বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮


আমি নেংটি ইঁদুরের বংশধর হতে চাই না!
আমি আগে জানতাম বিবর্তনবাদীরা বলে বিরাত আমাদের পূর্বপুরুষ হচ্ছে প্রাইমেট প্রজাতির অর্ন্তগত এপ জাতীয় প্রাণী [ (যেমনঃবানর,শিম্পাঞ্জি(1)]মানুষ বিবর্তনের পথ ধরে এসেছে এইসব প্রাণী থেকে, এখন দেখি আমাদের দেশের সুনামধন্য পদার্থবিবিদ ও  শিক্ষাবিদ ড.মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল বলছেন আমাদের পূর্বপুরুষ নাকি ছোট ইঁদুরের মতো প্রাণী! (2) এ কেমন ফতোওয়া আমাদের দেশের পদার্থবিদের হঠাৎ জীববিজ্ঞানী হয়ে?খুবই আফসোস যে আমরা যখন দেখি আপনাদের মতো শিক্ষাবিদ বিষাক্ত বিষ পান করাচ্ছেন আমাদের মতো কিশোর -কিশোরীদের।
-তুমি কি জান যে মানুষ আর বানরের মধ্যে জিনিটিক্স বিষয়ে অনেক মিল আছে! এটা কি প্রমাণ করে না যে আমাদের পূর্বপুরুষ বানর?
- খুবই ভালো কথা বলেছেন, তাহলে তো আপনাদের পূর্বপুরুষ কলাগাছের কলা?
-কি সব আবোল তাবোল বগছ?
-আমরা কোনো কথা বললে তো তা আপনাদের কাছে আবোল তাবোল, অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক, মিথ্যা,ফালতু আর অসার তাই না? আর আপনারা কিছু বললে তা হয়ে যায় কোনো আফ্রিকার জঙ্গলে তপস্যা করা কোনো মনি ঋষির সাধু কথা,বৈজ্ঞানিক, যৌক্তিক!
-ইয়ে মানে.........
- যদি আমরা ধরে নেই যে জিনিটিক্স বিষয়ে মিল থাকার ফলে এটা প্রমাণ করে যে আমাদের পূর্বপুরুষ বানর!তাহলে আপনাদের পূর্বপুরুষ তো কলাগাছের কলা ও! কারণ মানুষের সাথে কলাগাছের কলার জিনিটিক্স বিষয়ের মধ্যে মিল আছে ৬০%(3)
-তাহলে তো বিবর্তনবাদীদের আজ থেকে পূর্বপুরুষ কলাগাছের কলা ও!
- খুবই আশ্চর্যকথা তাই না, কলা তাদের পূর্বপুরুষ! হ্যা হ্যা হ্যা......

Reference...........
[1] কিছুই করার নেই একেক জন একেক কথা বলে তো!
[2]বিগ ব্যাং থেকে হোমো স্যাপিয়েনস পৃ:৪০;লেখক ড.মুহাম্মাদ জাফর ইকবাল
[3]https://www.getscience.com/content/how-genetically-related-are-we-bananas

সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮

মুহাম্মাদ(সা)-এর মদীনায় হিজরতঃএকটি অতিরঞ্জিত কাহিনী






মুহাম্মাদ(সা)-এর মদীনায় হিজরতঃএকটি অতিরঞ্জিত কাহিনী

হিজরতের কাহিনীতে বহু কিছু অতিরঞ্জিত বর্ণনা যুক্ত হয়েছে। যার কোন ভিত্তি নেই। যেমন, (ক) রাসূল (ছাঃ) ছওর গুহায় প্রবেশের পর আবুবকর (রাঃ) গুহাটি পরিষ্কার করলেন এবং নিজের পায়জামা ছিঁড়ে এর মধ্যেকার গর্তগুলি পূরণ করে দেন। কিন্তু দু’টি গর্ত পূরণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে তিনি ঐ দু’টি গর্তের মুখে পা দিয়ে রাখেন। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) তাঁর উরুতে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সাপ কিংবা বিচ্ছু আবুবকর (রাঃ)-এর পায়ে দংশন করে। এতে তিনি যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন। কিন্তু রাসূল (ছাঃ) জেগে উঠবেন সেই ভয়ে নড়াচড়া করেননি। একপর্যায়ে বিষের তীব্র যন্ত্রণায় তার চোখের পানি রাসূল (ছাঃ)-এর মুখে ঝরে পড়লে তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। তখন রাসূল (ছাঃ) নিজের মুখের লালা ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে বিষের যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার বিষের ব্যথা ফিরে আসে এবং এটাই ছিল তাঁর মৃত্যুর কারণ’।[1] আবুবকর ঐ সময় কাঁদছিলেন এবং বলছিলেন, আল্লাহর কসম! আমি নিজের জন্য কাঁদছিনা, বরং আমি ভয় পাচ্ছি হে রাসূল! আপনার কি হবে? এছাড়া (খ) ছওর গুহার মুখে মাকড়সার জাল বোনা, (গ) একটি বৃক্ষের জন্ম হওয়া ও রাসূল (ছাঃ)-কে ঢেকে দেওয়া (ঘ) সেখানে এসে দু’টি কবুতরের বাসা বাঁধা ও তাতে ডিম পাড়া ইত্যাদি সবই বানোয়াট ও কল্পকাহিনী মাত্র।[2] বরং এটাই সঠিক যে, আল্লাহ ফেরেশতা পাঠিয়ে তাঁদেরকে গায়েবী মদদ করেছিলেন এবং কুরায়েশদের প্রেরিত অনুসন্ধানী দলের দৃষ্টিকে আল্লাহ অন্যদিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। যা আবুবকর (রাঃ)-এর বক্তব্য থেকেই বুঝা যায়। পরবর্তীতে বদরের যুদ্ধে ফেরেশতা পাঠিয়ে আল্লাহ একইভাবে গায়েবী মদদ করেন (আনফাল ৮/৯)। বস্ত্ততঃ এই সাহায্য নবী ও তাঁর সনিষ্ঠ অনুসারী মুমিনগণ সর্বদা পেয়ে থাকেন।[3]
Reference.........
[1]. রাযীন, মিশকাত হা/৬০২৫; আর-রাহীক্ব ১৬৪-৬৫ পৃঃ। বর্ণনাটি ‘মওযূ’ বা জাল (ঐ, তা‘লীক্ব ১০৪-০৭)।
[2]. সিলসিলা যঈফাহ হা/১১২৮-২৯; মা শা-‘আ ৮০ পৃঃ।
[3]. আম্বিয়া ২১/৮৮; রূম ৩০/৪৭।
(১) জানা আবশ্যক যে, গুহা মুখে মাকড়সা সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা ‘মুনকার’ বা যঈফ। যেমন রাসূল (ছাঃ) আবুবকরকে বলছেন, جَزَى اللهُ عَزَّ وجَلَّ العنكبوتَ عنا خيرًا، فإنها نَسَجَتْ عليَّ وعليكَ يا أبا بكرٍ في الغار، حتَّى لَمْ يَرَنا المشركونَ ولم يَصِلُوا إلينا ‘আল্লাহ আমাদের পক্ষ হ’তে মাকড়সাকে উত্তম পুরস্কার দিন। কেননা সে আমার ও তোমার উপরে হে আবুবকর! গুহাতে জাল বুনেছে। ফলে মুশরিকরা আমাদের দেখতে পায়নি এবং আমাদের কাছে পৌঁছতে পারেনি’ (মুসনাদে দায়লামী; সিলসিলা যঈফাহ হা/১১৮৯, ৩/৩৩৭ পৃঃ)। শায়খ আলবানী উপরোক্ত বর্ণনা উল্লেখ করার পর বলেন, গুহার মাকড়সা ও দুই কবুতরের ডিম পাড়া সম্পর্কে যেসব লেখনী ও বক্তব্যসমূহ প্রচলিত রয়েছে, সেগুলির কিছুই সঠিক নয়’ (যঈফাহ ৩/৩৩৯; মা শা-‘আ ৮৩ পৃঃ)।
(২) প্রসিদ্ধ আছে যে, রাসূল (ছাঃ)-কে না পেয়ে কুরায়েশ নেতারা আলী (রাঃ)-এর উপর নির্যাতন করে (আর-রাহীক্ব ১৬৫ পৃঃ, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ১/৯৬)। বর্ণনাটি সূত্র বিহীন। আরও প্রসিদ্ধ আছে যে, আবু জাহল আবুবকরকে না পেয়ে তার কন্যা আসমা (রাঃ)-এর মুখে থাপ্পড় মারেন (আর-রাহীক্ব ১৬৫ পৃঃ)। কিন্তু এর সনদ মুনক্বাতি‘ বা যঈফ ঐ, তা‘লীক্ব ১০৮-০৯; তাহকীক ইবনু হিশাম ক্রমিক ৫১৩।

বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

The miracle of the human body




বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী DNA'র একটি ক্ষুদ্র একককে জিন বলে এমন সবগুলো জিনের সমষ্টি হলো জিনোম।মানুষের (হ্যাপ্লয়েড) জিনোম প্রায় ২.৮-৩.৫ বিলিয়ন (২৮০-৩৫০ কোটি) ক্ষারযুগল নিয়ে গঠিত! ক্ষারগুলোকে A,T,C,এবং G দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
A-Adenine
T-Thymine
C-Cytocine
G-Guanine
আমরা যখন মানব জিনোমের দেখি তাকাই এতে বিদ্যমান তথ্য ও তার জটিলতা দেখি, কোষপ্রতি ৬ বিলিয়ন ক্ষারযুগল (1)অন্যভাবে বললে ৬০০কোটি বর্ণ দ্বারা গঠিত এক বাক্য!  কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো কারণ নাস্তিকদের কাছে তো এই গুলো" ছু মন্তর ছু" ছাড়া আর কিছুই না।
DNA তে যে ইনফরমেশন আছে তা যদি লেখা হয় তাহলে ৯০০ ভলিয়মের এনসাইক্লোপিডিয়া দরকার হবে। যেখানে প্রতিটি ভলিয়মের পৃষ্ঠ হবে ৫০০ করে! একটু ভাবুন, চিন্তা করুন, নিজের কমন সেন্সের ব্যবহার করুন আর প্রশংসা করুন সৃষ্টিকর্তার? আলহামদুলিল্লাহ্‌.....
'আচ্ছ বলছি। DNA -র পূর্ণরূপ হলো' ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড' যা A,T,C,G নাইট্রোজেন বেইজ দ্বারা গঠিত। এ বেইজগুলো ডি-অক্সিজেনেট রাইবোজ -এর সাথে যুক্ত থাকে যাদের নিউক্লিওসাইড বলে।প্রতিটি নিউক্লিওসাইডের রাইবোজ সুগারে ফসফেট যুক্ত হলে গঠিত হয় নিউক্লিওটাইড। এই নিউক্লিওটাইড -ই হলো DNA-এর গাঠনিক একক।এ রকম একেকটি নিউক্লিওটাইড পাশাপাশি বসে যে পলি - নিউক্লিওটাইড চেইন গঠন করে তাকেই DNA বলে
--এক একটি DNA মলিকুলে কতগুলো বেইজ পেয়ার থাকে?
-- প্রায় তিন বিলিয়ন (৩০০ কোটি) বেইজ পেয়ার থাকে!
-- প্রত্যেকটা নিউক্লিওটাইড -এ কতগুলো এটম থাকে?
-- It's easy  answer ৩৪ টি এটম থাকে!
--এবার বলেন দি একটি DNA-তে কতগুলো নিউক্লিওটাইড থাকে?
----একটি DNA-তে ৬ বিলিয়ন (৬০০ কোটি)নিউক্লিওটাইড থাকে!
এবার শোনেন আসল বয়ান ২০০ কোটি এটমকে কেমিক্যালি কম্বাইড হতে হয়, একটা সিংগেল DNA গঠনের জন্য। এক একটা সিংগেল DNA মলিকুল বানাতে কত সময়ের দরকার হবে জানিস?
' না রে তুই বল'।
' আপনি যদি একটি এটমকে এক সেকেন্ডে প্রসেস করতে পারেন, তাহলে দৈনিক ৮ ঘন্টা ব্যয় করে,এ কাজ শেষ করতে সময় লাগবে -২০ হাজার বছরের বেশি!
'এত্ত জটিল!'
' মানবদেহে একটি কোষের DNA-তে প্রায় ২ লক্ষ জিন থাকে '
'দুই লক্ষ!'
'হ্যাঁ,দুই লাখ। এই জিনগুলো মিলে প্রায় দুই লাখ প্রোটিনের কোড বহন করে। এসব কোড কোষের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। একটি মাঝারি ধরনের প্রোটিন প্রায় ৩০০ শ এমাইনো এসিড বহণ করে থাকে। এটাকে যে DNA জীন নিয়ন্ত্রণ করে তার চেইন ১০০০ হাজার নিউক্লিওটাইড থাকে। আচ্ছ অনেক হয়েছে বলেন তো একটি DNA চেইনে কত প্রকার নিউক্লিওটাইড আছে?
'চার প্রকার?'
'সাব্বাস বেটা এই না হলে নাওড়ার স্কুলের পেছনের বেঞ্চির বসা ছাত্র'!
' আরে বেটা নাওড়া হচ্ছে Cambridge University '
'বাদ দে তোর ফাও পেচ্ছাল '
'হ্যাঁ,চার প্রকার। তাহলে আমরা বলতে পারে ১০০০ লিংক যুক্ত যে নিউক্লিওটাইড আছে, তা বিন্যস্ত হতে পারে ৪ উপরে ১০০০ টি শূণ্য উপায়ে?
' ভাই রে এটা তো ক্যালকুলেটরে ধরবে না'
'ঠিক বলেছেন। সত্যি ধরবে না। এর উত্তর হবে ১০এর উপর ৬০০শূণ্য, এই সং্খ্যা আমাদের হিসাবের বাইরে। আর নাস্তিকদের জন্য দুঃখময় খবর এ যে এই হিসাব টা করেছে বিশিষ্ট বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানী Frank Salisbury
'যদি একের পর ৬০০ শূণ্য হয়, তাহলে কাকতালীয়ভাবে বা দৈবভাবে নিউক্লিওটাইড গঠন হওয়ার সম্ভাব্যতা কত?
----শূণ্য ০০০০০০
--- আমাদের দেহের DNA কতটুকু লম্বা তা কি জানিস?
---- এই টা মনে নেই! 2×10-এর উপরে ১০ কিলোমিটার!
এই দূরত্ব এতই বিশাল যে পঞ্চাশ বারের বেশি পৃথিবী থেকে সূর্য পর্যন্ত আসা -যাওয়া করা যাবে।
-----ও হউ মনে পড়েছে,আপনি কি জানেন এক গ্রাম DNA  -তে কী পরিমাণ তথ্য আছে?
---দুঃখিত.....!পারব না.. ;
----- 'মাত্র এক গ্রাম DNA - তে যে তথ্য আছে, তা যদি সিডিতে নেওয়া হয় তাহলে মোট এক ট্রিলিয়ন (১০০০ বিলিয়ন )সিডি লাগবে। কেঊ যদি এ ইনফরমেশন টাইপ করতে চায় তাহলে কেমন সময় লাগবে  জানিস?
--- I don't know
--- You always say I don't know because, you are the students of Cambridge University!
'যদি প্রতি মিনিটে ৩০০ বর্ণ টাইপ করা হয়, তাহলে দৈনিক আট ঘন্টা ব্যয় করার পর মোট সময় লাগবে -৫৭ বছর! আর এই জন্য  I always say"Origin of life is nothing but a miracle?
"যদি DNA - এর ১ বিলিয়ন ৭১৯ মিলিয়ন ৩৪৮ হাজার ৬৩২ তম বেস পেয়ারে ও কোনও লেটার মিসকোডেড হতো তাহলে মানব দেহের কোষের জন্য ক্ষতিকর হত "
আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমাদের দেহে  সে রকম কিছুই হয় নি।
আর এই জন্য বিখ্যাত বায়োকেমিস্ট Fracis Crick তার ' Life Itself'বইতে বললেছেনঃ
"যে ব্যক্তি এখন পর্যন্ত যত জ্ঞান আছে তা আয়ত্ত করেছে, সে কেবল এটাই বলতে পারবে যে  জীবনের উৎপত্তি মিরাকল ছাড়া আর কিছুই নয়"
বিজ্ঞানী Dr.Francis Collins, যিনি Human Genome project -এর হে'দ ডাইরেক্ট। তিনি DNA সম্পর্কে বলেছেনঃ
"Think of DNA as an instructional script, a software program, sitting in the nucleus cell"
এক কালের নাস্তিক গুরু বিজ্ঞানী Dr.Antony Flew বলেছনঃ
"Almost entirely because of the DNA investigation, What i think the DNA materials has done is that it shown,by the almost unbelievable,
Complexity of the arrangments which are needed to produce (life)that interlligence must have been  involved in getting these extraordinarily diverse elements ot work together "
বিখ্যাত বায়োলজিষ্ট Dr.Stephen C Meyer বলেনঃ
" the king of information that DNA contains, namely, functionally specified information And it requires a designer "
Reference..........
(1)https://www.nature.com./scitable/nate/article?action=showcon-tentInPopup&contentPK=310
(1)Donald Voet,Judith G.Voet,Charlotte W.Pratt,Fundamentals of Biochemistry;(John & Sons company, New York, 2nd ed.;2006)
(2)Edward Staunton, Wilbert,Howards,John,Text book of Biochemistry ;(Oxford & IBH company, New Delhi,India)
(3) Mohan Mia, Sarwar Akram,Nazmul Haque,Introduction of Genetics ;(Crescent Publishing House,January 2002)
(4)Harun Yahyah, If Darwin Had know about DNA(Global Publishing, Istanbul,Turkey, 2008)
(5)MN Chatterjea,Rana Shinde,Text book of Medical Biochemistry(Jaypee Brothers New Delhi,India)
(6) Francis Crick, Life Itself :It Origin and Nature ( Simon & Schuster,New York, 1982)
(7)Philip E. Johnson, Defeating Darwinism by Opening Minds(Interversity Press,Lllionis, 1997)
(8)Harun Yahya, The miracle of Creation DNA (Godword Books, New Dehli India 2002)
(9)https://www.theguardian.com/science/2009/jan/21/Charles-darwin-evolution-species-tree-life
(10)https://www.newscientist.com/article/mg-20126921.600why-darwin-was-wrong-about-the-tree-of-life
(11)If Darwin had know about DNA-Dr.Harun Yahya
(12) There is God:How the Worlds most notorious atheist changed his mind-Dr.Antony Flew
(13)Siganature in the Cell-Dr.Stephen C Meyer

(14)Language of God -Dr.Francis Collins





মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮

হুমায়ুন আজাদ:কুম্ভিলক ও দণ্ডিত অপুরুষ


         



                                      হুমায়ুন আজাদ:কুম্ভিলক ও দণ্ডিত অপুরুষ
  
হুমায়ুন আজাদ বলেন:
"আরব নারীদের নানা ইতিহাস লিখা হয়েছে ;সবগুলোতেই স্বীকার করা হয় যে ইসলামপূর্ব আরবে অনেক বেশী ছিল নারীদের স্বাধীনতা  ও অধিকার তারা অবরোধ থাকত না অংশ নিত সমস্ত সামাজিক ক্রিয়াকাণ্ড ; এমনি তাদের প্রাধান্য ছিল সমাজে ''......প্রচারের ফলে মুসমানদের মধ্যে জম্মেছে এমন এক বদ্ধমূল ধারণা যে ইসলামপূর্ব আরব নারীদের অবস্থা ছিল শোচনীয় ;ইসলাম তাদের উদ্ধার করে। প্রতিটি ব্যবস্থা পূর্ববর্তী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় ;তবে ঐতিহাসিকভাবে সাধারনত সত্য হয় না "(1)
তার এই অসার কথা নিয়েই আজকের লেখা, তার বক্তব্য যে মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না তা আমি  ইসলামিক বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রমাণ করে দিতে পারে, যে ইসলাম নারীকে দিয়েছে সবোর্চ্চ অধিকার এবং কুরআন নাযিলের আগে আরবদের কাছে নারীরা ছিল হাতের খেলার পুতুল আর ভোগের বস্তু ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু আজকে আমি ইসলামি সোর্স থেকে তা প্রমাণ করব না, কারণ কারণ আমাদের বঙ্গীয় নাস্তিকদের আবার ঘন্টায় ৩২ কিলোমিটার বেগে হাতের চুলকানি শুরু হবে কমেন্ট করা জন্য
আসুন দেখি নিই কুরআন নাযিলের আগে নারীদের অবস্থা কি রকম ছিল আরবে?
উইকিপিডিয়ায়য় বলা হয়েছে :
"আরবসমাজ ছিল বর্বর,এতটাই বর্বর ছিল যে তারা নারীদের মানুষ বলেই মনে করতো না। অভিজাত শ্রেণীর নারীরা ছাড়া অন্য নারীদের কোনো মর্যাদা দেওয়া হত না। নারীরা ধর্মীয় কাজে অংশ নিতে পারত না। তাদের ছাগল কিংবা ভেড়ার মতো মনে করা হতো।সমাজে তারা মতামত প্রকাশ করতে পারত না।বিয়ে কিংবা তালাকের ব্যাপারেও তাদের মতামত নেওয়া হতো না।এমন কি কোনো নারীর স্বামী যদি মারা যেত তাহলে সৎ ছেলে উত্তরাধিকার হিসেবে তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণণ করত। মূলতত নারী ছিল পুরুষের দাসী কিন্তু ইসলাম আসাত পর এ অবস্থার পরিবর্তিত হয়"(2)
ঐতিহাসিক Kren Armstrong বলেন:
"কোন রকম অনুশোচনা ছাড়াই কন্যা শিশুদের হত্যা করা হত। আসলে ক্রীতদাসের মতো নারীদের কোনো রকম আইনগত বা মানবাধিকার ছিল না। কেবল তুচ্ছ সম্পদ হিসেবে তারা বিবেচিত হতো। তাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হত।তারা সামগ্রিক অবস্থার উন্নতির আশাই  করতে পারত না। পুরুষরা ইচ্ছামাফিক অসং্খ্যা বিয়ে করতে পারত (3)
ইতিহাসের অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক  Sir William Gibbon বলেন :
"আদিম সমাজ (আরবের) জঘন্য পরিস্থিতির মধ্যে আইন-কানুন,ভাষা ও জ্ঞানবিবর্জিত সমাজ নামের অযোগ্য এই নররূপী পশুদিগকে অন্যান্য ইতর জীব হতে পৃথক করা যায় না" (4)
ইতিহাসের অন্যতম সেরা অন্যতমম ব্যক্তি Sir William Muir বলেন:
"আরবদের মধ্যে ছিল কুংস্কার ও অজ্ঞতার পূর্ণ ভীতি"(5)
ইসলাম নারীকে কতটা মর্যাদা দিয়েছে তা একজন ইসলাম বিদ্বেষী নারীবাদী লেখক নারী রাখী বমর্ণ বলেন:
"ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যেখানে নারীদের চূড়ান্ত মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে"(6)
উপরের আলোচনা থেকে এই কথা প্রমানিত হয় যে বাংলার কুখ্যাত Plagiarist  (7)হুমায়ুন আজাদ ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য  মিথ্যেচার ছাড়া আর কিছু করে নি।
Reference.......... 
(1)হুমায়ুন আজাদ, নারী,পৃ:৮১;
(2)https://en.Wikipedia.org/wiki/Women_in_pre_Islamic_Arabia
(3)Kren Armstrong, MUHAMMAD A biography of the prophet p.68
(4)Badruddza, Muhammad (sm):His teachings and Contribution P.39
(5)Sir William Muir,Life of Mahomet; P.509 (London,1858)
(6) Women in politics and Development(রাজনীতি ও উন্নয়নে নারী) P.75
(৭) Plagiarist  বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে যে অন্য গবেষণা বা লেখা বা থিসিস নিজের নামে চালিয়ে দেয়।এই সম্পর্কে কোনো দিন আশা করে লিখব ইনশাআল্লাহ। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন জাকারিয়া মাসুদ ভাইয়ের বই"সংবিৎ"পৃ:১২০-১৩৪ এবং 'চতুরঙ্গম্যাগাজিন' থেকে প্রকাশিত প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড.মৃণাল নাথের "ভাষাবিজ্ঞানীর এ কোন শোচনীয় পরিণতি "নামক প্রবন্ধ।

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮

সমাজ যখন পর্ণগ্রাফিতে আক্রান্ত হচ্ছে!

  যুব-সমাজ যখন পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত!তা আপনি কি জানেন?
        




আশা করে সবাই শেয়ার করবে?


পর্ণ -আসক্তি ছাড়ার জন্য পর্ণ ওয়েবসাইট ব্লক করার সফটওয়্যার বা আপ্স ইনস্টল করা খুবই জরুনি।"পর্ণ দেখতে মন চাইলো, হাতের মুঠোয় হাইস্পিড ইন্টারনেট, দুতো ক্লিক তারপর পর্ণ ভিডিওর বিশাল ভান্ডার "এর রকম অবস্থা থাকলে পর্ণ আসক্তি থেকে বের হয়ে আসা বেশ দুঃসাধ্য।এই লেখায় আমরা এমনন কিছু সফটওয়্যার,আপ্সের সন্ধ্যন দিবো যা দিয়ে আপনি অনলাইনের ফিতনাহ থেকে মোকাবেলার রসদ পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
K9 সফটওয়্যার :
যতগুলো পর্ণ ব্লকিং করার সফটওয়্যার আছে তাদের মধ্যে K9 Web Protection  সফটওয়্যার আমাদের সবচেয়ে পছন্দের। এ K9 সকল কাজের কাজি শুধু এ একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করেই আপনি আপনার পিসিকে পর্ণসাইটে প্রবেশের জন্য অভেদ্য করে ফেলতে পারবেন ইনশাআল্লাহ!
K9 সফটওয়্যার ইন্সটলের টিউটোলিয়াল -http://bit.ly/2FCWx13
K9 সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন এখান থেকে -http://bit.ly/11gZmes
K9 সফটওয়্যার ইন্সটল করার পিডিএফ টিউটোরিয়াল  পাবেন এখানে -http://bit.ly2CvZ8LA
আন্ড্রয়েড ফোনে পর্ণ সাইট ব্লক করা :
(1)ওপেন DNS Address পরিবর্তনের মাধ্যমে :
ওয়াফাই দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে এ পদ্ধতিতে পর্ণ সাইট ব্লক করা যায়। তবে মোবাইল ডাটা দিয়ে হলে হবে না।
ভিডিও টিউটোলিয়াল -http://bit.ly/2mwVkD
(2)স্পিন ব্রাউযারের মাধ্যমে:
এটি আমাদের পছন্দের পদ্ধতি বেশ কার্যকরী। প্রয়োজনীয় আপ্সগুলো নামিয়ে নিন প্লে স্টোর থেকে
Spin Browser -http://bit.ly/2cJ5uf
App Lock -http://bit.ly/1jjyav2
ভিডিও টিউটোলিয়াল-http://bit.ly.2FICLcI
Youtube -এর ফিতনাহ থেকে রক্ষা :
আন্ড্রয়েড ফোন সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে বিভিন্ন ইসলামিক চ্যানেলে Subscribe (যেটা youtube -এ লাল রং-এ থাকে)বাটনে ক্লিক করা। প্রয়োজনে ২০ থেকে ৩০ টা ইসলামিক চ্যানেলে Subscribe করা। এতে করে ইনশাআল্লাহ সামনে কোনো খারাপ অশ্লীল ভিডিও আসবে না। এছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত (খারাপ,অশ্লীল) ভিডিও সাজেশন করা থেকে নিজের মোবাইল এবং নিজেকে রক্ষা করতে http://viewpure.com এ গিয়ে কোনো ভিডিওর লিংক পেস্ট করে ভিডিও আক্সেস করলে করলে কোনো রকম সাজেশান লিস্ট আসবে না ইনশাআল্লাহ।
এ ছাড়া কিভাবে এই ফিতনাহ থেকে রক্ষা পাবেন তার জন্য কিছু ভিডিও ও আপ্স ডাউনলোড করতে পারেন?
ভিডিও'র জন্য:
1.http://bit.ly/2FzKipk
2.http://bit.ly/2mzHpfz
Apps ডাউনলোড লিংক:
1.youtube -http://bit.ly/2cqx4QM
2.App Lock -http://bit.ly/1jjyav2




মোবাইল ফোনে ও কম্পিউটারে পর্ন সাইট ব্লক করার উপায়।


মোবাইল ফোনে পর্ন সাইট ব্লক করার উপায় কি?
সহজ পদ্ধতি-
blokada.org ঠিকানা থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। এবার অ্যাপটি চালু করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, লাইসেন্স শর্ত গ্রহণ করুন। তারপরে অ্যাপটার স্ক্রিন থেকে Default DNS এ ট্যাপ করে Adguard DNS (Family) অপশন চালু করে ব্যাক করুন। এবার Keep Alive অপশনের বাটন চালু করে পাওয়ার বাটনে টাচ করুন। যে উইন্ডো আসবে সেটার Ok বাটনে টাচ করুন। এবার আপনার ফোনে অ্যাড আর পর্ন সাইট ব্লক হয়ে যাবে। অ্যাপটি ওপেন সোর্স, তাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।কঠিন পদ্ধতি- ফোন রুট করা লাগবে। রুট করা হয়ে গেলে ফোনের hosts ফাইল এডিট করে তাতে নেট থেকে খুঁজে সবপর্ন সাইট যোগ করে দিতে হবে, বা পর্ন সাইট অলরেডি যোগ করা আছে এমন hosts ফাইল ফোনের system> etc ফোল্ডারে কপি করে দিলে আগের hosts ফাইল রিপ্লেস হয়ে যাবে।এটা স্থায়ী সমাধান। কাজ হয়ে যাওয়ার পরে ফোন আনরুট করে দিতে হবে।


কম্পিউটারে পর্ন সাইট ব্লক করার উপায় কি?
(1)প্রথমে আপনার পিসি থেকে কন্ট্রোল প্যানেল যানএবং সেখানে থেকে View network status and tasks এ ক্লিক করুন ।
(2)এবার যে পেজ আসবে সেখান থেকে Accrss type অপশন থেকে ক্লিক করুন ।
(3)এখানে আপনার অন্য অপশন থাকবে যেমন Local Area Connection ও থাকতে প্রে এক কথাই সেখানে যে অপশন থাকবে তাতে ক্লিক করুন একটি বক্স আসবে সেখান থেকে Properties এ ক্লিক করুন ক্লিক করা হলে নীচের মত একটি বক্স আসবে সেখান থেকে Internet protocol version 4 (TCP/IPv4) এ ক্লিক করুন
(4)তাহলেই আরও একটি বক্স আসবে সেখান থেকে Use the following DNS server addresses এ চলি ঠিক দিন মানে ক্লিক করুন এবং সেই ফাকা ঘরের প্রথম লাইনে লিখুন 208 - 67 - 122 - 123এবং দ্বিতীয় ঘোরে লিখুন 208 - 67 - 120 - 123 ব্যাস এবার OK এ ক্লিক করুন ।
(5)ব্যাস হয়েগেল সব কিছুতে OK করে বেরিয়ে আসুন এবং গুগল যেকোনো পর্ণ সাইট ভিজিট করে দেখুন lol :-p চিন্তা নাই ভিজিট করতে পারবেন না। আশাকরি পোস্টটি বুঝতে কোন রকম সমস্যা হল না কোন রকম সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করুন ।

আশা করে সবাই শেয়ার করবে। আর হে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। 


হিন্দুধর্মে মুহাম্মাদ (সা) সম্পর্কে ভবিষ্যৎবানী!


                               ভবিষ্যৎবাণী

ঋগ্বেদে মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী?
1.ঋগ্বেদ :১।১৩।৩
2.ঋগ্বেদ:১।৪।৩
3.ঋগ্বেদ:১।১৮।৯
4.ঋগ্বেদ:১।১০৬।৪
5.ঋগ্বেদ:১।১১৬।১১
6.ঋগ্বেদ:১।১৪২।৩-৪
7.ঋগ্বেদ:১।৫৩।৯
8.ঋগ্বেদ:২।৩।২
9.ঋগ্বেদ:২।৩৪।৬
10.ঋগ্বেদ:২।৩৮।১০
11.ঋগ্বেদ:৫।৫।২
12.ঋগ্বেদ:৭।২।২
13.ঋগ্বেদ:৯।৮৬।৪২
14.ঋগ্বেদ:১০।৭০।২
15.ঋগ্বেদ:৯০।৯২।১১
16.ঋগ্বেদ:১০।১৮২।২
17.ঋগ্বেদ:৮।৬।১০
18.ঋগ্বেদ:১০।৬৪।৩
19.ঋগ্বেদ:১০।৫৭।৩
20.ঋগ্বেদ:১০।১১০।৭
21.ঋগ্বেদ:১০।১১৫।১-৪
22.ঋগ্বেদ:৪।৪২।৩
যজুর্বেদে মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী?
1.যজুর্বেদ :২০।৩৭
2.যজুর্বেদ :২০।৫৭
3.যজুর্বেদ :২১।৩১
4.যজুর্বেদ :২১।৫৫
5.যজুর্বেদ :২৮।২
6.যজুর্বেদ :২৮।১৯
7.যজুর্বেদ :২৮।৪২
8.যজুর্বেদ :১৬।১-৫
9.যজুর্বেদ :১৬।২৪-৬৪
10.কৃষ্ণযজুর্বেদ :১।৭।৪
11.কৃষ্ণযজুর্বেদ :১।৬।৪
অর্থববেদে মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী?
অর্থববেদ:২০।১২৬।১৪
অর্থববেদ:২০।৯।৩১।১-১৪
অর্থববেদ:২০।৯।১৯।১
অর্থববেদ:৮।৫।১
সামবেদে মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী?
1.সামবেদ:মন্ত্র নং-৬৪
2.সামবেদ:মন্ত্র নং-১৫২
3.সামবেদ:মন্ত্র নং-১৩৪৯
4.সামবেদ:মন্ত্র নং-১৫০০
পুরাণে মুহাম্মাদ(সা) সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী?
1.ভবিষ্যপুরাণ:৩।৩।৩।৫-৮
2.ভবিষ্যপুরাণ::৩।৩।৩।১০-২৭
3.ভবিষ্যপুরাণ:৩।১।৩।২১-২৩
4.শ্রীমদ্ভগবদমহাপুরাণ:১২।২।১৮-২০
5.শ্রীমদ্ভগবদমহাপুরাণ:১।৩।২৫
6.কল্কিপুরাণ ২:৪-১৫
এর সাথে কুরআনের সাদৃশ্য
1.সূরা আলে ইমরান ৩:১২৩-১২৫
2.সূরা আনফাল ৮:৮-৯
হিন্দু বা সনাতন ধর্মের ধর্মগ্রন্থে মুহাম্মাদ (সা) নাম সরাসরি উল্লেখ:
1.ঋগ্বেদ ৪।৪২।৩
2.ঋগ্বেদ ৮।৬।১০
3.সামবেদ:মন্ত্র নং -১৫০০
4.সামবেদ:মন্ত্র নং -১৫২
5.সামবেদ:মন্ত্র নং -৫৯৪
6.সামবেদ:মন্ত্র নং -৯০৪
7.ঋগ্বেদ ৮।৬।১০
8.অর্থববেদ ২০।৯।১৯।১
9.অর্থববেদ ৮।৫।১৬
10.অর্থববেদ ২০।১২৬।১৪
11.যজুর্বেদ ৩১।১৮
12.ভবিষ্যৎপুরাণ ৩।৩।৩।৫

শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

      The history Of "Hello"

                                                        The history Of "Hello"
                               


                                         You always say 'Hello' When answering the phone.
                         
                                                                       BUT WHY ?
A nice information.

when you lift the phone you say 'Hello'..........? Do you know what is the real meaning  of 'Hello'.It is the name of  a girl......!
YES & Do you know who is that girl....?
I am extremely sorry and said, most of the man fail who use the word.
YES "Margaret Hello"she was the girlfriend of "Graham Bell"who invented telephone... Graham Bell's first word on his phone after his invention was "Hello".That prectice of starting  the call with still continues. one can forget the Graham Bell but not his girlfriend, that is love....!

from here it is clear that, the word "Hello"not relation with religion, morality or tradition.But some people in our Socity who use the word Hello between them in conversation.  Here perfect sentence is Arabic sentence, the Arabic sentence is "আস'সালামু আলাইকুম ওয়া'রাহমাতুল্লাহি ওয়া'বারাকাতুহ" it is translation of Arabic sentence .
This is the manner of "Islam",Islam means 'A complete code of life'
It also rule of Jesus Christ or christianity according to the New Testament in Gospel,Gospel of Luke Ch.24 V.36
So Hi,Hello,Wow, Good morning, Good afternoon,Good evening etc all of them are irreligious.
If we don't fellow the rule of religion, we can't success in present life or life after death.
So it is to be forsaken according to the Hinduism (Gatta Ch.18 V. 66-67)Islam(Sura Aal-e-Imran Ch.3 V.19.and V.85)and Christianity.

শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

একদিন রবিবার....ও...

                                                                    একদিন রবিবার....ও...
.



...........................,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,.................................
অফিস থেকে বাসায় ফিরে আরজু সায়রাকে পড়াতে বসছে।সায়রা আরজুর একমাত্র মেয়ে,ক্লাস টু’তে পড়ে।সায়রাকে আনিকা(আরজুর স্ত্রী)সবসময় পড়ায়।মাঝে মাঝে যখন সময় পায় আরজু তখন পড়ানোর চেষ্টা করে।পড়ানোর সময় প্রতিটা শব্দে শব্দে প্রশ্ন করে সায়রা।আরজুও গুরুত্বসহকারে গুছিয়ে গুছিয়ে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেয়।এজন্যতো আনিকা আরজুকে বলে,এই ক্লাস টু’র মেয়েকে এই বয়সে এতো ডিটেইলস বলার দরকার কি।আরজু বলে,এখন এসব না বুঝলে কখন বুঝবে।
আজ আরজু সপ্তাহের বারের নাম পড়াচ্ছে সায়রাকে।দিনের নাম শুরু Sunday থেকে।Sun Day  শুনার পর সায়রা জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা বাবা,আমিতো পড়েছি Sun মানে তো সূর্য আর Day মানে তো দিন।তাহলে Sunday মানে সূর্যদিন না হয়ে রবিবার হল কেন?”এইতো শুরু সায়রার প্রশ্ন করা।আরজু বললো, “সূর্যের অনেকগুলো প্রতিশব্দ আছে,তারমধ্যে একটি হলো রবি।এজন্য Sunday কে রবিবার বলা হয়।
সায়রা বুঝার ভান করে বললো, “আচ্ছা,তাহলে সূর্যের নামে দিনের নাম রাখা হলো কেনো?” আরজু ভাবলো সেই প্রেক্ষাপট তো অনেক লম্বা,এখন যদি সায়রাকে এসব বলে তাহলে সে বুঝবেনা হয়তো,আবার না বললে যদি এখন শুরু থেকে ভুল জিনিস শিখে তাহলে বড় হয়ে সঠিক জিনিস তো মানতে রাজি হবেনা।মনে মনে কিছুক্ষণ এইসব ভাবতে থাকলো।আরজুকে চুপ থাকতে দেখে সায়রা মনমরা হয়ে বললো, “ওহ বুঝছি আপনি জানেননা!”
আরজু হেসে বললো আচ্ছা বলছি শুনো, “ইউরোপ মহাদেশের নাম তো শুনছো(সায়রা হ্যা সূচক মাথা নাড়লো)।আগে ইউরোপ মহাদেশ দুইটা অংশ ছিলো।একটা দক্ষিণ ইউরোপ আর আরেকটা উত্তর ইউরোপ।দক্ষিণ ইউরোপের লোকেরা বিশ্বাস করতো একজন দেবতা আছেন যিনি শুধুমাত্র আকাশে গোলাকার আলোর বলয় আঁকেন।ল্যাটিন ভাষায় এই দেবতার নাম ‘সালিছ’।এ থেকেই আসছে সালিছ ডে বা সূর্যের দিন।”
সায়রা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চেয়ে বললো, “আর উত্তর ইউরোপের মানুষরা কি ভাবতো?” আরজু বললো, “উত্তর ইউরোপের লোকেরা এই একই দিনকে ‘স্যানেল ডেইজ’ বলে ডাকতো।তাছাড়া ইংরেজী Sunday মূলত উত্তর ইউরোপের লোকদের বলা স্যানেল ডেইজ থেকে এসেছে।”
রোববারের এই কাহিনী শুনে সায়রা অবাক হয়ে বললো, “তাহলে আমরা কেন ঐসব দেবতায় বিশ্বাসীদের দেয়া নাম অনুযায়ী Sunday বলি?” আরজু নিচুস্বরে বললো, “হ্যা,দুঃখজনক হলেও এটাই এখন সারা বিশ্বে প্রচলিত!” এবার সায়রা বললো, “শুনেছি বিদেশে(ইউরোপ-আমেরিকায়) সাপ্তাহিক ছুটি Sunday তে।রোববারে কেন তাদের সাপ্তাহিক ছুটি?”
আরজু বললো, “খ্রিষ্টান এবং ইহুদিরা এই দিনকে Lord’s day  বা ঈশ্বরের দিন বলে থাকে।সপ্তাহে এই দিন তারা গির্জায় যায়,প্রার্থনা করে।এই দিনটা মূলত তাদের উপাসনার জন্য বরাদ্দ।তাই Sunday বা রবিবারে পুরো ইহুদি ও খ্রিষ্ট জগত Holiday  বা ছুটির দিন হিসেবে পালন করে।”
এবার সায়রা বুঝলো রবিবার কেনো ছুটির দিন।এবার জানতে চাইলো, “তাহলে আমাদের ধর্ম রবিবার নিয়ে কি বলে?”সায়রার প্রশ্ন শুনে আরজু খুশি হলো।আরজু বললো, “আমাদের ধর্ম অনুযায়ী,আল্লাহ আকাশের তারা তৈরি করেছেন রবিবারে,জাহান্নাম তৈরি করেছেন রবিবারে,জাহান্নামের ৭ টা দরজা তৈরি করেছেন রবিবারে।আরবীতে রবিবারের নাম ‘ইয়াওমুল আহাদ’।”

একটু চিন্তিত ভঙ্গিতে সায়রা বললো, “তাহলে বাবা,পৌত্তলিকদের দেয়া এইসব নাম কি পরিবর্তন করা যায়না?”আরজু উত্তর দিতে যাবে তখন আনিকা এসে বিদ্রুপের সুরে বললো, “হ্যা,ভালোই তো মেয়েকে পড়াচ্ছো!আধাঘন্টা ধরে কেবল রোববার পড়াচ্ছো।আসো খাবার টেবিলে,রান্না করা শেষ।বাকিটা আমি পড়াবো”
কবি হুমায়ূন আহমেদ ও এক নাস্তিকের অযাচিত মাতবরি?
এটি একতি অখন্ড লেখা!
এক নাস্তিক তার ওয়েবসাইটে কথাগুলো লিখেছেন
নিচের কথা গুলো লক্ষ্য করুনঃ
হুমায়ূন আহমেদ ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ লিখেছিলেন প্রায় ২৪ বছর আগে। মুসলমানরা নিজেরাই সবকিছুতে আল্লা-ধর্ম টেনে আনে, তখন কেউ যদি একটু যুক্তি প্রয়োগ করে তখন তারা কীভাবে পিছলায়, তার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই অংশটুকু। ফেসবুকেও এমন মুসলমানের অভাব নাই। এছাড়া নাস্তিকরা যখন একটু মজা করে কোনো প্রসইওঙ্গে ধর্ম টেনে আনে, তখন এরাই আবার উলটা গান গায়–‘সব কিছুতে ধর্ম টেনে আনেন কেন?’–তখন যে কী মগা লাগে।
যা হোক, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’-এর সেই অংশটুকু দেখা যাক, যেখানে তিনি মুসলমান চরিত্রের একটা পিছলা দিক দেখিয়েছেন–
//ভূঁইয়া স্যার একবার ক্লাসে বলেছিলেন–মেডিকেল প্রফেশনে মাঝে মাঝে তোমরা ভয়াবহ সমস্যায় পড়বে। তখন আল্লাহর সাহায্য কামনা করবে। দেখবে এতে নার্ভের জড়তা কেটে যাবে। সহজভাবে চিন্তা করতে পারবে।
শাহানা বলেছিল, নার্ভের জড়তা কে কাটিয়ে দেন? আল্লাহ?
স্যার বলেছিলেন, হয়ত তিনিই কাটান। কিংবা হয়ত তার কাছে প্রার্থনা করার কারণে নিজের মনের ভেতর থেকে এক ধরনের শক্তি আসে।
যে আল্লাহ ডাক্তারের নার্ভের জড়তা কাটান তিনি কেন সরাসরি রোগিকে সুস্থ করে দেন না?
সেটা উনি বলতে পারবেন। আমি পারব না। উনার কর্ম পদ্ধতি বোঝা মানুষের সাধ্যের বাইরে।
শাহানা কঠিন গলায় বলেছিল, স্যার, আমার ধারণা, আল্লাহ্ ধর্ম এইসব মানুষের সৃষ্টি। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেন নি। ম্যান ক্রিয়েটেড গড।
হতে পারে। এটা যেহেতু ধর্মতত্ত্বের ক্লাস না সেহেতু আমরা আমাদের টপিকে ফিরে যাই–শরীরতত্ত্ব।/
এখানে মূলত প্রশ্ন টা হলো যে
যে আল্লাহ ডাক্তারের নার্ভের জড়তা কাটান তিনি কেন সরাসরি রোগিকে সুস্থ করে দেন না?
আচ্ছা আমি আপনাদের একটা প্রশ্ন করে আর আপনারা ভেবে দেখবেন
যে শিক্ষক শিক্ষার্থীকে কিভাবে পরীক্ষায় পাশ করতে তা শিক্ষা দেয়, তিনি কেন সরাসরি শিক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেন না?






https://chutrapata.wordpress.com/2018/04/29/%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%a3-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%98%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8/

লুৎফর রহমান ফরাইজীর অজ্ঞতা সূচক বক্তব্য !

                                                লুৎফর রহমান ফরাইজীর অজ্ঞতা সূচক বক্তব্য !



নিচের কথাগুলো লক্ষ্য করুনঃ
ইমাম আবু হানীফা রহঃ সহ ফুক্বাহায়ে আহনাফ যেহেতু কুরআন ও হাদীসকে সামনে রেখে গবেষণা করে কুরআন ও হাদীসের ভিতরেরই মাসায়েলকেই একত্রিত করেছেন। তো সব মাসআলাতো ঠিক হবেই। কারণ ফিক্বহ ভুল হওয়া মানেতো কুরআন ও হাদীসই ভুল হয়ে যাওয়া
তাই বিদআত বুঝার সহজ পদ্ধতি হল, ফিক্বহের কিতাবে করার বিধান থাকলে বুঝতে হবে তা সুন্নাহ সম্মত। আর না করার কথা থাকলে বা উল্লেখ না থাকলে বিদআতের তালিকায় অন্তর্ভূক্তির সম্ভাবনায় পরে যাবে।(1)
আমার মনে হয় তার কাছে কুরআন ও হাদীস ভুল হতে পারে কিন্তু ইমাম আবু হানিফা বা ফিক্বহ ভুল হতে পারে না? তার বক্তব্য যে একেবারে অজ্ঞতাসূচক তা যে কেউ বুঝতে পারবে।
আর দ্বিতীয় বক্তব্য যদি মনে করি নেয় যে সঠিক তাহলে মোবাইল, কম্পিউটার, মাইক, সাউন্ড বক্স,ইত্যাদি সবই বিদায়াত।কারণ এগুলো সম্পর্কে তো ইমাম আবু হানিফা বা ফিক্বহ'র কিতাব গুলোতে বলা নাই।তাই এগুলো বিদায়াত।কিন্তু মজার ব্যাপর এই যে তিনি কিন্তু মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করেই উপরে উল্লিখিত বক্তব্য গুলো লিখেছেন।তাই তার কথা অনুযায়ী তিনি বিদায়াত করছেন। এবং তিনি নিজেই রায় দিচ্ছেন তিনি একজন বিদয়াতি।এই হচ্ছে আমাদের দেশের তাক্বলীদপন্থী আলেমের অবস্থা।
Reference..............
(1)ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com
@কপিরাইট: http://ahlehaqmedia.com/6039/

Application Download Link:  https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tos.masayel

বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হানাফী মাযহাব বনাম সহীহ হাদীস !

                                             হানাফী মাযহাব বনাম সহীহ হাদীস !



হানাফী মাযহাবের সাথে সহীহ হাদীসের কতটুকু পার্থক্য আছে তা নিচের লেখাটা পড়লে বুঝতে পারবেন আশা করে।
 ছহীহ হাদীসঃ
" জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)সূত্রে বর্ণিত।রাসূলূল্লাহ(সা)বলেছেনঃ পশুকে জবাই করাই তার পেটের বাচ্চার জন্য যথেষ্ঠ"(1)
ইমাম আবূ হানিফা বলেনঃ
"কেউ ঊট বা গরু জবাই করার পর যদি, পেটের ভেতর মৃত বাচ্চা পায়  তবে তা খাওয়া যাবে না। চাই সে পসম উঠুক বা না উঠুক(2)ইমাম আবূ হানিফা বলেছেনঃকাজেই বাচ্চাটিকে আবার জবাই করতে হবে"(3)
ছহীহ হাদীসঃ
"জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন,রাসূলূল্লাহ(সা)খাইবারের দিন গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।এবং ঘোড়ার গোশত খেতে অনুমতি দিয়েছেন"(4)
ইমাম আবূ হানিফা বলেনঃ
"ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরুহ"(5)
ছহীহ হাদীসঃ
"আয়িশাহ(রাযি)হতে বর্ণিত যে,আল্লাহ'র রাসূল(সা)বলেছেনঃসওমের কাযা যিম্বায় রেখে যদি কেউ মারা যায় তাহলে তার অভিবাক তার পক্ষ  হতে সাওম আদায় করবে"(6)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"যদি কোন ব্যক্তি  মারা যায় তাহলে তার অভিবাক তার পক্ষ  হতে সাওম আদায় করবে না (7)
ছহীহ হাদীসঃ
"রাসূলূল্লাহ(সা) বলেনঃতোমাদের কেউ যেন তার  হেবাকৃত জিনিস(দান ফেরত না নেয়।তবে পিতা পুত্রকে হেবাকৃত জিনিস নিতে পারে"(8)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"কেউ যদি অজনবি কে হেবা করে তবে সে ফেরত নিতে পারে"(9)
ছহীহ হাদীসঃ
" যায়দ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাযি.) হতে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ তার বাঁধনের রশি অথবা বললেন, থলে-ঝুলি ভাল করে চিনে রাখ। অতঃপর এক বছর পর্যন্ত তার ঘোষণা দিতে থাক। তারপর (মালিক পাওয়া না গেলে) তুমি তা ব্যবহার কর। অতঃপর যদি এর প্রাপক আসে তবে তাকে তা দিয়ে দেবে। সে বলল, ‘হারানো উটের ব্যাপারে কী করতে হবে?’ এ কথা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন রাগ করলেন যে, তাঁর গাল দু’টো লাল হয়ে গেল। অথবা বর্ণণাকারী বলেন, তাঁর মুখমন্ডল লাল হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ ‘উট নিয়ে তোমার কী হয়েছে? তার তো আছে পানির মশক ও শক্ত পা। পানির নিকট যেতে পারে এবং গাছ খেতে পারে। কাজেই তাকে ছেড়ে দাও এমন সময়ের মধ্যে তার মালিক তাকে পেয়ে যাবে।’ সে বলল, ‘হারানো ছাগল পাওয়া গেলে?’ তিনি বললেন, ‘সেটি তোমার হবে, নাহলে তোমার ভাইয়ের, না হলে বাঘের।’ (২৩৭২, ২৪২৭, ২৪২৮, ২৪২৯, ২৪৩৬, ২৪৩৮, ৫২৯২, ৬১১২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯১)(10)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"ইমাম কুদুরী বলেন হারানো বকরী, গরু,ঊট কুড়িয়ে নেওয়া বৈধ আছে"(11)
ছহীহ হাদীসঃ
"মুগীরাহ ইবনে শু'বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূল (সা)উযু করলেন। তিনি কপালের চুলের উপর, পাগড়ীর ও মোজার উপর মাসাহ করলেন(12)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"পাগড়ী,টুপি,বোরকা,মোজার উপরে মাসাহ করা বৈধ না"(13)
ছহীহ হাদীসঃ
"আবদুল্লাহ্ ইবনু মুগাফ্ফাল (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত আদায় করা যায়। তৃতীয়বার এ কথা বলার পর তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে(14)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"মাগরীবের পূর্বে সালাত/নামাজ নয়(15)
ছহীহ হাদীসঃ
"আনাস(রা)হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলূল্লাহ (সা)একদা আব্দুল্লাহ ইবনে কামতুমকে সলাত আদায়ের জন্য স্থলাভিষিক্ত করে দিলেন,অথচ তিনি জম্মান্ধ অন্ধ(16)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"অন্ধ ব্যক্তিকে ইমামতি জন্য দেওয়া যাবে না"(17)
২নং অজ্ঞতাঃ
ইমাম আবু হানিফা বলেনঃযখন "ছহীহ হাদীস"পাবে, জেনো সেটাই আমার মাযহাব"
এই তিনিই বলেছেন(18) 
Reference............
(1)সুনান আবু দাঊদ হা/২৮২৮,সুনান তিরমিযী হা/১৪৭৬,ইমাম তিরমিযী ও আলবানী।
(2)আল হিদায়া (ই.ফা..)৪/১২৯পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া৯/৪৩১পৃঃ
(3)আল হিদায়া ৩/১৩০পৃঃ;
(4)ছহীহ বুখারী ৫/৪২১৯,৫৫২০-৫৫২৪,মুসলিম ৩৪/৬ হাঃ১৯৪১,মুসনাদে আহমদ হা/১৪৮৯৬,বুখারী (আ.প্র.)হা/৩৮৯৮,বুখারী (ই.ফা.)হা/৩৯০১;
(5)আল হিদায়া (ই.ফা..)৪/১৩২পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ৯/৪৪৭পৃঃ
(6))ছহীহ বুখারী হা/১৯৫২,মুসলিম ১৩/২৭ হাঃ১১৪৭,,বুখারী (আ.প্র.)হা/১৮১২বুখারী (ই.ফা.)হা/১৮২৫;
(7)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/১৫৪পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া২/৪৪৭পৃঃ
(8)সুনান নাসায়ী হা/৩৬৮৯,সুনান ইবনে মাজাহ হা/২৩৭৮,মুসনাদে আহমদ হা/৬৫৯২,৬৬৬৬,৬৯০৪,সুনান দারাকুতনী ৩/৪৩,মিশকাত হা/৩০২০;
(9)আল হিদায়া (ই.ফা..)২/৭৭পৃঃ;
(10))ছহীহ বুখারী হা/৯১,২৩৭২,মুসলিম ৩১/১ হাঃ১৭২২,মুসনাদে আহমদ হা/১৭০৪৯,বুখারী (আ.প্র.)হা/২১৯৯বুখারী (ই.ফা.)হা/২২১৬;
(11)আল হিদায়া (ই.ফা..)২/২০৫পৃঃ;
(12)মুসলিম হা/২৭৪,মিশকাত হা/৩৯৯;
(13)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/১৪১পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া২/২১১পৃঃ
(14)ছহীহ বুখারী হা/৬২৭,৬২৪ মুসলিম  হাঃ১৯৭৭মিশকাত হা/৬৬২ পৃঃ৬৫, অনুবাদকৃত মিশকাত হা/৬১১,বুখারী (আ.প্র.)হা/ ৫৯১ বুখারী (ই.ফা.)হা/ ৫৯৯;
(15))আল হিদায়া (ই.ফা..)১/৬৪পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ১/২৮৩ পৃঃ
(16)সুনান আবু দাঊদ হা/৫৯৫,সুনানুস সুগরা লিল বায়হাক্বী হা/৫০৭;
(17)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/৯৬পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ১/৩৯৩ পৃঃ
(18))হাশিয়াহ ইবনে আবেদীন ১/৬৩পৃঃ;রাদ্দুল মুহতাব ১/৪৬২ পৃঃ,নাসিরুদ্দীন আলবানী,ছহীহ আত-তিরমিযী মুক্কাদামা ৪২পৃঃ;ইমাম আব্দুল ওয়াহহাব শা‘রাণী, মীযানুল কুবরা (দিল্লী : ১২৮৬ হিঃ), ১ম খন্ড, পৃঃ ৩০।

লুৎফর রহমান ফরায়জীর অজ্ঞতা !

                                                লুৎফর রহমান ফরায়জীর অজ্ঞতা !


তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলো লিখেছেনঃ

"চার মাযহাবের ইমামগণ হাদীস পাননি, তাই তারা হাদীস বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেছেন” আপনার উপরোক্ত কথাটি তথন সত্য বলে ধরে নেয়া যাবে, যখন আপনি এমন একটি হাদীস দেখাতে পারবেন, যেখানে ইমামগণ মাসআলা বলেছেন, অথচ তাদের স্বপক্ষে কোন হাদীস নেই। কিন্তু তাদের মতের উল্টো হাদীস আছে।
এমন একটি মাসআলা কি দেখাতে পারবেন?
বরং সর্বোচ্চ এতটুকু দেখাতে পারবেন যে, তারা যে হাদীসের উপর ভিত্তি করে মাসআলা বলেছেন, সেই হাদীসটি তাদের পরবর্তী কোন ব্যক্তির কারণে হয়তো মুতাকাল্লাম ফী হল, কিন্তু তাদের মতের স্বপক্ষে কুরআন বা হাদীসের কোন বক্তব্য নেই অথচ বিপরীত পক্ষে হাদীস বা কুরআন আছে এমন একটি মাসআলা দেখাতে পারবেন কি?
সহীহ হাদীস হলেই সেটি আমার মাযহাব?
উপরোক্ত বক্তব্যের ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি কথা। যথা-
উক্ত কথাটি ইমামগণ বলেছেন, মর্মে ইমামগণ পর্যন্ত কোন বিশুদ্ধ সনদ কি কোন লা-মাযহাবী দেখাতে পারবে?
আর বিশুদ্ধ সনদ ছাড়া কথা কি তারা গ্রহণ করে? তাহলে এ কথা নিয়ে কেন এত লাফালাফি?(19)

তার কথাটুকু কতটুকু যৌক্তিক তা নিচের লেখা পড়লে বুঝতে পারবেন "ইনশাআল্লাহ "লুৎফর রহমান ফরায়জীর অজ্ঞতা ! 
চার মাযহাবের ইমামগণ হাদীস পাননি, তাই তারা হাদীস বিরোধী বক্তব্য প্রদান করেছেন” আপনার উপরোক্ত কথাটি তথন সত্য বলে ধরে নেয়া যাবে, যখন আপনি এমন একটি হাদীস দেখাতে পারবেন, যেখানে ইমামগণ মাসআলা বলেছেন, অথচ তাদের স্বপক্ষে কোন হাদীস নেই। কিন্তু তাদের মতের উল্টো হাদীস আছে।
এমন একটি মাসআলা কি দেখাতে পারবেন?
বরং সর্বোচ্চ এতটুকু দেখাতে পারবেন যে, তারা যে হাদীসের উপর ভিত্তি করে মাসআলা বলেছেন, সেই হাদীসটি তাদের পরবর্তী কোন ব্যক্তির কারণে হয়তো মুতাকাল্লাম ফী হল, কিন্তু তাদের মতের স্বপক্ষে কুরআন বা হাদীসের কোন বক্তব্য নেই অথচ বিপরীত পক্ষে হাদীস বা কুরআন আছে এমন একটি মাসআলা দেখাতে পারবেন কি?
সহীহ হাদীস হলেই সেটি আমার মাযহাব?
উপরোক্ত বক্তব্যের ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি কথা। যথা-
উক্ত কথাটি ইমামগণ বলেছেন, মর্মে ইমামগণ পর্যন্ত কোন বিশুদ্ধ সনদ কি কোন লা-মাযহাবী দেখাতে পারবে?
আর বিশুদ্ধ সনদ ছাড়া কথা কি তারা গ্রহণ করে? তাহলে এ কথা নিয়ে কেন এত লাফালাফি?(19)"
তার কথাটুকু কতটুকু যৌক্তিক তা নিচের লেখা পড়লে বুঝতে পারবেন "ইনশাআল্লাহ " 

ছহীহ হাদীসঃ
" জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)সূত্রে বর্ণিত।রাসূলূল্লাহ(সা)বলেছেনঃ পশুকে জবাই করাই তার পেটের বাচ্চার জন্য যথেষ্ঠ"(1)
ইমাম আবূ হানিফা বলেনঃ
"কেউ ঊট বা গরু জবাই করার পর যদি, পেটের ভেতর মৃত বাচ্চা পায়  তবে তা খাওয়া যাবে না। চাই সে পসম উঠুক বা না উঠুক(2)ইমাম আবূ হানিফা বলেছেনঃকাজেই বাচ্চাটিকে আবার জবাই করতে হবে"(3)
ছহীহ হাদীসঃ
"জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)সূত্রে বর্ণিত তিনি বলেন,রাসূলূল্লাহ(সা)খাইবারের দিন গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।এবং ঘোড়ার গোশত খেতে অনুমতি দিয়েছেন"(4)
ইমাম আবূ হানিফা বলেনঃ
"ঘোড়ার গোশত খাওয়া মাকরুহ"(5)
ছহীহ হাদীসঃ
"আয়িশাহ(রাযি)হতে বর্ণিত যে,আল্লাহ'র রাসূল(সা)বলেছেনঃসওমের কাযা যিম্বায় রেখে যদি কেউ মারা যায় তাহলে তার অভিবাক তার পক্ষ  হতে সাওম আদায় করবে"(6)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"যদি কোন ব্যক্তি  মারা যায় তাহলে তার অভিবাক তার পক্ষ  হতে সাওম আদায় করবে না (7)
ছহীহ হাদীসঃ
"রাসূলূল্লাহ(সা) বলেনঃতোমাদের কেউ যেন তার  হেবাকৃত জিনিস(দান ফেরত না নেয়।তবে পিতা পুত্রকে হেবাকৃত জিনিস নিতে পারে"(8)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"কেউ যদি অজনবি কে হেবা করে তবে সে ফেরত নিতে পারে"(9)
ছহীহ হাদীসঃ
" যায়দ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাযি.) হতে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ তার বাঁধনের রশি অথবা বললেন, থলে-ঝুলি ভাল করে চিনে রাখ। অতঃপর এক বছর পর্যন্ত তার ঘোষণা দিতে থাক। তারপর (মালিক পাওয়া না গেলে) তুমি তা ব্যবহার কর। অতঃপর যদি এর প্রাপক আসে তবে তাকে তা দিয়ে দেবে। সে বলল, ‘হারানো উটের ব্যাপারে কী করতে হবে?’ এ কথা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন রাগ করলেন যে, তাঁর গাল দু’টো লাল হয়ে গেল। অথবা বর্ণণাকারী বলেন, তাঁর মুখমন্ডল লাল হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ ‘উট নিয়ে তোমার কী হয়েছে? তার তো আছে পানির মশক ও শক্ত পা। পানির নিকট যেতে পারে এবং গাছ খেতে পারে। কাজেই তাকে ছেড়ে দাও এমন সময়ের মধ্যে তার মালিক তাকে পেয়ে যাবে।’ সে বলল, ‘হারানো ছাগল পাওয়া গেলে?’ তিনি বললেন, ‘সেটি তোমার হবে, নাহলে তোমার ভাইয়ের, না হলে বাঘের।’ (২৩৭২, ২৪২৭, ২৪২৮, ২৪২৯, ২৪৩৬, ২৪৩৮, ৫২৯২, ৬১১২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯১)(10)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"ইমাম কুদুরী বলেন হারানো বকরী, গরু,ঊট কুড়িয়ে নেওয়া বৈধ আছে"(11)
ছহীহ হাদীসঃ
"মুগীরাহ ইবনে শু'বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূল (সা)উযু করলেন। তিনি কপালের চুলের উপর, পাগড়ীর ও মোজার উপর মাসাহ করলেন(12)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"পাগড়ী,টুপি,বোরকা,মোজার উপরে মাসাহ করা বৈধ না"(13)
ছহীহ হাদীসঃ
"আবদুল্লাহ্ ইবনু মুগাফ্ফাল (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত আদায় করা যায়। তৃতীয়বার এ কথা বলার পর তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে(14)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"মাগরীবের পূর্বে সালাত/নামাজ নয়(15)
ছহীহ হাদীসঃ
"আনাস(রা)হতে বর্ণিত।তিনি বলেন,রাসূলূল্লাহ (সা)একদা আব্দুল্লাহ ইবনে কামতুমকে সলাত আদায়ের জন্য স্থলাভিষিক্ত করে দিলেন,অথচ তিনি জম্মান্ধ অন্ধ(16)
হানাফী মাযহাবের ফাতাওয়াঃ
"অন্ধ ব্যক্তিকে ইমামতি জন্য দেওয়া যাবে না"(17)
২নং অজ্ঞতাঃ
ইমাম আবু হানিফা বলেনঃযখন "ছহীহ হাদীস"পাবে, জেনো সেটাই আমার মাযহাব"
এই তিনিই বলেছেন(18) তাই এখানে লুৎফর রহমান ফরাইজী তার অজ্ঞতা! পরিচয় দিয়েছেন।
Reference............
(1)সুনান আবু দাঊদ হা/২৮২৮,সুনান তিরমিযী হা/১৪৭৬,ইমাম তিরমিযী ও আলবানী।
(2)আল হিদায়া (ই.ফা..)৪/১২৯পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া৯/৪৩১পৃঃ
(3)আল হিদায়া ৩/১৩০পৃঃ;
(4)ছহীহ বুখারী ৫/৪২১৯,৫৫২০-৫৫২৪,মুসলিম ৩৪/৬ হাঃ১৯৪১,মুসনাদে আহমদ হা/১৪৮৯৬,বুখারী (আ.প্র.)হা/৩৮৯৮,বুখারী (ই.ফা.)হা/৩৯০১;
(5)আল হিদায়া (ই.ফা..)৪/১৩২পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ৯/৪৪৭পৃঃ
(6))ছহীহ বুখারী হা/১৯৫২,মুসলিম ১৩/২৭ হাঃ১১৪৭,,বুখারী (আ.প্র.)হা/১৮১২বুখারী (ই.ফা.)হা/১৮২৫;
(7)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/১৫৪পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া২/৪৪৭পৃঃ
(8)সুনান নাসায়ী হা/৩৬৮৯,সুনান ইবনে মাজাহ হা/২৩৭৮,মুসনাদে আহমদ হা/৬৫৯২,৬৬৬৬,৬৯০৪,সুনান দারাকুতনী ৩/৪৩,মিশকাত হা/৩০২০;
(9)আল হিদায়া (ই.ফা..)২/৭৭পৃঃ;
(10))ছহীহ বুখারী হা/৯১,২৩৭২,মুসলিম ৩১/১ হাঃ১৭২২,মুসনাদে আহমদ হা/১৭০৪৯,বুখারী (আ.প্র.)হা/২১৯৯বুখারী (ই.ফা.)হা/২২১৬;
(11)আল হিদায়া (ই.ফা..)২/২০৫পৃঃ;
(12)মুসলিম হা/২৭৪,মিশকাত হা/৩৯৯;
(13)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/১৪১পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া২/২১১পৃঃ
(14)ছহীহ বুখারী হা/৬২৭,৬২৪ মুসলিম  হাঃ১৯৭৭মিশকাত হা/৬৬২ পৃঃ৬৫, অনুবাদকৃত মিশকাত হা/৬১১,বুখারী (আ.প্র.)হা/ ৫৯১ বুখারী (ই.ফা.)হা/ ৫৯৯;
(15))আল হিদায়া (ই.ফা..)১/৬৪পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ১/২৮৩ পৃঃ
(16)সুনান আবু দাঊদ হা/৫৯৫,সুনানুস সুগরা লিল বায়হাক্বী হা/৫০৭;
(17)আল হিদায়া (ই.ফা..)১/৯৬পৃঃ,আশরাফুল হিদায়া ১/৩৯৩ পৃঃ
(18))হাশিয়াহ ইবনে আবেদীন ১/৬৩পৃঃ;রাদ্দুল মুহতাব ১/৪৬২ পৃঃ,নাসিরুদ্দীন আলবানী,ছহীহ আত-তিরমিযী মুক্কাদামা ৪২পৃঃ;ইমাম আব্দুল ওয়াহহাব শা‘রাণী, মীযানুল কুবরা (দিল্লী : ১২৮৬ হিঃ), ১ম খন্ড, পৃঃ ৩০।
(19)ইমেইল– ahlehaqmedia2014@gmail.com
@কপিরাইট: http://ahlehaqmedia.com/5481/
Application Download Link:  https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tos.masayel

