মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৮

"মুক্তমনা"ব্লগের লেখকের মিথ্যাচার?

                                  "মুক্তমনা"ব্লগের লেখকের মিথ্যাচার?


একজন লেখক দাবি করেছে নিচে যা উল্লেখ  করা হলোঃ
"কন্ট্রাডিকশন ১০ : কোরআনের ঐ সব আদেশ, নিষেধ, উপদেশ- যা মুহম্মদ সা: নিজেই মানেন নি(1)
১। সুরা ৪:৩
“আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।”
এখান থেকে বুঝা যায় যে একজন মানুষ(সামর্থবান)সবোর্চ্চ চারটা বিয়ে করতে পারে। তার দাবি মুহাম্মাদ(সা) এর যেহেতু চারজজনের বেশি স্ত্রী ছিল তাই মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহ আদেশ অমান্য করেছেন। এই দাবি যে কুরআন সম্পর্কে অজ্ঞতার ফসল ছাড়া আর কিছুই নয় তা যে কেউ কুরআন পাঠ করলে বুঝতে পারবে।আল্লাহ তা'য়ালা মুহাম্মাদ(সা) কে শুধু মাত্র তার জন্য চারজনের বেশি স্ত্রী রাখার অনুমতি দিয়েছেন আর তা কুরআনেই বলা আছে তাই তিনি আল্লাহ আদেশ অমান্য করেছেন,তা তার নামে মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই না।আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ إِنَّآ أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَٰجَكَ ٱلَّٰتِىٓ ءَاتَيْتَ أُجُورَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ مِمَّآ أَفَآءَ ٱللَّهُ عَلَيْكَ وَبَنَاتِ عَمِّكَ وَبَنَاتِ عَمَّٰتِكَ وَبَنَاتِ خَالِكَ وَبَنَاتِ خَٰلَٰتِكَ ٱلَّٰتِى هَاجَرْنَ مَعَكَ وَٱمْرَأَةً مُّؤْمِنَةً إِن وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِىِّ إِنْ أَرَادَ ٱلنَّبِىُّ أَن يَسْتَنكِحَهَا خَالِصَةً لَّكَ مِن دُونِ ٱلْمُؤْمِنِينَۗ قَدْ عَلِمْنَا مَا فَرَضْنَا عَلَيْهِمْ فِىٓ أَزْوَٰجِهِمْ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَٰنُهُمْ لِكَيْلَا يَكُونَ عَلَيْكَ حَرَجٌۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
অনুবাদঃ হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।(2)
আবার আল্লাহ বলেনঃ
لَّا يَحِلُّ لَكَ ٱلنِّسَآءُ مِنۢ بَعْدُ وَلَآ أَن تَبَدَّلَ بِهِنَّ مِنْ أَزْوَٰجٍ وَلَوْ أَعْجَبَكَ حُسْنُهُنَّ إِلَّا مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ رَّقِيبًا
অনুবাদঃ এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন।(3)

Reference..............
(1)https://blog.mukto-mona.com/2009/12/21/4041/
(2)সূরা আল আহযাব ৩৩ঃ৫০;
(3)সূরা আহযাব ৩৩ঃ৫২;

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে?

কোরান কি সঠিকভাবে সংরক্ষন করা হয়েছে পর্ব-১ কি যেন বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা কি আলোচনা নাকি সমালোচনা ঠিক বুঝি উঠতে পারছিলাম না। আমরা উপ...