি এলাকা সকল মুসলিম অধিবাসী "আহলেহাদীছ"মাযহাবের উপরে ছিলেন। তেমনি আফ্রিকা, স্পেন,ও পশ্চিম সাগরের পশ্চাদবর্তী দেশসমূহের সকল অধিবাসী "আহলেহাদীছ" ছিলেন
একইভাবে আবিসিনিয়ার উপকূলবর্তী ইয়ামানের সকল অধিবাসী "আহলেহাদীছ"ছিলেন।তবে তুরস্ক চীন অভিমুখী মধ্য তুর্কিস্তান সীমান্তের অধিবাসীদের মধ্য দুটি দল ছিল:একদল শাফেঈ ও আরেকদল ইমাম আবূ হানীফার অনুসারী"(4)

শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী বলেনঃ
"মুক্তিপ্রাপ্ত দল হলো আহলে হাদীছ"-আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের তাদের সাথে একত্রিত করুন!............. "আহলেহাদীছরাই সেই বিজয়ী কাফেলা এবং নাজাতপ্রাপ্ত ;বরং শ্রেষ্ঠ উম্মত যারা মানবজাতির উপর হবে সাক্ষী স্বরূপ"(5)

Reference...........
(1)শারফু আছহাবিল হাদীছ পৃঃ৫,১৫,৩৩ ও ২৯;
(2)শারফু আছহাবিল হাদীছ পৃঃ৩৩;
(3)শারফু আছহাবিল হাদীছ পৃঃ২৯;
(4)কিতাবু উছুলিদ্দীন ১/৩১৭পৃঃ;
(5)সিলসিলা ছহীহাহ ১/৪৮২পৃঃহা/২৭০-এর আলোচনা দ্রঃ।

রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ঈসা(আ) কে!


অপমান করেছে                             ঈসা(আ) কে! 



খৃস্টানদের মধ্যে প্রচলিত ইঞ্জিল শরীফ ঈসা (আ)-কে অত্যন্ত অবমানাকরভাবে চিত্রিত করেছে। যেমন, তিনি মানুষদেরকে গালি দিতেন (মথি ১৬/২৩, ২৩/১৩-৩৩), অন্য বংশ বা ধর্মের মানুষদের শূকর ও কুকুর বলতেন (মথি ৭/৬; ১৫/২২-২৮, মার্ক ৭/২৫-২৯), পূর্ববর্তী নবীদেরকে চোর-ডাকাত বলতেন (যোহন ১০/৭-৮), নিরপরাধ মানুষদেরকে অভিশাপ দিতেন (মথি ২৩/৩৫-৩৬), অকারণে হত্যা করতেন (মথি ২১/১৮-২১, মার্ক ৫/১০-১৪; ১১/১২-২২), অবিশ্বাসীদেরকে নির্বিচারে ধরে ধরে জবাই করার নির্দেশ দিতেন (লূক ১৯/২৭), মিথ্যা বলতেন (মথি ১৬/২৭-২৮: ১৯/২৮: মার্ক ২/২৫-২৬, ১১/২৩, ১৬/১৭-১৮: লূক ১৮/২৯-৩০, যোহন ৩/১৩), মদ পান করে মাতাল হতেন (লূক ৭/৩৪-৫০, যোহন ১৩/৪-৫), বেশ্যা মেয়েদেরকে তাঁকে স্পর্শ করতে ও চুম্বন করতে দিতেন (লূক ৭/৩৪-৫০, ৮/১-৩, যোহন ১১/১-৫), নিজের মায়ের সাথে ভয়ঙ্কর বেয়াদবি করেছেন, (মথি ১২/৪৬-৫০; মার্ক ৩/৩১-৩৫; লূক ৮/১৯-২১, যোহন ২/৪, ১৯/২৬), তিনি অত্যন্ত ভীত ও কাপরুষ ছিলেন (মথি ২৬/৩৬-৪৬, ২৭/৩৮-৫১; লূক ২২/৪১-৪৬, মার্ক ১৫/২৭-৩৮)। সাধু পল ও তাঁর অনুসারীরা ঈসা (আ)-কে ‘মালউন’ বা অভিশপ্ত বলে দাবি করেছেন। (গালাতীয় ১০-১৩)। (নাঊযু বিল্লাহ!)

কোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে?

কোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে পর্ব-১ কি যেন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা কি আলোচনা নাকি সমালোচনা ঠিক বুঝি উঠতে পারছিলাম না। আমরা উপ...