অভিজিৎ রায়ের মিথ্যাচার?

অভিজিৎ রায়ের মিথ্যাচার?

তার মিথ্যাচারের জবাব দেওয়ার আগে তার বক্তব্যগুলো আমরা দেখে নেয়ঃ
"বহু বিজ্ঞানীই আজ মনে করেন এক কারণবিহীন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের (Quantum Flactuation)মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে,যা পরবর্তীতে সৃষ্ট মহাবিশ্বকে স্ফীতির (Inflation) দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং আরো পরে পদার্থ আর কাঠামো তৈরির পথ সুগম করেছ"

"অনেক বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকেরাই মন করেন,কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের ধারনা সাথে সমম্বিত করা ইনফ্লেশন বা স্ফীতি তত্ত্ব যখন একেবারে শুন্য থেকে বিশ্বসৃষ্টির একটি প্রাকৃতিক এবং যৌক্তিক সমাধান দিতে পারছে,তখন সম্ভবত ঈশ্বর একটি"বাড়তি হাইপোথেসিস" ছাড়া আর কিছুই নয়"(1)তখন

উপরে উল্লেখিত তার বক্তব্য থেকে বুঝা যায় যে তিনি মূলত কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের (Quantum Flactuation)বা শুন্য স্থান থেকে মহাবিশ্ব তৈরির ধারনাকে মেনে নিয়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পেছনে সৃষ্টিকর্তা কোনো হাত নেই এটাই বুঝারে চেয়েছেন।তার বক্তব্য থেকে বুঝা যায় তিনি এখানে "মাল্টিভার্স তত্ত্ব"র ও কথা বলেছেন। অথচ "মাল্টিভার্স তত্ত্ব"এর পক্ষে বিন্দু পরিমাণ ও প্রমান নেই বর্তমান বিজ্ঞানের কাছে(2)
তিনি নিজেই বলছেন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন (Quantum Flactuation)একটা "ধারণা বা হাইপোথেসিস"তিনি এই ধারণাকে মেনে নেয় বলছেন"তখন সম্ভবত ঈশ্বর একটি"বাড়তি হাইপোথেসিস" ছাড়া আর কিছুই নয়"চিন্তা করেন একটি হাইপোথেসিস কে দিয়ে আরেকটি হাইপোথেসিসকে অস্বীকার করা হচ্ছে,দুই'টাই তো অনুমান,একটি অনুমান দিয়ে আরেকটি অনুমানকে বিচার করলে কি সত্য বের হয়ে আসে?আমার মনে হয় 'এটা কচু পাতার উপর পানি রেখে বলা আমি  আটলান্টিক মহাসাগরের উপর বাড়ি তুলেছে'
যাই হোক তিনি এখানে "হাইপোথেসিস বিজ্ঞান"কে মেনে নিয়ে চূড়ান্ত  সিন্ধাত নিয়েছেন মহাবিশ্ব তৈরিতে সৃষ্টিকর্তার ভূমিকা নেই আর এজন্য তিনি নাস্তিক বৈ আর কি!কিন্তু মজার ব্যাপর হলো তিনি তা প্রবন্ধে বলেছেনঃ

"বিজ্ঞান কিন্তু কোনো বিষয় সম্পর্কে পরম বা নিখঁত জ্ঞান দিতে পারে না"(3)
তার কথা যদি আমরা মেনে নেয় তাহলে কিভাবে, বিজ্ঞান না হয় বাদই দিলাম "হাইপোথেসিস বিজ্ঞান "পরম বা নিখুঁত জ্ঞান দিতে পারে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে যে সৃষ্টিকর্তা নাই।তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছে অভিজিৎ রায়ের কথা অনুযায়ী তিনি নিজেই নিজের কথা অনুযায়ী সঠিক নয়।
তিনি বলেছেন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম মেনে শুন্য স্থান থেকে কিন্তু প্রশ্ন হলো পদার্থবিজ্ঞানের কোনো নিয়ম কি শূণ্য স্থানে কাজ করে উত্তর হচ্ছে না, তাহলে শূণ্য স্থান থেকে কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টি  হতে পারে এর ব্যাখ্যা, তাকে না হয় বাদই দিলাম স্বয়ং আমাদের মহান ত্রিকালদর্শী ঋষি বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং ও দিতে পারেন নি এটা জানার জন্য নিচের লিংক থেকে পড়তে পারেন।

আর তিনি এখানে শুন্য থেকে মহাবিশ্ব তৈরির কথা বলছেন যা অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী মেনে নেয় নি বরং এর বিপক্ষে অবস্থান করেছেন এই বিষয় জানার জন্য আমার লেখার শেষ অংশ পাঠ করতে পারেন এখান থেকে
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=136171930603943&id=100026334101696&_ft_=top_level_post_id.136171930603943%3Atl_objid.136171930603943%3Athrowback_story_fbid.136171930603943%3Athid.100026334101696%3A306061129499414%3A2%3A0%3A1535785199%3A-7879622798748847037&__tn__=%2As%2As-R

Reference......
(1) ঈশ্বর কি সৃষ্টির আদি বা প্রথম কারণ? পৃঃ২,৪
(2)ওমর আল জাবির Student's of Oxford university  বই, পড়
(3)ঈশ্বর কি সৃষ্টির আদি বা প্রথম কারণ? পৃঃ৬