সূরা বাক্বারাহ'র একটি আয়াত সম্পর্কে কিছু হাদীস!
সূরা আল-বাক়ারাহ ২:২২৩
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا۟ حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْۖ وَقَدِّمُوا۟ لِأَنفُسِكُمْۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُم مُّلَٰقُوهُۗ وَبَشِّرِ ٱلْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।
কুরআন অ্যাপ পেতে :https://goo.gl/w6rESk
হাদীস নংঃ১
জাবির(রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,ইহুদীরা বলতো, যদি স্বামী স্ত্রীর পিছন দিক দিয়ে তা সম্মুখভাগে সহবাস করে তাহলে সন্তান ট্যারা হবে।অতঃপর"তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র।তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যবহার করো-(সূরা বাক্বারাহ ২:২২৩)এই আয়াত অবতীর্ণ হয়।রসূলুল্লাহ(সা) তারপর বললেন,সম্মূখ ও পিছন উভয় দিক দিয়ে করা যাবে যদি তা লজ্জাস্থান হয়(1)
জাবির(রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,ইহুদীরা বলতো, যদি স্বামী স্ত্রীর পিছন দিক দিয়ে তা সম্মুখভাগে সহবাস করে তাহলে সন্তান ট্যারা হবে।অতঃপর"তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র।তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যবহার করো-(সূরা বাক্বারাহ ২:২২৩)এই আয়াত অবতীর্ণ হয়।রসূলুল্লাহ(সা) তারপর বললেন,সম্মূখ ও পিছন উভয় দিক দিয়ে করা যাবে যদি তা লজ্জাস্থান হয়(1)
হাদীস নংঃ২
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,আনসারী মূর্তি পুজকদের এই গোত্রটি ইয়াহূদী আহলে কিতাবদের এ গোত্রের সাথে বসবাস করত।আর আনসানগণ জ্ঞানের দিক দিয়ে ইয়াহূদীদের অনেক ক্ষেত্রেই অনুসরণ করত।আর আহলে কিতাবদের একটা অভ্যাস ছিল যে, তারা শুধুমাত্র তাদের স্ত্রীদের এক দিক দিয়েই সহবাস করতো,আর স্ত্রীরা তার দ্বারা সবচেয়ে বেশি আবৃত হতো।সুতরাং আনসারদের এই গোত্রটি ইয়াহূদীদের ঐ কাজটি গ্রহণ করেছিল।আর কুরাইশদের এই গোত্র তাদের মহিলাদের নিকৃষ্টভাবে খোলাখুলি করতো,এবং তাদের সস্মুখ দিয়ে, পিছন দিয়ে,চীৎ করে উপভোগ করতো।অতঃপর মহাজিরগণ যখন মদীনায় আগমন করলেন,তখন একজন কুরাইশী ব্যাক্তি আনসারী এক মহিলাকে বিবাহ করলেন।সে তার স্ত্রীর কাছে তাদের নিয়মে কাজ করলেন।কিন্তু মহিলা খারাপ মনে করলেন,এবং বললেন আমাদেরকে শুধুমাত্র একদিক দিয়েই সহবাস করা হয়।সুতরাং তুমি তাই কর নতুবা আমার থেকে দূরে থাক।এমন কি তার ব্যাপারটি বিকট আকার ধারণ করল,শেষ পর্যন্ত আল্লাহ রসূল(সা)-এর নিকট সংবাদ পৌঁছাল।অতঃপর আল্লাহ এই আয়াত টি নাযিল করলেন" তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র।তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যবহার করো"-(সূরা বাক্বারাহ ২:২২৩)অর্থাৎ সম্মুখ করে, পিছন করে, চীৎ করে।মূল উদ্দেশ্য তার দ্বারা সন্তান হওয়ার স্থান যেন হয়(2)
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,আনসারী মূর্তি পুজকদের এই গোত্রটি ইয়াহূদী আহলে কিতাবদের এ গোত্রের সাথে বসবাস করত।আর আনসানগণ জ্ঞানের দিক দিয়ে ইয়াহূদীদের অনেক ক্ষেত্রেই অনুসরণ করত।আর আহলে কিতাবদের একটা অভ্যাস ছিল যে, তারা শুধুমাত্র তাদের স্ত্রীদের এক দিক দিয়েই সহবাস করতো,আর স্ত্রীরা তার দ্বারা সবচেয়ে বেশি আবৃত হতো।সুতরাং আনসারদের এই গোত্রটি ইয়াহূদীদের ঐ কাজটি গ্রহণ করেছিল।আর কুরাইশদের এই গোত্র তাদের মহিলাদের নিকৃষ্টভাবে খোলাখুলি করতো,এবং তাদের সস্মুখ দিয়ে, পিছন দিয়ে,চীৎ করে উপভোগ করতো।অতঃপর মহাজিরগণ যখন মদীনায় আগমন করলেন,তখন একজন কুরাইশী ব্যাক্তি আনসারী এক মহিলাকে বিবাহ করলেন।সে তার স্ত্রীর কাছে তাদের নিয়মে কাজ করলেন।কিন্তু মহিলা খারাপ মনে করলেন,এবং বললেন আমাদেরকে শুধুমাত্র একদিক দিয়েই সহবাস করা হয়।সুতরাং তুমি তাই কর নতুবা আমার থেকে দূরে থাক।এমন কি তার ব্যাপারটি বিকট আকার ধারণ করল,শেষ পর্যন্ত আল্লাহ রসূল(সা)-এর নিকট সংবাদ পৌঁছাল।অতঃপর আল্লাহ এই আয়াত টি নাযিল করলেন" তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র।তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যবহার করো"-(সূরা বাক্বারাহ ২:২২৩)অর্থাৎ সম্মুখ করে, পিছন করে, চীৎ করে।মূল উদ্দেশ্য তার দ্বারা সন্তান হওয়ার স্থান যেন হয়(2)
হাদীস নংঃ৩
উম্মু সালামাহ (রা) বর্ণিত।তিনি বলেন,মুহাজিরগণ যখন মদীনায় আনসারদের নিকট আগমন করলেন তখন তাদের মহিলাদের বিবাহ করলেন।আর মুহাজির মহিলারা চীৎ হতো, কিন্তু আনসারী মহিলারা চীৎ হতো না। একদা এক মহাজির ব্যক্তি তার আনসারী স্ত্রীকে এরূপ ইচ্ছা করল,কিন্তু সে আল্লাহ ও রসূল কে জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত তা করতে অস্বীকৃতি জানাল,রাবী বলেন সেই মহিলা রসূল(সা)-এর নিকট আসল, কিন্তু জিজ্ঞাসা করতে লজ্জাবোধ করল। তাই উম্মু সালামাহ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন অতঃপর "
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র।তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যবহার করো"-(সূরা বাক্বারাহ ২:২২৩)আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। তিনি বললেন না, শুধুমাত্র এক রাস্তায় সহবাস করা যাবে(3)
উম্মু সালামাহ (রা) বর্ণিত।তিনি বলেন,মুহাজিরগণ যখন মদীনায় আনসারদের নিকট আগমন করলেন তখন তাদের মহিলাদের বিবাহ করলেন।আর মুহাজির মহিলারা চীৎ হতো, কিন্তু আনসারী মহিলারা চীৎ হতো না। একদা এক মহাজির ব্যক্তি তার আনসারী স্ত্রীকে এরূপ ইচ্ছা করল,কিন্তু সে আল্লাহ ও রসূল কে জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত তা করতে অস্বীকৃতি জানাল,রাবী বলেন সেই মহিলা রসূল(সা)-এর নিকট আসল, কিন্তু জিজ্ঞাসা করতে লজ্জাবোধ করল। তাই উম্মু সালামাহ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন অতঃপর "
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের শস্যক্ষেত্র।তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যবহার করো"-(সূরা বাক্বারাহ ২:২২৩)আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। তিনি বললেন না, শুধুমাত্র এক রাস্তায় সহবাস করা যাবে(3)
Reference...........
(1)বুখারী ৮/১৫, মুসলিম ৪/১৫৬, নাসাঈ৭৬/১-২, ইবনু আবী হাতিম ৩৩৯/১, মাহমুদিয়া ৮/৭৯/১,
জুরজানী ২৯৩/৪৪০, বাইহাকী ৭/১৯৫,
ইবনু আসাকির ৮/৯২/২ ও ওয়াহিদী ৫৩,
আর ওয়াহিদী বলেন-শাইখ আবূ হামিদ বিন শারকী বলেন,এটা এমন মহীয়ান হাদীস যা একশ হাদীসের সমতুল্য।
(1)বুখারী ৮/১৫, মুসলিম ৪/১৫৬, নাসাঈ৭৬/১-২, ইবনু আবী হাতিম ৩৩৯/১, মাহমুদিয়া ৮/৭৯/১,
জুরজানী ২৯৩/৪৪০, বাইহাকী ৭/১৯৫,
ইবনু আসাকির ৮/৯২/২ ও ওয়াহিদী ৫৩,
আর ওয়াহিদী বলেন-শাইখ আবূ হামিদ বিন শারকী বলেন,এটা এমন মহীয়ান হাদীস যা একশ হাদীসের সমতুল্য।
(2)আবূ দাউদ ১/১৩৭, হাকিম ২/১৯৫/২৭৯,
বাইহাকী ৭/১৯৫, ওয়াহিদের আসবাব ৫২,
ইমাম খাত্তাবীর গরীবুল হাদীস ৭৩/২, তার সনদ হাসান।ইমাম হাকিম মুসলিমের শর্তানুযায়ী তাকে সহীহ বলেছেন।আর ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থ দান করেন।ত্বাবারানী নিকট (৩/১৮৫পৃঃ)সংক্ষিত অপর একটি সূত্র রয়েছে।আরো দেখুনঃআদাবুয যিফাফ১/৩২পৃঃশাইখ আলবানী(রঃ)।
বাইহাকী ৭/১৯৫, ওয়াহিদের আসবাব ৫২,
ইমাম খাত্তাবীর গরীবুল হাদীস ৭৩/২, তার সনদ হাসান।ইমাম হাকিম মুসলিমের শর্তানুযায়ী তাকে সহীহ বলেছেন।আর ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থ দান করেন।ত্বাবারানী নিকট (৩/১৮৫পৃঃ)সংক্ষিত অপর একটি সূত্র রয়েছে।আরো দেখুনঃআদাবুয যিফাফ১/৩২পৃঃশাইখ আলবানী(রঃ)।
(3)মুসনাদে আহমদ (৬/৩০৫/৩০২-৩১৮পৃঃ)।তিরমিযী ৩/৭৫পৃঃ, ও তিনি তাকে সহীহ বলেছেন এবং
আবূ ইয়ালা ৩২৯/১পৃঃইবনু আবী হাতিম তার তাফসীরে মুহাম্মাদীয়া ৩৯/১পৃঃও ইমাম বাইহাকী ৭/১৯৫পৃঃ বর্ণনা করেছেন।
আর তার সানাদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। আদাবুয যিফাফ ১/৩৩পৃঃ শাইখ আলবানী (র)।
আবূ ইয়ালা ৩২৯/১পৃঃইবনু আবী হাতিম তার তাফসীরে মুহাম্মাদীয়া ৩৯/১পৃঃও ইমাম বাইহাকী ৭/১৯৫পৃঃ বর্ণনা করেছেন।
আর তার সানাদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। আদাবুয যিফাফ ১/৩৩পৃঃ শাইখ আলবানী (র)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন