কুরআন ও হাদীস নিয়ে এক অমুসলিমের অজ্ঞতা নাকি অপপ্রচার?
"তারপর ধরা যাক আদম-হাওয়ার বিষয়টা। বলা হয়ে থাকে, আদম-হাওয়া হলো দুনিয়ার প্রথম সৃষ্টি মানব-মানবী। তাদের দুই সন্তান–হাবিল, কাবিল। কোরান-হাদিস বা ইসলামের কোনো নির্ভযোগ্য সোর্স থেকে আদম-হাওয়া হাবিল-কাবিলের কাহিনীটা কেউ দিতে পারবেন?"(1)
এই কথাটা একজন অমুসলিমের। তার বক্তব্য থেকে বুঝা যায় যে তিনি ইসলাম সম্পর্কে কতটা জানেন?মুসলিম বা মানুষদের বিভ্রান্তি মধ্যে রাখা এ এক বড় হাতিয়ার যে ইসলাম সম্পর্কে না জেনে বড় বড় মন্তব্য করা। যাই হোক পবিত্র কুরআনে অনেক জায়গায় আদম (আ)ও হাওয়া(আ) নিয়ে বলা আছে, যে কেউ দেখে নিতে পারেন,নিচে দেওয়া হলোঃউল্লেখ্য যে, আমার জানা মতে হযরত আদম (আঃ)ও হাওয়া(আ) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ১০টি সূরায় ৫০টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
যথাক্রমেঃ
সূরা বাক্বারাহ ২/৩১-৩৭= ৭;
আলে ইমরান ৩/৩৩,৫৯;
মায়েদাহ ৫/২৭-৩২= ৬;
আ‘রাফ ৭/১১, ১৯, ২৬, ২৭, ৩১, ৩৫, ১৭২-৭৩= ৮; হিজর ১৫/২৬-৪২= ১৭;
ইসরা ১৭/৬১, ৭০;
ইয়াসীন ৩৬/৬০।
..................................................................................
সর্বমোট = ৫০টি।
সূরা বাক্বারাহ ২/৩১-৩৭= ৭;
আলে ইমরান ৩/৩৩,৫৯;
মায়েদাহ ৫/২৭-৩২= ৬;
আ‘রাফ ৭/১১, ১৯, ২৬, ২৭, ৩১, ৩৫, ১৭২-৭৩= ৮; হিজর ১৫/২৬-৪২= ১৭;
ইসরা ১৭/৬১, ৭০;
ইয়াসীন ৩৬/৬০।
..................................................................................
সর্বমোট = ৫০টি।
আর তাদের সন্তানদের সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ
وَٱتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ٱبْنَىْ ءَادَمَ بِٱلْحَقِّ إِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ أَحَدِهِمَا وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ ٱلْءَاخَرِ قَالَ لَأَقْتُلَنَّكَۖ قَالَ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ ٱللَّهُ مِنَ ٱلْمُتَّقِينَ
অনুবাদঃ আপনি তাদেরকে আদমের দুই পুত্রের বাস্তব অবস্থা পাঠ করে শুনান। যখন তারা ভয়েই কিছু উৎসর্গ নিবেদন করেছিল, তখন তাদের একজনের উৎসর্গ গৃহীত হয়েছিল এবং অপরজনের গৃহীত হয়নি। সে বললঃ আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। সে বললঃ আল্লাহ ধর্মভীরুদের পক্ষ থেকেই তো গ্রহন করে থাকে।
لَئِنۢ بَسَطتَ إِلَىَّ يَدَكَ لِتَقْتُلَنِى مَآ أَنَا۠ بِبَاسِطٍ يَدِىَ إِلَيْكَ لِأَقْتُلَكَۖ إِنِّىٓ أَخَافُ ٱللَّهَ رَبَّ ٱلْعَٰلَمِينَ
অনুবাদঃ যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে আমার দিকে হস্ত প্রসারিত কর, তবে আমি তোমাকে হত্যা করতে তোমার দিকে হস্ত প্রসারিত করব না। কেননা, আমি বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করি।