তাক্বলীদ !

                           তাক্বলীদ! 




কোন ইমামের তাক্বলীদ করা যাবে কিনা এই সম্পর্কে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কিছু ইমামদের কথা পড়ুন।উপকৃত হবেন ইনআল্লাহ। হলে আমার লেখা সার্থক!
ইমাম আবূ হানীফা(রহঃ)-এর নিষেধাজ্ঞাঃ
1".যখন "ছহীহ হাদীস"পাবে, জেনো সেটাই আমার মাযহাব"(1)
2."আমরা কোথা থেকে গ্রহণ করেছে তা না জেনে আমাদের কথা গ্রহণ করা কারো জন্য বৈধ নয়"(2)
3."যে ব্যক্তি আমার দলীল জানি না আমার কথা দ্বারা ফৎওয়া প্রদান করা তার জন্য হারাম"(3)
4."নিশ্চয়ই আমরা মানুষ।আমরা আজকে যা বলি,আগামীকাল তার থেকে ফিরে আসে"(4)
5."তোমার জন্য আফসোস হে ইয়াকুব(আবু ইউসুফ) তুমি আমার থেকে যা শোন তা লিখে নিও না। কারণ আমি আজ যে মত প্রদান করি,কাল তা প্রত্যাখান করে এবং কাল যে মত প্রদান করি, পরশু তা প্রত্যাখান করি"(5)
6."আমি যদি আল্লাহ কিতাব (কুরআন) ও রাসূলূল্লাহ(সা)-এর কথার (হাদীছ)বিরোধী কোন কথা বলে থাকি,তাহলে
আমার কথা ছুঁড়ে ফেলে দিও"(6)
ইমাম মালিক(রহ)-এর নিষেধাজ্ঞাঃ
1."আমি একজন মানুষ মাত্র।আমি ভুল করি, আবার ঠিক ও করি।অতত্রব আমার সিদ্ধান্তগুলো তোমরা যাছাই কর।যেগুলো কুরআন ও সুন্নাহ'র অনুকূলে হবে সেগুলো গ্রহণ কর। আর যেগুলো কুরআন ও সুন্নাহ প্রতিকূলে হবে তা প্রত্যাখান কর"(7)
2."রাসূলূল্লাহ (সা)-এর পরে এমন কোনো ব্যক্তি নাই যার সকল কথাই গ্রহণীয় বা বর্জনীয়,একমাত্র রাসূলূল্লাহ(সা)ব্যতীত"(8)
           
ইমাম শাফেঈ(রহঃ)-এর নিষেধাজ্ঞাঃ
1."যদি তোমরা আমার বইয়ে রাসূল(সা)-এর সুন্নাহ বিরোধী কিছু পাও,তাহলে রাসূল (সা)-এর সুন্নাহ অনুযায়ী বল এবং আমার কথাকে প্রত্যাখান কর"
......"তোমরা রাসূল(সা)-এর কথাই অনুসরণ কর এবং অন্য কারো কথার দিকে  দৃকপাত কর না"(9)
2."আমি যেসব কথা বলেছি, তা যদি রাসূলূল্লাহ(সা)-এর ছহীহ হাদীসের বিপরীত হয়,তবে রাসূল(সা) -এর হাদীসই অগ্রগণ্য।অতত্রব তোমরা আমার "তাক্বলীদ " কর না "(10)
3."রাসূলূল্লাহ (সা)-এর প্রত্যেকটি হাদীসই আমার কথা,যদিও আমার থেকে তোমারা তা না শুনে থাকে"(11)
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল(রহঃ)-এর নিষেধাজ্ঞাঃ
1."তুমি আমার তাক্বলীদ কর না এবং তাক্বলীদ কর না মালিক, শাফেঈ,আওযাঈ,ছাওরীর।রবং তারা যে উৎস থেকে গ্রহণ করছেন,সেখান থেকে তোমরাও গ্রহণ কর"(12)
2."যে ব্যক্তি রাসূল(সা)-এর হাদীছকে প্রত্যাখান করল,সে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেল"(13)
ইমাম রাযি(রহঃ)বলেনঃ
"শয়তানী ধোঁকা অনুসরণ করা ও তাক্বলীদ করার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই"(14)
শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়্যহ বলেনঃ
"আর ইমামগন অর্থাৎ ইমাম আবু হানীফা,ইমাম মালিক,ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদ বিন(রহঃ)সকলেই তাদের তাক্বলীদ করতে নিষেধ করেছেন"(15)
ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম(রহঃ)বলেনঃ
"শারঈ বিষয় অজ্ঞ ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট কোনো মাযহাবের তাক্বলাদ করা সিদ্ধ নয়,যদিও তারা তা করে থাকে"(16)
কামাল বিন হুমান হানাফী(রহঃ)বলেনঃ
"ছহীহ মতে নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের অন্ধ অনুসরণ করা অপরিহার্য নয়।কেননা তার (মাযহাবের)অন্ধ অনুসরণ করা অপরিহার্য করা হয়নি"(17)
শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায বলেনঃ
"চার মাযহাবের কোন এক মাযহাবের 'তাক্বলীদ করা ওয়াজীব মর্মে 'প্রচলিত কথাটি নিঃসন্দেহে ভুল;বরং চার মাযহাবসহ অন্যদের তাক্বলীদ করা ওয়াজীব নয়।কেননা করআন ও সুন্নাহের ইত্তেবা করার মধ্যেই হক নিহিত আছে,কোন ব্যক্তি তাক্বলীদের মধ্যে নয়"(18)
Reference.............

(1)হাশিয়াহ ইবনে আবেদীন ১/৬৩পৃঃ;রাদ্দুল মুহতাব ১/৪৬২ পৃঃ,নাসিরুদ্দীন আলবানী,ছহীহ আত-তিরমিযী মুক্কাদামা ৪২পৃঃ;
(2)তদেব ৬/২৯৩পৃঃ;
(3)ড.অছিউল্লাহ বিন মহাম্মাদ আব্বাস, আত তাক্বলীদ ওয়া হুকমুহু ফী যুইল কিতাব ওয়াস-সুন্নাহ পৃঃ২০;
(4)তদের;
(5)তদেব;
(6)ছালেহ ফুলানী, ইক্বাযু হিমাম পৃঃ৫০;
(7)ইমাম ইবনে হাযম,আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম ৫/১৪৯পৃঃ;
(8)আল-ইহকাম ফী উছূলিল আহকাম ৫/১৪৫পৃঃ;
(9)ইমাম নববী,আল মাজমূ ১/৬৩পৃঃ;
(10)ইবনে আবে হাতীম ৯৩ পৃঃ,সনদ ছহীহ;
(11)তদেব;
(12)ই'লামুল মু'ওয়াক্কিন'ঈন ২/২০৩পৃঃ;
(13)নাসীরুদ্দীন আলবানী, মুক্কাদামাতু ছিমাতি ছালাতিন নাবী(ছাঃ)৪৫-৪৬পৃঃ;
(14)তাফসীরুল কাবীর ৫/৭পৃঃ,'আহলে হাদীস আন্দোলন উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ 'দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ, ১৫৩-১৫৪পৃঃ;
(15)ইমাম ইবনে তায়মিয়্যহ, মাজমুউ ফাতাওয়া ২০/২০
২১০-২২৬ পৃঃ;
(16)ইবনুল কাইয়িম, ই'লামুল মুক্কাওয়া'ঈন ৬/২০৩-২০৫ পৃঃ;
(17)আল-মাছূমী,হাদিয়্যাতুস সুলতান ৫৬পৃঃ;
(18)শায়খ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায,মাজমূ'ফাতাওয়া ৩/৭২ পৃঃ

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আহলে হাদীছ!

                                  আহলে হাদীছ




ইমাম বুখারীর উস্তাদ আলী ইবনু মাদানী(১৬১-২৩৪হিঃ)ঘোষণা করেন

,'মুক্তিপ্রাপ্ত দল হলো আহলে হাদীছ"-এর দল।যারা রসূলের বিধাম সমূহ হেফাযত করেন ও তার ইলম কুরআন হাদীছ পক্ষে প্রতিরোধ করে।নইলে মূ'তাযিলা,রাফেযী(শী'আ),জাহমিয়া ও আহ্লুর রায়দের নিকট থেকে আমরা কিছুই আশা করেতে পারে না।(1)

ইমাম আবূ দাঊদ(২০৪-২৭৫হিঃ)বলেনঃ
"আহলেহাদীছগণ যদি না থাকত, তা'হলে ইসলাম দুনিয়া থেকে মিটে যেত(2)

মুহাদ্দিছ খতীব বাগদাদী(৩৯২-৪৬৩হিঃ)অন্যান্যদের সাথে আহলে হাদীছদের পার্থক্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ
"প্রত্যেক দলই প্রবৃত্তির অনুসরণ করে ও তার দিকে প্রত্যাবর্তন করে অথবা নিজস্ব মতামতকে উত্তম মনে করে এবং তার উপরেই অটল থাকে ;কেবল"আহলেহাদীছগণ"ব্যতীত।কারণ আল কুরআন তাদের হাতিয়ার, সুন্নাহ তাদের দলীল,রাসূল তাদের দলনেতা এবং তার দিকেই তাদের সম্বন্ধ।তারা মনোবৃত্তির উপর বিচরণ করে না এবং রায়ের দিকেও ভ্রক্ষেপ করে না(3)

আব্দুল কাহীর বাগদাদী(মৃঃ৪২৯হি)বলেনঃ

"রুম সীমান্ত, আলজেরিয়া, সিরিয়া, আযারবাইজান,মধ্য তুর্কিস্তান প্রভৃতি এলাকা সকল মুসলিম অধিবাসী "আহলেহাদীছ"মাযহাবের উপরে ছিলেন। তেমনি আফ্রিকা, স্পেন,ও পশ্চিম সাগরের পশ্চাদবর্তী দেশসমূহের সকল অধিবাসী "আহলেহাদীছ" ছিলেন
একইভাবে আবিসিনিয়ার উপকূলবর্তী ইয়ামানের সকল অধিবাসী "আহলেহাদীছ"ছিলেন।তবে তুরস্ক চীন অভিমুখী মধ্য তুর্কিস্তান সীমান্তের অধিবাসীদের মধ্য দুটি দল ছিল:একদল শাফেঈ ও আরেকদল ইমাম আবূ হানীফার অনুসারী"(4)

শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী বলেনঃ
"মুক্তিপ্রাপ্ত দল হলো আহলে হাদীছ"-আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের তাদের সাথে একত্রিত করুন!............. "আহলেহাদীছরাই সেই বিজয়ী কাফেলা এবং নাজাতপ্রাপ্ত ;বরং শ্রেষ্ঠ উম্মত যারা মানবজাতির উপর হবে সাক্ষী স্বরূপ"(5)

Reference...........
(1)শারফু আছহাবিল হাদীছ পৃঃ৫,১৫,৩৩ ও ২৯;
(2)শারফু আছহাবিল হাদীছ পৃঃ৩৩;
(3)শারফু আছহাবিল হাদীছ পৃঃ২৯;
(4)কিতাবু উছুলিদ্দীন ১/৩১৭পৃঃ;
(5)সিলসিলা ছহীহাহ ১/৪৮২পৃঃহা/২৭০-এর আলোচনা দ্রঃ।

রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ঈসা(আ) কে!


অপমান করেছে                             ঈসা(আ) কে! 



খৃস্টানদের মধ্যে প্রচলিত ইঞ্জিল শরীফ ঈসা (আ)-কে অত্যন্ত অবমানাকরভাবে চিত্রিত করেছে। যেমন, তিনি মানুষদেরকে গালি দিতেন (মথি ১৬/২৩, ২৩/১৩-৩৩), অন্য বংশ বা ধর্মের মানুষদের শূকর ও কুকুর বলতেন (মথি ৭/৬; ১৫/২২-২৮, মার্ক ৭/২৫-২৯), পূর্ববর্তী নবীদেরকে চোর-ডাকাত বলতেন (যোহন ১০/৭-৮), নিরপরাধ মানুষদেরকে অভিশাপ দিতেন (মথি ২৩/৩৫-৩৬), অকারণে হত্যা করতেন (মথি ২১/১৮-২১, মার্ক ৫/১০-১৪; ১১/১২-২২), অবিশ্বাসীদেরকে নির্বিচারে ধরে ধরে জবাই করার নির্দেশ দিতেন (লূক ১৯/২৭), মিথ্যা বলতেন (মথি ১৬/২৭-২৮: ১৯/২৮: মার্ক ২/২৫-২৬, ১১/২৩, ১৬/১৭-১৮: লূক ১৮/২৯-৩০, যোহন ৩/১৩), মদ পান করে মাতাল হতেন (লূক ৭/৩৪-৫০, যোহন ১৩/৪-৫), বেশ্যা মেয়েদেরকে তাঁকে স্পর্শ করতে ও চুম্বন করতে দিতেন (লূক ৭/৩৪-৫০, ৮/১-৩, যোহন ১১/১-৫), নিজের মায়ের সাথে ভয়ঙ্কর বেয়াদবি করেছেন, (মথি ১২/৪৬-৫০; মার্ক ৩/৩১-৩৫; লূক ৮/১৯-২১, যোহন ২/৪, ১৯/২৬), তিনি অত্যন্ত ভীত ও কাপরুষ ছিলেন (মথি ২৬/৩৬-৪৬, ২৭/৩৮-৫১; লূক ২২/৪১-৪৬, মার্ক ১৫/২৭-৩৮)। সাধু পল ও তাঁর অনুসারীরা ঈসা (আ)-কে ‘মালউন’ বা অভিশপ্ত বলে দাবি করেছেন। (গালাতীয় ১০-১৩)। (নাঊযু বিল্লাহ!)

শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৮

সূরা বাক্বারাহ'র একটি আয়াত সম্পর্কে কিছু হাদীস!

                               সূরা বাক্বারাহ'র একটি আয়াত সম্পর্কে কিছু হাদীস!




সূরা আল-বাক়ারাহ ২:২২৩
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا۟ حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْۖ وَقَدِّمُوا۟ لِأَنفُسِكُمْۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُم مُّلَٰقُوهُۗ وَبَشِّرِ ٱلْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।
কুরআন অ্যাপ পেতে :https://goo.gl/w6rESk
হাদীস নংঃ১
জাবির(রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,ইহুদীরা বলতো, যদি স্বামী স্ত্রীর পিছন দিক দিয়ে তা সম্মুখভাগে সহবাস করে তাহলে সন্তান ট্যারা হবে।অতঃপর"তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র।তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যবহার করো-(সূরা বাক্বারাহ ২:২২৩)এই আয়াত অবতীর্ণ হয়।রসূলুল্লাহ(সা) তারপর বললেন,সম্মূখ ও পিছন উভয় দিক দিয়ে করা যাবে যদি তা লজ্জাস্থান হয়(1)
হাদীস নংঃ২
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,আনসারী মূর্তি পুজকদের এই গোত্রটি ইয়াহূদী আহলে কিতাবদের এ গোত্রের সাথে বসবাস করত।আর আনসানগণ জ্ঞানের দিক দিয়ে ইয়াহূদীদের অনেক ক্ষেত্রেই অনুসরণ করত।আর আহলে কিতাবদের একটা অভ্যাস ছিল যে, তারা শুধুমাত্র তাদের স্ত্রীদের এক দিক দিয়েই সহবাস করতো,আর স্ত্রীরা তার দ্বারা সবচেয়ে বেশি আবৃত হতো।সুতরাং আনসারদের এই গোত্রটি ইয়াহূদীদের ঐ কাজটি গ্রহণ করেছিল।আর কুরাইশদের এই গোত্র তাদের মহিলাদের নিকৃষ্টভাবে খোলাখুলি করতো,এবং তাদের সস্মুখ দিয়ে, পিছন দিয়ে,চীৎ করে উপভোগ করতো।অতঃপর মহাজিরগণ যখন মদীনায় আগমন করলেন,তখন একজন কুরাইশী ব্যাক্তি আনসারী এক মহিলাকে বিবাহ করলেন।সে তার স্ত্রীর কাছে তাদের নিয়মে কাজ করলেন।কিন্তু মহিলা খারাপ মনে করলেন,এবং বললেন আমাদেরকে শুধুমাত্র একদিক দিয়েই সহবাস করা হয়।সুতরাং তুমি তাই কর নতুবা আমার থেকে দূরে থাক।এমন কি তার ব্যাপারটি বিকট আকার ধারণ করল,শেষ পর্যন্ত আল্লাহ রসূল(সা)-এর নিকট সংবাদ পৌঁছাল।অতঃপর আল্লাহ এই আয়াত টি নাযিল করলেন" তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র।তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যবহার করো"-(সূরা বাক্বারাহ ২:২২৩)অর্থাৎ সম্মুখ করে, পিছন করে, চীৎ করে।মূল উদ্দেশ্য তার দ্বারা সন্তান হওয়ার স্থান যেন হয়(2)
হাদীস নংঃ৩
উম্মু সালামাহ (রা) বর্ণিত।তিনি বলেন,মুহাজিরগণ যখন মদীনায় আনসারদের নিকট আগমন করলেন তখন তাদের মহিলাদের বিবাহ করলেন।আর মুহাজির মহিলারা চীৎ হতো, কিন্তু আনসারী মহিলারা চীৎ হতো না। একদা এক মহাজির ব্যক্তি তার আনসারী স্ত্রীকে এরূপ ইচ্ছা করল,কিন্তু সে আল্লাহ ও রসূল কে জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত তা করতে অস্বীকৃতি জানাল,রাবী বলেন সেই মহিলা  রসূল(সা)-এর নিকট আসল, কিন্তু জিজ্ঞাসা করতে লজ্জাবোধ করল। তাই উম্মু সালামাহ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন অতঃপর "
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র।তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যবহার করো"-(সূরা বাক্বারাহ ২:২২৩)আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। তিনি বললেন না, শুধুমাত্র এক রাস্তায় সহবাস করা যাবে(3)
Reference...........
(1)বুখারী ৮/১৫, মুসলিম ৪/১৫৬, নাসাঈ৭৬/১-২, ইবনু আবী হাতিম ৩৩৯/১, মাহমুদিয়া ৮/৭৯/১,
জুরজানী ২৯৩/৪৪০, বাইহাকী ৭/১৯৫,
ইবনু আসাকির ৮/৯২/২ ও ওয়াহিদী ৫৩,
আর ওয়াহিদী বলেন-শাইখ আবূ হামিদ বিন শারকী বলেন,এটা এমন মহীয়ান হাদীস যা একশ হাদীসের সমতুল্য।
(2)আবূ দাউদ ১/১৩৭, হাকিম ২/১৯৫/২৭৯,
বাইহাকী ৭/১৯৫, ওয়াহিদের আসবাব ৫২,
ইমাম খাত্তাবীর গরীবুল হাদীস ৭৩/২, তার সনদ হাসান।ইমাম হাকিম মুসলিমের শর্তানুযায়ী তাকে সহীহ বলেছেন।আর ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থ দান করেন।ত্বাবারানী নিকট (৩/১৮৫পৃঃ)সংক্ষিত অপর একটি সূত্র রয়েছে।আরো দেখুনঃআদাবুয যিফাফ১/৩২পৃঃশাইখ আলবানী(রঃ)।

(3)মুসনাদে আহমদ (৬/৩০৫/৩০২-৩১৮পৃঃ)।তিরমিযী ৩/৭৫পৃঃ, ও তিনি তাকে সহীহ বলেছেন এবং
আবূ ইয়ালা ৩২৯/১পৃঃইবনু আবী হাতিম তার তাফসীরে মুহাম্মাদীয়া ৩৯/১পৃঃও ইমাম বাইহাকী ৭/১৯৫পৃঃ বর্ণনা করেছেন।
আর তার সানাদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। আদাবুয যিফাফ ১/৩৩পৃঃ শাইখ আলবানী (র)।

বিজ্ঞান কি সৃষ্টিকর্তাকে ব্যাখ্যা করতে পারে?

                        বিজ্ঞান কি সৃষ্টিকর্তাকে ব্যাখ্যা করতে পারে?

না তা পারে না
ডার্ক এনার্জির ধারণা আবিষ্কারের জন্য ২০১১ সালে নোবেল পুরস্কার  পাওয়া টিমের একজন, প্রফেসর অ্যালেক্সে ফিলিপ্পেনকো এক সাক্ষাতকারে বলেন,
“… আমি মহাবিশ্বকে একজন বিজ্ঞানীর দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করতে চাই … কোন অতিমানবিক বা স্বকীয় স্রষ্টা আছেন কিনা বা এই মহাবিশ্বের কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা সে বিষয়ে আমি কিছু বলব না – এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বিজ্ঞানীরা দিতে পারে না…।” (1)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের National Academy of sciences এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছেঃ
"প্রাকৃতিক মহাবিশ্বকে জানার জন্য বিজ্ঞান ব্যবহার করা  হয়।প্রাকৃতিক কারণে আলোকে প্রাকৃতিক মহাবিশ্ব ব্যাখ্যা করা পর্যন্তই বিজ্ঞানের সীমারেখা।অতিপ্রাকৃত ব্যাপার নিয়ে বিজ্ঞানের বলার কিছু নেই।সুতরাং ঈশ্বর আছে কি নেই, এমন প্রশ্ন করা বিজ্ঞানে অবান্তর,যতক্ষণ পর্যন্ত  বিজ্ঞান তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখে।"(2)
ধর্মবেত্তা ডেভিড মার্শাল বলেন:
"এই নব্য নাস্তিকরা বাস্তবতার বিভিন্ন দিক একেবারেই বুঝতে পারে না।প্রথমত, বোকা নাস্তিকদের বিজ্ঞানের সীমারেখা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই।দ্বিতীয়ত,তাদের তত্ত্বগুলো অসং্খ্যা বাস্তবতাকে সরাসরি উপেক্ষা করে।
তৃতীয়ত,গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেসা করা থেকে তারা সবসময় নিজেদের বিরত রাখে।চতুর্থত, তাদের তত্ত্বকে ভরাডুমির হাত থেকে বাঁচাতে তারা চমৎকার এক ছলনার আশ্রয় নেয়।সেই ছলনা হলো-"মনে করি"(3)
জন হুট বলেনঃ
"বিবর্তন মানুষের অনুভব করার ক্ষমতাকে ব্যাখ্যা করতে পারে না।আমাদের বিভিন্ন বিষয় অনুভবের ক্ষমতা দেখলে বোঝা যায় বিবর্তন ছাড়াও অন্য এক শক্তি আমাদের উপর কাজ করছে, যার ফলে আমরা চিন্তা করতে পারে যার ফলে আমাদের মন অন্য সবার থেকে আলাদা"(4)

Reference...........
(1)Scientists only understand 4% of universe’ Retrieved from: https://www.rt.com/news/universe-physics-laws-energy-329
(2)National Academy of sciences,Teaching about Evolotion and the nature of science (Washington, DC:National Academy of sciences,1998)page:58
http://www.nap.edu/catalog/5787.html
(3)David Marshal, The truth brhind the new Atheism, Eugene,Or:Harvest House,2007
অবিশ্বাসের দর্শন পৃঃ৪০
(4)John F.Haught,God and the new Atheism, Westminster John Knox press,2007 P.46

রায়হান আবীর ও অভিজিৎ রায়ের মিথ্যাচার?

রায়হান আবীর ও অভিজিৎ রায়ের মিথ্যাচার?




















 তাদের দু'জনের লিখিত বইয়ের মধ্যে এই কথা গুলো লেখা আছেঃ "জীববিজ্ঞানের মতো বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার গবেষণা থেকে এটি স্পষ্ট বোঝা গেছে। গাছ থেকে আপেল পড়ার মতোই বিবর্তন বাস্তব -এ নিয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই"(1) আসুন আমরা দেখে তাদের দাবির সত্যতা: ডারউইনের বিবর্তনবাদ ডারউইনের বিবর্তনবাদ অনুসারে একজন আদি পিতা ও মাতা—যারা ঠিক আজকের মানুষের মতো মানুষ ছিলেন না—বিশেষ কোনো জেনেটিক মিউটেশনের কারণে তারা প্রথম একজন আধুনিক মানব শিশুর জন্ম দেন। এটি দৈব চক্রে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা মাত্র: এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য নেই, কোনো সৃষ্টিকর্তার হাত নেই। প্রকৃতির হাজার খেলার মধ্যে এটি ছিল একটি খেলা। এই একই প্রক্রিয়ায় পৃথিবীতে সকল প্রাণের উদ্ভব হয়েছে। বিবর্তনবাদ অনুসারে প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে দৈব চক্রে। কোনো কারণে ৩.৬ বিলিয়ন বছর আগের আদি পৃথিবীতে, কোনো এক জায়গার কাদা মাটিতে কিছু অজৈব পদার্থ কাকতালীয়ভাবে একসাথে মিশে প্রথম অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি করে। এরকম অনেকগুলো অ্যামাইনো অ্যাসিড কোনো কাকতালীয় কারণে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে একসাথে হয়ে প্রোটিন তৈরি হয়। তারপর কয়েকটি বিশেষ প্রোটিন কোনো কাকতালীয় কারণে একসাথে হয়ে ডিএনএ তৈরি হয় এবং তারপর সেখান থেকে আরও বিরাট কোনো কাকতালীয় কারণে প্রথম এককোষী প্রাণীর সৃষ্টি হয়। সেই এককোষী প্রাণীরা বহু বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে একসময় কোনো কারণে বহুকোষী প্রাণীতে পরিণত হয়। তার বহু বছর পরে সেই বহুকোষী প্রাণীরা বিবর্তিত হয়ে আরও জটিল জলচর প্রাণীতে পরিণত হয়। তারপর সেই জলচর প্রাণীগুলো একসময় হাত-পা গজিয়ে ডাঙায় উঠে এসে নানা ধরনের স্থলচর প্রাণীতে পরিণত হয়। এরপর সেই স্থলচর প্রাণীগুলো কোটি কোটি বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে একসময় গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগির মতো প্রাণীতে পরিণত হয়। এবং সবশেষে একই প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে বানরররূপী আদিমানব থেকে উদ্ভব হয়েছে আধুনিক মানুষের। এখানে লক্ষ্য করুন এই গোটা প্রক্রিয়ায় কতগুলো কাকতালীয় ব্যাপার রয়েছে। এই প্রতিটি কাকতালীয় ঘটনা ঘটার সম্ভাব্যতা হচ্ছে কমপক্ষে কোটি কোটি কোটি সম্ভাবনার মধ্যে একটি। যেমন ৩০০ অণু দিয়ে গঠিত একটি প্রোটিন তৈরি হবার সম্ভাবনা হচ্ছে ১০৩৯০ এর মধ্যে একটি। ১০ এর পরে ৩৯০টি শূন্য দিলে যে বিরাট সংখ্যা হয় ততগুলো সম্ভাবনার মধ্যে একটি। যার অর্থ হচ্ছে— এটা গাণিতিক ভাবে দেখলে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিবর্তনবাদ কি আসলেই কোনো প্রমাণিত বিজ্ঞান? বিবর্তনবাদ যদি সত্যি হতো তাহলে— ১) আমরা এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে বিবর্তিত হওয়ার সময়, তার মাঝামাঝি অবস্থার অনেক নিদর্শন প্রকৃতিতে দেখতে পারতাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা যে লক্ষ লক্ষ ফসিল পেয়েছি, তার কোথাও কোনোদিনও এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে বিবর্তিত হওয়ার সময় মাঝামাঝি অবস্থার কোনো প্রাণী দেখা যায়নি।[1] যেমন এখনও পর্যন্ত এমন কোনো বানর বা গরিলার ফসিল পাওয়া যায়নি—যেটার মাথা ছিল মানুষের মতো, বা যেটার গায়ের লোম মানুষের মতো একদম ছোট, বা যেটার হাত মানুষের হাতের মতো—যেগুলো দেখে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, গরিলা বা বানর থেকে ধীরে ধীরে বিবর্তন হয়ে মানুষ এসেছে। ২) প্রাণীদের মধ্যে সূক্ষ্ম বিবর্তনের (Microevolution) নিদর্শন মিললেও বড় ধরনের বিবর্তনের কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি, যেখানে এক প্রজাতির প্রাণী বিবর্তিত হয়ে আরেক প্রজাতির প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। Macroevolution-এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। বিজ্ঞানিরা গবেষণাগারে মাছির বিবর্তন করার চেষ্টা করেছিলেন। অনেক চেষ্টার পরে দেখা গেল তিন ধরনের মাছি তৈরি হলো—১) আগে যেরকম ছিল সেরকমই, ২) মিউটেটেড বা বিকৃত, অথবা ৩) মৃত।[2] ২০১০ সালে একটি গবেষণায় মাছির ৬০০ প্রজন্ম পরীক্ষা করেও কোনো বিবর্তনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।[3] একইভাবে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার ৪০,০০০ প্রজন্মের উপর বিবর্তনের চেষ্টা করেও বিবর্তনবাদের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।[4] সুতরাং অতীতেও বিবর্তন হয়ে একটি প্রজাতির প্রাণী অন্য প্রজাতির প্রাণীতে রূপান্তরের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, বর্তমানেও না। ৩) বিবর্তনবাদ দাবি করে যে, জেনেটিক মিউটেশনের মাধ্যমে প্রাণীদের মধ্যে বিবর্তন হয়ে উন্নততর এবং বেশি টেকসই প্রাণীর সৃষ্টি হয় এবং এইভাবেই আদি-মানুষ থেকে আধুনিক মানুষ এসেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় উলটো প্রমাণ পাওয়া গেছে। উদ্ভিদ এবং মানুষ উভয়েরই উপর গবেষণায় দেখা গেছে বেশিরভাগ মিউটেশনের ফলে দেহে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয় না। কিন্তু খারাপ মিউটেশন হয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে এবং এগুলো কোষের বংশপরম্পরায় টিকে থাকে। একে বলা হয় জেনেটিক এনট্রপি। প্রত্যেক মানুষ তার নিজের মিউটেশন এবং তার পূর্ব পুরুষদের মিউটেশন বহন করে এবং তারপর তার বংশধরের মধ্যে দিয়ে দেয়।[6] সাম্প্রতিক কালে হিউমেন জিনোম গবেষণার উন্নতির ফলে বিজ্ঞানীরা ২১৯ জন মানুষ এবং ৭৮ জন বাবা-মা এবং তাদের সন্তানদের মধ্যে গবেষণা করে দেখেছেন, প্রতি বংশ পরম্পরায় ৬০টি নতুন মিউটেশন যোগ হয়![8] বিবর্তনবাদীরা দাবি করে: ২.৪ মিলিয়ন বছর আগে, এক বানর/গরিলার কাছাকাছি দেখতে আদি মানুষ থেকে আধুনিক মানুষের উদ্ভব হয়েছে। যার অর্থ দাঁড়ায় এই পর্যন্ত মানুষের প্রায় ১২০,০০০ প্রজন্ম এসেছে। এখন প্রতি প্রজন্ম যদি ৬০টি মিউটেশন যোগ করে, তাহলে ১২০,০০০ প্রজন্মে আজকে মানুষের মধ্যে ৭,২০০,০০০ মিউটেশন থাকার কথা। এতো মিউটেশন হলে মানুষ আর মানুষ থাকত না, এবং অনেক আগেই মানব জাতি পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত। ৪) এক প্রজাতির প্রাণীর থেকে অন্য প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে ধাপে ধাপে বিবর্তন কখনও সম্ভব নয়। যেমন, সরীসৃপের দ্বিমুখী ফুসফুস কখনই পাখির একমুখী ফুসফুসে বিবর্তিত হতে পারে না। সেটা হতে হলে বিবর্তন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরীসৃপকে শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দিতে হবে—যেটা কেবল হাস্যকরই নয় বরং অযৌক্তিক। সুতরাং বিবর্তনবাদীরা যে-দাবি করে সরীসৃপ থেকে পাখির বিবর্তন হয়েছে, সেটা ভুল।[7] একইভাবে উভচর প্রাণীর তিন-কক্ষ-বিশিষ্ট হৃদপিণ্ড থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর চার-কক্ষ-বিশিষ্ট হৃদপিণ্ডের বিবর্তন হওয়া কখনও সম্ভব নয়, কারণ সেটা হতে হলে প্রথমে উভচর প্রাণীর হৃদপিণ্ডের মধ্যে নতুন দেওয়াল সৃষ্টি হতে হবে, যা রক্ত চলাচল ব্যহত করবে, না হয় নতুন রক্তনালীর সৃষ্টি হতে হবে, যা রক্ত চলাচলকে ব্যহত করবে। এরকম অনেক প্রমাণ রয়েছে যা থেকে সহজেই দেখানো যায় যে, এক প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে ধীরে ধীরে বিবর্তন হয়ে অন্য প্রজাতির প্রাণী সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়। কারণ বিবর্তনের সময় মাঝামাঝি যেই অবস্থাগুলো হতে হবে, সেগুলো প্রাণীর জন্য কোনোভাবেই কল্যাণকর নয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এইধরনের অর্ধেক বিবর্তন সেই প্রাণীর জন্য মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং বিবর্তনবাদ শুধুই একটি থিওরি। এর পক্ষে কোনো গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক প্রমাণ নেই। প্রকৃতিতে কী ধরনের বিবর্তন হয়? একটি ব্যাপার পরিষ্কার করা দরকার: Microevolution বা সূক্ষ্ম-বিবর্তন অবশ্যই প্রকৃতিতে হয়। এবং সেটা হয় একই প্রজাতির মধ্যে, অল্প কিছু জেনেটিক পরিবর্তন থেকে। আর এভাবেই একসময় উপ-প্রজাতির সৃষ্টি হয়।[9] কিন্তু এই সূক্ষ্ম বিবর্তন হতে হতে একসময় Macroevolution বা স্থুল-বিবর্তন হয়ে এক প্রজাতির প্রাণী সম্পূর্ণ অন্য প্রজাতির প্রাণীতে পরিণত হয় না—যেটা বিবর্তনবাদীরা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এটা নিয়ে বিবর্তনবাদীদের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে।[10] কাজেই বলা যায়, বানরের মধ্যে সূক্ষ্ম বিবর্তন হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বানর তৈরি হয়, কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত বানরই থাকে; মানুষ হয়ে যায় না। বিবর্তনের টেক্সট বইগুলোতে বিবর্তনবাদের পক্ষে যে সব উদাহরণ দেখানো হয়— যেমন ডারউইনের পাখির ঠোটের ‘বিবর্তন’, ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার ‘বিবর্তন’ হয়ে এন্টিবায়োটিকের প্রতি রেজিস্টেন্স, এইচআইভি ভাইরাসের ‘বিবর্তন’—এগুলো সবই হয় একই প্রজাতির মধ্যে। পাখি বিবর্তনের পরে পাখিই থাকে, ব্যাকটেরিয়া শেষ পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়াই থাকে।[11] অতএব তাদের দাবি মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। " হে বিবর্তনবাদীরা: আপনারা যারা এই আর্টিকেল পড়ে কমেন্ট করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে যাচ্ছেন, অনুগ্রহ করে আপনার এবং আমার সময় নষ্ট করবেন না। আপনার যা বলার উপরের এই রেফারেন্সগুলোর লেখকদেরকে বলুন"




 Reference..............

 [1] Appendix in Morris, J. and F. Sherwin. 2009. The Fossil Record. Dallas, TX: Institute for Creation Research.

[2] Nüsslein-Volhard, C. and E. Wieschaus. 1980. Mutations affecting segment number and polarity in Drosophila. Nature. 287 (5785): 795-801.

[3] Burke, M. K. et al. 2010. Genome-wide analysis of a long-term evolution experiment with Drosophila. Nature. 467 (7315): 587-590.

[4] Barrick, J. E. et al. 2009. Genome evolution and adaptation in a long-term experiment with Escherichia coli. Nature. 461 (7268): 1243- 1247.

 [5] Some bacteria began to access citrate for food. However, the new function probably resulted from loss-of-information mutations. See Behe, M. J. 2010. Experimental Evolution, Loss-of-Function Mutations and “The First Rule of Adaptive Evolution.” The Quarterly Review of Biology. 85 (4): 419-445.

[6] Sanford, J. 2008. Genetic Entropy & the Mystery of the Genome. Waterloo, NY: FMS Publications.

[7] Thomas, B. Do New Dinosaur Finger Bones Solve a Bird Wing Problem? ICR News. Posted on icr.org July 9, 2009, accessed March 9, 2012.

[8] Kong, A. et al. 2012. Rate of de novo mutations and the importance of father’s age to disease risk. Nature. 488 (7412): 471-475.

 [9]  Leonard, B. Critical Analysis of Evolution — Grade 10. Draft Reflecting Changes Made at March 2004 State Board of Education Meeting, page 314. Ohio Department of Education. Available online at www.texscience.org.

 [10] Allaby, M. (ed.) 1992. The Concise Oxford Dictionary of Zoology. New York: Oxford University Press.


[11] http://www.icr.org/article/7165/

বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৮

"তাওহীদ পাবললিকন্স"এর তথ্য বিভ্রান্তি?

"তাওহীদ পাবললিকন্স"এর তথ্য বিভ্রান্তি?
বিভ্রান্তিঃ১
আমি খুবই আর্শ্চয হয়েছে যখন দেখেছে "তাওহীদ পাবলিকেন্স" এর বুখারীতে নিজেদের পক্ষে সাফায় গাইতে গেয়ে তারা সাহবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রা)নামে এক চরম তথ্য বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে।নিচে দেওয়া হলোঃ
"সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রা) মুয়াব্বিযাতাইন- সূরাহ্ নাস ও ফালাক সূরাহ্দ্বয় কুরআনের অংশ নয় মনে করতেন"(19)উল্লেখ একই কথা বলা আছে আবূ দাঊদ গ্রন্থের অনুবাদে,টীকা সংযোজন করেছে আহসানুল্লাহ বিন সানাউল্লাহ(20)
এখানে এই বিষয়য় আলোচনা করা হলোঃ
মুয়াওয়িযাতাইন(সুরা ফালাক ও নাস) এর ব্যাপারে ইবন মাসউদ(রা) এর অবস্থানঃ
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) যে সুরা ফালাক ও সুরা নাসকে কুরআনের অংশ বলে বিশ্বাস করতেন—এই কথার পেছনে বেশ কিছু শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে।
১।স্বয়ং ইবন মাসউদ(রা) থেকে মুয়াওয়িযাতাইন এর বিবরণঃ
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) থেকে সুরা ফালাক ও সুরা নাস এর মর্যাদার বর্ণণা পাওয়া যায়।
عن ابن مسعود قال: استكثروا من السورتين يبلغكم الله بهما في الآخرة المعوذتين
ইবন মাসউদ(রা) থেকে বর্ণিতঃ “দুইটি সুরা বেশি করে পড়ো, আল্লাহ এর জন্য আখিরাতে তোমাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন।আর তারা হচ্ছেঃ আল মুয়াওয়িযাতাইন(সুরা ফালাক ও সুরা নাস)।” [৪]
এটা কী করে সম্ভব হতে পারে যে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) সুরা ফালাক ও সুরা নাসের মর্যাদা বর্ণণা করবেন, অথচ এই সুরাদ্বয়কে কুরআনের অংশ বলে মনে করবেন না তথা এদের অস্তিত্ব অস্বীকার করবেন? সুবহানাল্লাহ; ইসলামবিরোধীদের অভিযোগের অসারতা এই রেওয়ায়েতের দ্বারা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠছে।
২। ইবন মাসউদ(রা) থেকে বর্ণিত সকল কিরাতে মুয়াওয়িযাতাইন এর উপস্থিতিঃ
প্রাচীন যুগ থেকেই কুরআন সংরক্ষণের প্রধানতম মাধ্যম ছিল হাফিজগণের স্মৃতি। আল্লাহ তা’আলা প্রিয় নবী (ﷺ)কে বলেনঃ
وأنزلت عليك كتابا لا يغسله الماء
“আমি তোমার উপর কিতাব নাজিল করেছি যা পানি দ্বারা ধুয়ে যাওয়া সম্ভব নয়” [৫]
{{ পানি দ্বারা সেই জিনিস ধুয়ে যাওয়া সম্ভব যা কাগজের উপর কালি দ্বারা লেখা হয়। যা স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকে, তার পক্ষে ধুয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।}}
মুসলিম কিরাত বিশেষজ্ঞগণ সবসময়েই কুরআনকে অবিচ্ছিন্ন বর্ণণাক্রম দ্বারা হিফাজত করেছেন যা স্বয়ং রাসুল(ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছেছে।মুতাওয়াতির কিরাতগুলো কুরআনের সংরক্ষিত থাকবার একটি বড় প্রমাণ।
সকল মুতাওয়াতির কিরাতের মধ্যেই সুরা ফালাক ও সুরা নাস বিদ্যমান(এবং অবশ্যই সুরা ফাতিহাও সেগুলোতে রয়েছে।)।এই কিরাতগুলোর মধ্যে চারটি কিরাত রয়েছে, যেগুলোর বর্ণণাক্রম আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) থেকে রাসুল(ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছেছে।
নিম্নে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) থেকে বর্ণণাকৃত কিরাতগুলোর ব্যাপারে সংক্ষিপ্তভাবে আলোকপাত করা হল।
ক) আসিম এর কিরাতঃ এর বর্ণণাক্রম যির থেকে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) থেকে মুহাম্মাদ(ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত আসিম(মৃত্যু ১২৮ হিজরী) এবং যির(মৃত্যু ৮৩ হিজরী) মুসনাদ আহমাদ এর বর্ণণাকারীদের অন্তর্ভুক্ত।এই বর্ণণাকারীগণ থেকে এমন বিবরণ পাওয়া যায় যাতে বলা হয়েছে যে ইবন মাসউদ(রা) তাঁর মুসহাফে সুইটি সুরা(ফালাক ও নাস) উল্লেখ করেননি। অথচ তাঁদের থেকেই আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) এর সূত্রে যে কিরাত বর্ণিত হয়েছে, তাতে সুরা ফালাক ও সুরা নাস বিদ্যমান, আলহামদুলিল্লাহ।অতএব স্বয়ং বর্ণণাকারীগণ থেকে প্রমাণিত হল যে, মুসহাফে উল্লেখ না করলেও আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) এই সুরাদ্বয়কে কুরআনের অংশ হিসাবে তিলাওয়াত করতেন। [৬]
খ) হামজা এর কিরাতঃ এর বর্ণণাক্রম আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা)এর সূত্রে নবী মুহাম্মাদ(ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছেছে। [৭]
গ)আল কিসাই এর কিরাতঃ এর বর্ণণাক্রমও আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) থেকে মুহাম্মাদ(ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছেছে। [৮]
ঘ) খালাফ এর কিরাতঃ এর বর্ণণাক্রমও আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) থেকে মুহাম্মাদ(ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছেছে। [৯]
এই মুতাওয়াতির কিরাতগুলোর বর্ণাক্রমের মধ্যে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) রয়েছেন এবং কিরাতগুলোর প্রত্যেকটিতে সুরা ফাতিহা, সুরা ফালাক ও সুরা নাস রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।এর ফলে সামান্যতম সন্দেহেরও আর অবকাশ রইলো না যেঃ সাহাবী আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) সুরা ফাতিহা, সুরা ফালাক ও সুরা নাসকে আল কুরআনের অংশ হিসাবে তিলাওয়াত করতেন।
কিছু বিপরীত বর্ণণা সম্পর্কে আলোচনাঃ
এবার আমরা কিছু রেওয়ায়েতের পর্যালোচনা করব যেগুলো ব্যবহার করে ইসলামবিরোধিরা অপপ্রচার চালায়।
বর্ণণা ১:
আবদাহ এবং আসিম যির থেকে বর্ণণা করেছেন, তিনি বলেনঃ
قلت لأبي: إن أخاك يحكهما من المصحف، قيل لسفيان: ابن مسعود؟ فلم ينكر
“আমি উবাই(রা)কে বলেছি, “আপনার ভাই ইবন মাসউদ(রা) সেগুলোকে(সুরা ফালাক ও নাস) তাঁর মুসহাফ থেকে মুছে ফেলেছেন”, এবং তিনি এতে কোন আপত্তি করলেন না।” [১০]
বিভ্রান্তি অপনোদনঃ
আমরা এই বর্ণণাটিতে দেখছি যে, ইবন মাসউদ(রা) সুরাগুলো মুছে ফেলেছেন শুনেও কুরআনের আলিম সাহাবী উবাই বিন কা’ব(রা) কোন আপত্তি বা প্রতিবাদ করছেন না।অথচ ইসলামের একটি সুপ্রতিষ্ঠিত আকিদা হচ্ছেঃ কেউ যদি কুরআনের একটি আয়াতও অস্বীকার করে, তাহলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় এবং কাফির হিসাবে পরিগণিত হয়।অতএব ইবন মাসউদ(রা) যদি আসলেই সুরাদ্বয়কে কুরআনের অংশ হিসাবে মানতে অস্বীকার করতেন, তাহলে উবাই(রা) অবশ্যই কোন না কোন প্রতিক্রিয়া দেখাতেন। অথচ তিনি তেমন কিছুই করেননি।এ থেকে সুপষ্টভাবে প্রতিভাত হচ্ছে যেঃ উবাই(রা) এটা বুঝতে পেরেছিলেন যে ইবন মাসউদ(রা) উক্ত সুরাদ্বয়কে কুরআনের অংশ হিসাবে মানতে অস্বীকার করছেন না। শুধুমাত্র নিজ মুসহাফে উল্লেখ করেননিমাত্র।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছেঃ যে আসিম ও যির এই রেওয়ায়েতের বর্ণণাকারী, তাঁরা স্বয়ং আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) এর সূত্রে বর্ণিত কিরাত থেকে সুরা ফালাক ও সুরা নাস পাঠ করেছেন।
বর্ণণা ২:
عن عبد الرحمن بن يزيد، قال: كان عبد الله، ” يحك المعوذتين من مصاحفه، ويقول: إنهما ليستا من كتاب الله “
আব্দুর রহমান বিন ইয়াজিদ বর্ণণা করেছেনঃ ইবন মাসউদ(রা) মুয়াওয়িযাতাইন(সুরা ফালাক ও সুরা নাস)কে তাঁর মুসহাফ থেকে মুছে ফেলেছেন এবং বলেছেন এগুলো কুরআনের অংশ নয়। [১১]
একই বিবরণ ইমাম তাবারানী(র) এর মু’জামুল কাবিরেও এসেছে। [১২]
বিভ্রান্তি অপনোদনঃ
এই বর্ণণাটি সত্য হতে পারে না কেননা এটি একটি শাজ বা বিচ্ছিন্ন বর্ণনা যা শুধুমাত্র আব্দুর রহমান বিন ইয়াজিদ বর্ণণা করেছেন।হাদিস শাস্ত্রে মুতাওয়াতিরের বিপরীতে বিচ্ছিন্ন বর্ণণা দ্বারা কোন বিষয় প্রমাণিত হয় না।এমনকি ঐ বর্ণণার সনদ সহীহ হলেও।এক্ষেত্রে একে মু’আল্লাল বা ত্রুটিপূর্ণ বর্ণণা বলে। [১৩]
বিপরীত বর্ণণাগুলো সম্পর্কে উলামাগণের অভিমতঃ
ইমাম নববী(র) বলেনঃ
أجمع المسلمون على أن المعوذتين والفاتحة من القرآن وأن من جحد منها شيئا كفر وما نقل عن ابن مسعود باطل ليس بصحيح.
“এ ব্যাপারে মুসলিমগণের ইজমা রয়েছে যে মুয়াওয়িযাতাইন ও সুরা ফাতিহা কুরআনের অংশ এবং যে তা অস্বীকার করে সে কাফির হয়ে যায়।আর এ ব্যাপারে ইবন মাসউদ(রা) থেকে যা বর্ণিত আছে তা মিথ্যা এবং সহীহ নয়।”
[১৪]
আবু হাফস ইবন আদিল আল হাম্বালী(র) লিখেছেনঃ
هذا المذهب عن ابن مسعود نقل كاذب باطل
“ইবন মাসউদ(রা) এর থেকে বর্ণিত এই অভিমতটি মিথ্যা ও বানোয়াট।” [১৫]
আল খিফাজী(র) বলেনঃ
وما نقل عن ابن مسعود رضي الله عنه من أنّ الفاتحة والمعوّذتين ليست من القرآن لا أصل له
“আর, ইবন মাসউদ(রা) থেকে সুরা ফাতিহা ও মুয়াওয়িযাতাইন কুরআনের অংশ নয় মর্মে যা বর্ণিত হয়েছে তার কোন ভিত্তি নেই।” [১৬]
এছাড়া ইমাম ইবন হাজম(র) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। [১৭]
ইমাম সুয়ুতি(র) আবু বকর আল বাকিলানী(র) থেকে উদ্ধৃত করেছেনঃ
لم يصح عنه أنها ليست من القرآن ولا حفظ عنه. إنما حكها وأسقطها من مصحفه إنكارا لكتابتها لا جحدا لكونها قرآنا لأنه كانت السنة عنده ألا يكتب في المصحف إلا ما أمر النبي صلى الله عليه وسلم بإثباته فيه ولم يجده كتب ذلك ولا سمعه أمر به.
“এটি মোটেও তাঁর{ইবন মাসউদ(রা)} থেকে প্রমাণিত নয় যে এই সুরাদ্বয় কুরআনের অংশ নয়।কুরআনের অংশ হিসাবে অস্বীকার করে তিনি এই সুরাদ্বয়কে তাঁর মুসহাফ থেকে মোছেননি বা বাদ দেননি।তাঁর নিকট বিষয়টি এরূপ ছিল যে, তিনি নবী(ﷺ) এর নির্দেশ ব্যতিত কিছুই মুসহাফে লিখতেন না।এবং তিনি এ ব্যাপারে কিছু লিখিত পাননি বা এ ব্যাপারে কোন নির্দেশ শোনেননি। ” [১৮]
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা ও দলিল-প্রমাণ দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হল যেঃ সাহাবী আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ(রা) এর বিরুদ্ধে ৩টি সুরাকে(ফাতিহা, ফালাক ও নাস) কুরআনের অংশ হিসাবে না মানার যে অভিযোগ তোলা হয় তা থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত এবং এই সম্মানিত সাহাবী অন্য সকল মুসলিমের ন্যায় একই কুরআন পাঠ করতেন।সেই সাথে উসমান(রা) কর্তৃক সংকলিত কুরআনের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষীদের অভিযোগও মিথ্যা প্রমাণিত হল।
এবং আল্লাহ ভালো জানেন।
বিভ্রান্তিঃ২
" ফির‘আউনের মরদেহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আজ আমি তোমার দেহটি রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক’’- (সূরা হূদ ১১/৯২)। কয়েক বছর পূর্বে ফির‘আউনের দেহ সুউচ্চ পিরামিড থেকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তা কায়রোর যাদুঘরে রক্ষিত আছে"(21)
এখানে সব কিছুই ঠিক আছে কিন্তু রেফারেন্স ভুল দেওয়া হয়েছে সঠিক হবে সূরা ইউনুস ১০:৯২।
বিভ্রান্তিঃ৩
"আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একইভাবে বর্ণিত আছে। অর্থাৎ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাঈল যদি না হত তবে গোশত দুর্গন্ধময় হতো না। আর যদি হাওয়া (আঃ) না হতেন তাহলে কোন নারীই স্বামীর খিয়ানত করত না।(22)

এই হাদীসের টীকায় লেখা আছেঃ* বনী ইসরাঈল আল্লাহ তা’আলার নিকট থেকে সালওয়া নামক পাখীর গোশত খাওয়ার জন্য অবারিতভাবে পেত। ‎তা সত্ত্বেও তা জমা করে রাখার ফলে গোশত পচনের সূচনা হয়। আর মাতা হাওয়া নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণে আদম ‎‎(‘আঃ)-কে প্রভাবিত করেন(23)
এখানে সবকিছুই বোধ হয় ঠিক আছে কিন্তু এখানে বলা হয়েছে"মাতা হাওয়া নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণে আদম ‎‎(‘আঃ)-কে প্রভাবিত করেন" এই কথাটা আমি মানতে পারছে না কারণ পবিত্র কুরআনের বা হাদীসের কোথাও এই কথা নেই।এই সম্পর্কে কুরআনের আয়ার নিম্নরূপ উল্লেখ এখানে কোথাও বলা হয়নি " আর মাতা হাওয়া নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণে আদম ‎‎(‘আঃ)-কে প্রভাবিত করেন"
আয়াত নিম্নরূপঃ
1.
وَقُلْنَا يَٰٓـَٔادَمُ ٱسْكُنْ أَنتَ وَزَوْجُكَ ٱلْجَنَّةَ وَكُلَا مِنْهَا رَغَدًا حَيْثُ شِئْتُمَا وَلَا تَقْرَبَا هَٰذِهِ ٱلشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ
এবং আমি আদমকে হুকুম করলাম যে, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং ওখানে যা চাও, যেখান থেকে চাও, পরিতৃপ্তিসহ খেতে থাক, কিন্তু এ গাছের নিকটবর্তী হয়ো না। অন্যথায় তোমরা যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়বে(24)
2.
فَأَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْءَٰتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِن وَرَقِ ٱلْجَنَّةِۚ وَعَصَىٰٓ ءَادَمُ رَبَّهُۥ فَغَوَىٰ
অতঃপর তারা উভয়েই এর ফল ভক্ষণ করল, তখন তাদের সামনে তাদের লজ্জাস্থান খুলে গেল এবং তারা জান্নাতের বৃক্ষ-পত্র দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করতে শুরু করল। আদম তার পালনকর্তার অবাধ্যতা করল, ফলে সে পথ ভ্রষ্ঠ হয়ে গেল।(25)
3.
وَيَٰٓـَٔادَمُ ٱسْكُنْ أَنتَ وَزَوْجُكَ ٱلْجَنَّةَ فَكُلَا مِنْ حَيْثُ شِئْتُمَا وَلَا تَقْرَبَا هَٰذِهِ ٱلشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ
হে আদম তুমি এবং তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর। অতঃপর সেখান থেকে যা ইচ্ছা খাও তবে এ বৃক্ষের কাছে যেয়োনা তাহলে তোমরা গোনাহগার হয়ে যাবে।(26)
4.
فَوَسْوَسَ لَهُمَا ٱلشَّيْطَٰنُ لِيُبْدِىَ لَهُمَا مَا وُۥرِىَ عَنْهُمَا مِن سَوْءَٰتِهِمَا وَقَالَ مَا نَهَىٰكُمَا رَبُّكُمَا عَنْ هَٰذِهِ ٱلشَّجَرَةِ إِلَّآ أَن تَكُونَا مَلَكَيْنِ أَوْ تَكُونَا مِنَ ٱلْخَٰلِدِينَ
অতঃপর শয়তান উভয়কে প্ররোচিত করল, যাতে তাদের অঙ্গ, যা তাদের কাছে গোপন ছিল, তাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। সে বললঃ তোমাদের পালনকর্তা তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করেননি; তবে তা এ কারণে যে, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও-কিংবা হয়ে যাও চিরকাল বসবাসকারী।(27)
4.
فَوَسْوَسَ إِلَيْهِ ٱلشَّيْطَٰنُ قَالَ يَٰٓـَٔادَمُ هَلْ أَدُلُّكَ عَلَىٰ شَجَرَةِ ٱلْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَّا يَبْلَىٰ
অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা?(28)
5.
فَدَلَّىٰهُمَا بِغُرُورٍۚ فَلَمَّا ذَاقَا ٱلشَّجَرَةَ بَدَتْ لَهُمَا سَوْءَٰتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِن وَرَقِ ٱلْجَنَّةِۖ وَنَادَىٰهُمَا رَبُّهُمَآ أَلَمْ أَنْهَكُمَا عَن تِلْكُمَا ٱلشَّجَرَةِ وَأَقُل لَّكُمَآ إِنَّ ٱلشَّيْطَٰنَ لَكُمَا عَدُوٌّ مُّبِينٌ
অতঃপর প্রতারণাপূর্বক তাদেরকে সম্মত করে ফেলল। অনন্তর যখন তারা বৃক্ষ আস্বাদন করল, তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের সামনে খুলে গেল এবং তারা নিজের উপর বেহেশতের পাতা জড়াতে লাগল। তাদের প্রতিপালক তাদেরকে ডেকে বললেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করিনি এবং বলিনি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।(29)
এখান থেকে বুঝা যায় শয়তান তাদেরকে প্রভাবিত করে বৃক্ষ খেতে কিন্তু হাওয়া (আ)আদম(আ)কে প্রভাবিত করে তা কিন্তু বলা হয়নি।তাই এটা একটা চরম তথ্য বিভ্রাট।
মুলত এটা "বাইবেল"এর কথা বাইবেল বলছেঃ
" সেই নারী দেখল গাছটা সুন্দর এবং এর ফল সুস্বাদু, আর এই ভেবে সে উত্তেজিত হল য়ে ঐ গাছ তাকে জ্ঞান দেবে| তাই নারী গাছটার থেকে ফল নিয়ে খেল| তার স্বামী সেখানেই ছিল, তাই সে স্বামীকেও ফলের একটা টুকরো দিল আর তার স্বামীও সেটা খেল|"(30)
  তাই এগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়,আমি আশা রাখে হবে ইনশাআল্লাহ।

Reference.............
[৪] আলী আল মুত্তাকী, কানজুল উম্মাল, (বৈরুতঃ আর রিসালাহ পাবলিকেশন্স, ১৯৮১) হাদিস নং ২৭৪৩
[৫] মুসলিম, আস সহীহ, (রিয়াদঃ মাকতাবা দারুস সালাম, ২০০৭) হাদিস ৭২০৭
[৬] আল জাযরী, আন নাশর ফি কিরাআত আল ‘আশার, (কায়রোঃ মাকতাবা আত তিজারিয়াহ আল কুবরা) খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৫৫
[৭] প্রাগুক্ত; খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৬৫
[৮] প্রাগুক্ত; খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৭২
[৯] প্রাগুক্ত; খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১৮৫
[১০] আহমাদ বিন হাম্বাল, আল মুসনাদ, (বৈরুতঃ আর রিসালাহ পাবলিকেশনস, ২০০১) হাদিস নং ২১১৮৯
[১১] আহমাদ বিন হাম্বাল, আল মুসনাদ, হাদিস নং ২১১৮৮
[১২] আত তাবারানী, মু’জামুল কাবির, (কায়রোঃ মাকতাবা ইবন তাইমিয়া, ১৯৯৪) হাদিস নং ৯১৫০
[১৩] মু’আল্লাল বা ত্রুটিপূর্ণ বর্ণণার ব্যাপারে জানতে দেখতে পারেনঃ Ibn as-Salah, An Introduction to the Science of Hadith, Translated by Dr. Eerik Dickinson (Berkshire: Garnet Publishing Ltd., 2006) page 57 & 67
[১৪] আস সুয়ুতি, আল ইতকান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৭১
[১৫] ইবন আদিল আল হাম্বালী, আল বাব ফি উলুমুল কিতাব, (বৈরুতঃ দারুল কুতুব আল ইলমিয়্যাহ, ১৯৯৮) খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৪৯
[১৬] আল খিফাজী, ইনায়া আল কাযি ওয়া কিফায়া আর রাজি ‘আলা তাফসিরুল বাইযাওয়ি, (বৈরুত, দারুস সদর) খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৯
[১৭] ইবন হাজম, আল মুহাল্লা(বৈরুতঃ দারুল ফিকর) খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৩২
[১৮] আস সুয়ুতি, আল ইতকান, (কায়রো: হাইয়া আল মিসরিয়্যাহ, ১৯৭৪) খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৭১
[19]বুখারী১/১০/৮৬হাঃ৭৩৯নং টীকা,পৃঃ৩৫৭
[20]আবূ দাঊদ১/২/১১৯নং হাদীস, টীকা নং ৭৪৭,পৃঃ৪৯১,
[21]বুখারী, টীকা নং১০৫,পৃঃ৪১৩,
[22]বুখারী ৩/৬০/১ক হাদীসঃ৩৩৩০,৫১৮৪, ৫১৮৬) (মুসলিম ১৭/১৯ হাঃ ১৪৭০, আহমাদ ৮০৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯২)
[23]বুখারী পৃঃ৪৩২
[24]আল-বাক়ারাহ ২:৩৫,কুরআন অ্যাপ পেতে :https://goo.gl/w6rESk
[25] সূরা ত়াহা ২০:১২১,কুরআন অ্যাপ পেতে :https://goo.gl/w6rESk
[26]আল-আ‘রাফ ৭:১৯,কুরআন অ্যাপ পেতে :https://goo.gl/w6rESk
[27]আল-আ‘রাফ ৭:২০,কুরআন অ্যাপ পেতে :https://goo.gl/w6rESk
[28]তাহা ২০:১২০,কুরআন অ্যাপ পেতে :https://goo.gl/w6rESk
[29].আল-আ‘রাফ ৭:২২,কুরআন অ্যাপ পেতে :https://goo.gl/w6rESk
[30]Book of Genesis 3:6

কোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে?

কোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে পর্ব-১ কি যেন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা কি আলোচনা নাকি সমালোচনা ঠিক বুঝি উঠতে পারছিলাম না। আমরা উপ...