إِنِّىٓ أُرِيدُ أَن تَبُوٓأَ بِإِثْمِى وَإِثْمِكَ فَتَكُونَ مِنْ أَصْحَٰبِ ٱلنَّارِۚ وَذَٰلِكَ جَزَٰٓؤُا۟ ٱلظَّٰلِمِينَ
অনুবাদঃ আমি চাই যে, আমার পাপ ও তোমার পাপ তুমি নিজের মাথায় চাপিয়ে নাও। অতঃপর তুমি দোযখীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাও। এটাই অত্যাচারীদের শাস্তি।
فَطَوَّعَتْ لَهُۥ نَفْسُهُۥ قَتْلَ أَخِيهِ فَقَتَلَهُۥ فَأَصْبَحَ مِنَ ٱلْخَٰسِرِينَ
অনুবাদঃঅতঃপর তার অন্তর তাকে ভ্রাতৃহত্যায় উদুদ্ধ করল। অনন্তর সে তাকে হত্যা করল। ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
فَبَعَثَ ٱللَّهُ غُرَابًا يَبْحَثُ فِى ٱلْأَرْضِ لِيُرِيَهُۥ كَيْفَ يُوَٰرِى سَوْءَةَ أَخِيهِۚ قَالَ يَٰوَيْلَتَىٰٓ أَعَجَزْتُ أَنْ أَكُونَ مِثْلَ هَٰذَا ٱلْغُرَابِ فَأُوَٰرِىَ سَوْءَةَ أَخِىۖ فَأَصْبَحَ مِنَ ٱلنَّٰدِمِينَ
অনুবাদঃ আল্লাহ এক কাক প্রেরণ করলেন। সে মাটি খনন করছিল যাতে তাকে শিক্ষা দেয় যে, আপন ভ্রাতার মৃতদেহ কিভাবে আবৃত করবে। সে বললঃ আফসোস, আমি কি এ কাকের সমতুল্যও হতে পারলাম না যে, আপন ভ্রাতার মৃতদেহ আবৃত করি। অতঃপর সে অনুতাপ করতে লাগল।(2)
এখানে তাদের নাম সরাসরি উল্লেখ না থাকলে ও তাদের নাম ছিল হাবিল ও কাবিল যা আহলে কিতাব ইতিহাস দ্বারা প্রমানিত(3)
Reference..........
(1)https://www.google.com/amp/s/chutrapata.wordpress.com/2016/02/28/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%B2/amp/
(2)সূরা আল মা'য়েদাহ ৫ঃ২৭-৩১;
(3)কুরআনের উক্ত বর্ণনা ছাড়াও ‘জাইয়িদ’ (উত্তম) সনদ সহ আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ও আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে ‘মওকূফ’ সূত্রে যা যা বর্ণিত হয়েছে এবং হাফেয ইবনু কাছীর যাকে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী একাধিক বিদ্বানগণের ‘মশহূর’ বক্তব্য বলে স্বীয় তাফসীরে ও তারীখে উল্লেখ করেছেন, সে অনুযায়ী আদম পুত্রদ্বয়ের নাম ছিল ক্বাবীল ও হাবীল (قابيل وهابيل ) এবং ক্বাবীল ছিল আদমের প্রথম সন্তান ও সবার বড় এবং হাবীল ছিল তার ছোট।
(2)সূরা আল মা'য়েদাহ ৫ঃ২৭-৩১;
(3)কুরআনের উক্ত বর্ণনা ছাড়াও ‘জাইয়িদ’ (উত্তম) সনদ সহ আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ও আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে ‘মওকূফ’ সূত্রে যা যা বর্ণিত হয়েছে এবং হাফেয ইবনু কাছীর যাকে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী একাধিক বিদ্বানগণের ‘মশহূর’ বক্তব্য বলে স্বীয় তাফসীরে ও তারীখে উল্লেখ করেছেন, সে অনুযায়ী আদম পুত্রদ্বয়ের নাম ছিল ক্বাবীল ও হাবীল (قابيل وهابيل ) এবং ক্বাবীল ছিল আদমের প্রথম সন্তান ও সবার বড় এবং হাবীল ছিল তার ছোট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন